পঞ্চম বাহিনী এবং ভারতীর হিন্দু সভ্যতা”
ডাঃ মৃনাল কান্তি দেবনাথ
আজ থেকে প্রায় ২৫০০ বছর আগে চানক্য একটা রাজনৈতিক কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “কোনো দেশ বা সেই দেশে বসবাসকারী মানুষ জনকে নিজেদের আজ্ঞাকারী বা বশংবদ বা দাস করে রাখতে হলে,সেই দেশ বা সেই মানুষ গুলোর কৃষ্টি এবং ধর্ম পরিবর্তন করে দিলেই বাকী কাজ সব হয়ে যায় (অর্থ্যাত সেই দেশ দখল করা বা দখলে রাখা সম্ভব হয়)”।
ভারতে মুসলমানি শাসনের শুরু থেকেই মুসলিম ধর্ম যাজকরা, নবাব বা সুলতানদের সক্রিয় সহযোগিতায় সেই কাজ শুরু করে দিয়েছিলো। সেই সুবাদে একদা সম্পুর্ন ভাবে হিন্দু রাষ্ট্র এবং ভারতে একটিও মুসলিম না থাকা স্বত্তেও বতর্মানে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত মুসলিম ধর্মাবলম্বীর বাস। ব্রিটিশ আমলে লর্ড ম্যকুলে ব্রিটিশ সরকারকে সেই একই উপদেশ দিয়েছিলেন।
আজ আর মুসলমানি শাসন নেই, ব্রিটিশ শাসন নেই। কিন্তু রয়ে গেছে আরবী/তুর্কি কৃষ্টি এবং ধর্ম, রয়ে গেছে পশ্চিমী ভাবাপন্ন হিন্দুরা এবং বেশ কিছু খ্রীষ্টিয় ধর্ম যাজক এবং ধর্ম পরিবর্তন কারী পুর্ব তন হিন্দুরা। উনবিংশ শতাব্দিতে উৎপন্ন আর এক রাজনৈতিক দখলদারীরা সৃষ্টী করলো ক্যমুনিষ্ট নামের মানবতা বিরোধী, যারা সম্পুর্ন ভাবে নাস্তিক গোষ্টি। তারাও সারা পৃথিবীতে মেরে কেটে শেষ করে দিলো বেশ কয়েক কোটি মানুষ এবং এক সময় প্রায় ১০০ কোটি মানুষকে তাদের মতো করে তৈরী করলো।
২০০০ বছরের কিছু বেশী দিন আগে সৃষ্ট খ্রীষ্টান ধর্ম এবং ১৫০০ হাজার বছর আগে সৃষ্ট ইসলাম আজ পৃথিবীর ৬০০ কোটির মধ্যে প্রায় ৪০০ কোটিতে পৌছে গেছে। একের পর এক মহাদেশের মানুষগুলো তাদের পুর্ব পুরুষের সংষ্কৃতি এবং ধর্ম বর্জন করে এক নতুন কৃষ্টী এবং ধর্ম বেছে নিতে বাধ্য হয়েছে। প্রথমে গেছে তরোয়াল আর পরে গেছে ধর্ম গ্রন্থ । বিজীত দেশের মানুষদের দাস করে রাখার চিরন্তন পদ্ধতি।
খ্রীষ্টীয়, ইসলামি এবং ক্যমুনিষ্ট এই তিন মতাবলম্বী রা মরুভুমির মতো রুক্ষ, কঠিন । নিজ সম্প্রদায়ের বাইরের কেউ এদের কাছে সঠিক মানুষ নয়। তাদের নিজ নিজ প্রাচীন কৃষ্টি এবং ধর্ম পালন পদ্ধতি এদের পছন্দ নয়। তাই একটিই কথা, হয় আমাদের সঙ্গে যোগ দাও, নইলে মরো। সেই মতো কোটি কোটি মানুষের রক্তে ভেসে গেলো ঈশ্বর সৃষ্ট এই পৃথিবী।
এতে কি পৃথিবীর ভালো হয়েছে?? উত্তর আমেরিকা, দক্ষিন আমেরিকার আদিবাসিন্দা আজ খুব বেশী নেই। যারা আছে তারা মানসিক অবসাদে ভোগে। মায়া সভ্যতা, ইঙ্কা সভ্যতা পৃথিবী থেকে মুছে গেলো, মিশরীয়, অসিরীয়, সভ্যতা শেষ । আফ্রিকা, মানব সভ্যতার সুতিকাগার, আদি সভ্যতার জন্মস্থানে আজ আর কিছুই নেই। দুটি সেমিটিক মতবাদীরা সব শেষ করে দিয়ে তাদের মত চাপিয়ে দিয়ে শান্ত শিষ্ট মানুষ গুলোকে অশান্তির নরকে রেখে দিয়েছে।
বাকী আছে আমাদের ভারত। ভারত বাসীর প্রায় ২৫% এখন ওই দুই মতাবলম্বীর খেলার মাঠ হয়ে গেছে। যতো তাড়াতাড়ি বাকী হিন্দু গুলোকে ভাগাভাগি করে ফেলা যায় সেই দৌড়ে এরা ব্যস্ত। টাকা আসছে ‘পেট্রো ডলার” নামী এক মহার্ঘ বস্তু থেকে। কর্ম পদ্ধতি তৈরী হচ্ছে পশ্চিমী দেশে । এই টাকায় বিক্রী হচ্ছে ভারতীয় রাজনিতীক নেতারা, সংবাদ মাধ্যমের নেতারা, সিনেমা জগতের নেতারা। এতে মদত যোগাচ্ছে ক্যমুনিষ্ট নাম ধারী ভ্রান্ত বুদ্ধিজীবিরা। উচ্চাকাংখী ছেলে মেয়েদের “ফোর্ড ফাওউন্ডেশন” এর টাকায় কিনে নিয়ে, দেশের মধ্যে অরাজকতা সৃষ্টী করে প্রচার করা হচ্ছে হিন্দু জাতীয়তাবাদ এক ভয়ংকর বস্তু। এই মতবাদের বিশ্বাসীরা নরখাদক এবং সব ধংস করার দোর গোড়ায় পৌচ্ছে দিচ্ছে ভারতকে।
ভারতে এখন চলছে পঞ্চম বাহিনীর প্রস্তুতি। ঘরে ঘরে বিভীষন, শকুনি, জয়চাঁদ তৈরী করো যাতে সামান্য সময়ের মধ্যেই হিন্দু নামক এক প্রাচীন জাতিকে শেষ করে মরুভুমির মতো রুক্ষ, কঠিন এক অপসংষ্কৃতি তৈরী করা যায় আর আমরা সবাই লুটে পুটে খেতে থাকি। আর এককালের হিন্দু নামধারীরা আমাদের দাস হয়ে আমাদের পদসেবা করুক ।
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................