আহমদ শফি আর বাবুনগরীদের বাপ দেওবন্দ ভারতের গেল নির্বাচনের আগে গণমুনাজাত ধরে ছিলো যাতে সেক্যুলার ধর্মনিরপেক্ষ সরকার ক্ষমতায় আসে...।
এটার নামই তাকিয়া! মানে ইসলামের স্বার্থে ভন্ডামী শঠতা মিথ্যাচার সব জায়েজ। নরেন্দ্র মোদির পা ধরে আশির্বাদ নেওয়াটা হচ্ছে ঠেলার নাম বাবাজি! মোদিকে হঠানো যাবে না জেনে প্রয়োজনে হিন্দুত্ববাদের স্তবক হতে হবে। অপেক্ষা করতে হবে পরিবর্তনের। মনে মনে আশা করতে হবে গজওয়াতুল হিন্দ হবে তখন ভারতের কাফেরদের গলায় শিকল বেঁধে দাস বানানো হবে...। মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকলে ধর্মনিরপেক্ষতা কুফরী! যখন তারা সংখ্যালঘু তখন ধর্মনিরপেক্ষতা মহান!
বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের নুন্যতম কোন আলোচনা এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান বরদাশত করতে পারে না। সরকারি একটা ক্যালেন্ডারে কান্তজির মন্দিরের ছবি ছাপানোয় মুসলমানদের তুমুল বিরোধিতায় সে ক্যালেন্ডার বাজেয়াপ্ত করে নিতে হয়েছিল। বাংলাদেশের টাকায় মসজিদের ছবি থাকে। সেখানে মন্দির গির্জার ছবি থাকলে দাঙ্গা লেগে যাবে। তবু বাংলাদেশের মানুষকে এখানকার বুদ্ধিজীবীরা অসাম্প্রদায়িক উদার বলে প্রচার করেন। ভারতের সংবিধানে হিন্দুত্ববাদীরা হাত দিতে সাহস পাবে না। দেশের জনগণের বড় অংশ যখন সহিষ্ণু এখনো তখন অমর্ত্য সেন বলছেন ভারত হিন্দু রাষ্ট্র হতে দ্বারপ্রান্তে এবং মুসলমানরা নির্যাতিত।
যদিও সদ্যই ব্যাঙ্গালোর একটি মন্দির হামলা হতে পারে তাই মুসলিম যুবকরা দলবেঁধে মন্দির পাহারা দিয়েছিল। হিন্দু রাষ্ট্রে কে বা কারা মন্দির ভাঙ্গতে আসছিল আর মুসলমানরাই বা কেন পাহারায় গেলো গবেষকরা সে উত্তর আজ পর্যন্ত দেন নাই। আমি কিন্তু অমর্ত্য সেনের বিরুদ্ধে না। আমি শুধু বাংলাদেশের সলিমুল্লাহ কলিমুল্লাহ বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে ভারতের বুদ্ধিজীবীদের তুলনা করতে চাই! দুইবার ওমরাহ করে আসা স্যার মুনতাসির মামুনের কাছেও জানতে চাই, "সংখ্যাগরিষ্ঠ অসাম্প্রদায়িক বাঙালি মুসলমান " কেন রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল করলে দাঙ্গা লাগাবার ভয় দেখায়?
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................