আজ থেকে মাত্র ১২০ বছর আগেও পৃথিবীতে সনাতন ধর্মালম্বীদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ছিল; এখন চতুর্থ স্থানে নেমে এসেছে। এই সময়কালের মধ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা, ইsলাম ধর্মালম্বীদের সংখ্যা এবং সবচেয়ে বেশি বেড়েছে নাস্তিক(নিরীশ্বরবাদী)-দের সংখ্যা। বিগত সাত শতাব্দী সময়কালের মধ্যে- শতভাগ সনাতনী অধ‍্যুসিত কমপক্ষে ২৩টি দেশ থেকে সনাতন ধর্মালম্বীরা হয় মুছে গেছে, নতুবা বিলুপ্তির পথে।

ব্রিটিশদের দয়ায় ভারতের হি*ন্দুরা প্রাণে রক্ষা পেয়েছে। ব্রিটিশরা যখন চলে যায় ভারতে তখন ৮৮% সনাতন ধর্মালম্বী ছিল। বিগত ৭৩ বছরের মধ্যে সেটা ১০% কমে ৭৮ শতাংশে নেমে এসেছে। আমি বাংলাদেশে ২০% হি*ন্দু দেখেছি, আমার চোখের সামনে সেটা ৮ শতাংশে নেমে এসেছে।

সনাতন ধর্মালম্বীদের সংখ্যা ক্রমাগত কমে-ই চলেছে। এর কারণ যদি ব্যাখ্যা করি, আপনারা সেটা সহ্য করতে পারবেন না; আমাকে গালিগালাজ করবেন। তবুও আমি বলি, হি*ন্দুর চরিত্র ভালো না। এরা বর্ণবাদী। এরা ই*তর প্রাণী পূজা করে, কিন্তু মানুষকে স্পর্শ করে না, ঘরে উঠতে দেয় না। এই চ*রিত্রহীনেরা নারীদের মানুষ মনে করে না। 

আগে হি*ন্দুরা নারীদের আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করত, এখন মাতৃগর্ভে হত্যা করছে; বাংলাদেশ সনাতনী নারীদের সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখার জন্য চ*রিত্রহীন হিন্দুরা আন্দোলন করছে। এই অর্বাচীনদের কে বোঝাবে-
সম্পত্তির অধিকার না থাকায়, স্বনির্ভর সনাতনী নারীরা যৌ*নদাসী হিসেবে এই সমাজে থাকতে চাইছেনা; তারা ধর্মান্তরিত হতে উৎসাহিত হচ্ছে। বাংলাদেশের হি*ন্দুর সংখ্যা যদি আরও কিছু কমে যায় অথবা সরকার বদল হয়ে গেলে- হি*ন্দুরা আফগা*নিস্তানের মতো লেজ গুঁটিয়ে পালানোর পথ খুঁজে পাবে না। আফ্রিকার জঙ্গলে পর্যন্ত নারীদের সম্পত্তির অধিকার রয়েছে, বাংলাদেশের সনাতনী নারীরা কেন সম্পত্তির অধিকার পাবে না!

আমরা হি*ন্দু সমাজটাকে সুন্দর করার চেষ্টা করেছিলাম, গতিশীল করতে চেয়েছিল, বর্ণবাদ বিলুপ্ত করে পদবী উঠিয়ে দিতে বলেছিলাম, নারী-পুরুষ সমানাধিকার প্রতিষ্ঠার কথা বলেছিলাম, সমাজের প্রবেশ দরজা খুলে দিতে বলেছিলাম, হি*ন্দুদের কামিনী-কাঞ্চন(অর্থ ও যৌনতা) ত্যাগ করতে নিষেধ করেছিলাম; অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কার পরিহার করে হি*ন্দুদের 'বেদ' বা জ্ঞানমুখী হতে বলেছিলাম। এই অস*ভ্য জাতি আমাদের সহ্য করেনি। চরি*ত্রহীন হি*ন্দুরা সমাজটাকে সংস্কার করতে দেবেনা; এরা প্রাচীন অমানবিক প্রথা-পদ্ধতি আঁকড়ে থেকে - টিকিয়ে রেখে, সমাজটাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে; বিলুপ্ত করে ফেলবে। 

বাংলাদেশে বসবাসকারী হি*ন্দুরা ভালো বুঝবেন যে, কিভাবে হি*ন্দুর সর্বনাশ করেছে হি*ন্দুরা। হি*ন্দুরা নিজের ভাইকে দেশ ছাড়া করতে, প্রতিবেশী সম্প্রদায়ের মাস্তান ডেকে আনে; অতীতে যেভাবে আরব-তুরস্ক থেকে ডেকে আনতো। আমি আমার ব্যক্তি জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, আমার আপন ভাই দ্বারা আমি যত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি, কোন মুsলমান আমার অত ক্ষতি করেনি। 

তবুও আমি আপনাদের নিকট কিছু প্রশ্ন রেখে যাই―

যে ধর্মীয় দর্শন, আধ্যাত্মিক দর্শন, দেব-দেবী, অবতার ও ধর্মগুরুরা আমার জান-মালের নিরাপত্তা দিতে পারে না, আমার মা-বোনের সম্ভ্রম রক্ষা করতে পারেনা; সেইসব ধর্মশাস্ত্র, ধর্মগুরু, অবতার, দেবদেবী দিয়ে আমি কি করব! এগুলো আমি খাবো, না মাথায় দেব! আমি আমার চোখের সামনে দেবদেবী অবতারদের মূর্তি ভাঙতে দেখেছি, সনাতন ধর্মশাস্ত্র আগুন দিয়ে পোড়াতে দেখেছি। যে সমস্ত ধর্মশাস্ত্র, অবতার, দেবদেবী ও ভগবানরা নিজেদের রক্ষা করতে পারেনা, তারা আমাকে কিভাবে রক্ষা করবে! কিংবা আমার জাতিকে কিভাবে রক্ষা করবে!

অবতারদের যদি এতই ক্ষমতা, তারা আফগা*নিস্তানের সনাতনীদের কেন রক্ষা করতে পারলো না! সেখানে অবতারদের মূর্তি যখন ভেঙে ফেলা হলো, অবতাররদের
ধনুর্বাণ বা সুদর্শন চক্র তখন কোথায় গেল! আসলে ধর্মগুরু, অবতার, দেবদেবীর কারো কোনো ক্ষমতা নেই; কোনদিন ছিলও না।

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted