আচ্ছা নীমের পাতা, নির্যাস, তেল ব্যবহার করে কি কোন জীবাণু নাশক বানানো যায় না???
ছোটবেলায় শুনতাম বসন্ত হাম ইত্যাদির হাত থেকে বাঁচতে নিমের পাতার বিছানায় দিয়ে রাখলে উপকার হয়।
অনেকে বসত ঘরে নিমের পাতা ডাল লটকিয়ে রাখতো।
বাচ্চাদের ছডি ঘরে ( যে ঘরে মায়েরা সন্তান প্রসবের দিন থেকে কয়েকসপ্তাহ পর্যন্ত অবস্থান নেয়) নিমের ডাল রাখা হতো বিভিন্ন রোগজীবাণু থেকে দূরে থাকতে।
তখন বিজ্ঞান এতটা ব্যাপকভাবে ছিলো না। তারপর ও মানুষ আদিকাল থেকেই প্রাকৃতিকভাবেই রোগ প্রতিরোধের কৌশল জানতো।
করোনা ভাইরাসের আরেকটা বিশেষ দিক হলো ভিটামিনের অভাব যাদের আছে, তাদেরকেই কাবু করে।
বিশেষ করে ভিটামিন সি।
একসময় গ্রামে গঞ্জের মানুষ প্রচুর শাক সবজি খেতো। এখন সে রেওয়াজ প্রায় উঠেই গেছে।
ফিলিপাইনের এক দল বিশেষজ্ঞ বলছে, মরিঙ্গা বা সাজনার পাতা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করে।
এমনিতেও সাজনা পাতায় আছে প্রচুর ভিটামিন সি, এ, ইত্যাদি।
তাই একে সুপারফুড ও বলা হয়।
কিন্তু রিসার্চ করে দেখেন আমাদের শহরের বাসিন্দাদের কয়জন সাজনা পাতা চিনে??
ইদানীং আবার কোরিয়া চীন এবং ভারতে বার্ডফ্লু দেখা দিয়েছে। এই বার্ডফ্লু ২০০৩/৪ এর দিকে চীনে ব্যাপক ছড়িয়ে পড়েছিলো যা পরবর্তীতে মানব শরিরে প্রবেশ করে।
এক করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচার রাস্তা এখনো খুঁজে পায়নি পরিষ্কার করে এরই মাঝে এলো বার্ডফ্লু।
আসলে আমরা দিন দিন প্রকৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নিজেরাই আইসোলেট হয়ে গিয়েছি। প্রকৃতি গাছপালা ধবংস করছি। বাতাস বিষাক্ত করছি। খাদ্য বিষক্রিয়া যুক্ত করেছি।
এখন বাঁচার রাস্তা খুঁজতে গিয়ে প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে ব্যাক টু নেচার।
হ্যাঁ এটাই সত্য, আমাদের শেষ আশ্রয় প্রকৃতি।
তাই বিষমুক্ত নিরাপদ চাষবাসের গুরুত্ব এবং প্রকৃতিকে টিকিয়ে রাখার উপায় আয়ত্ত্ব করা ছাড়া মানবজাতির সুস্থ হয়ে বাঁচার আদৌ কোন উপায় নাই।
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................