“হিন্দু জাতীয়তাবাদ এবং বর্তমান সুধী সমাজ”
ডাঃ মৃনাল কান্তি দেবনাথ
হিন্দু বা হিন্দুত্ব নিয়ে এতোদিন শুধু আমাদের দেশের বিশেষ এক শ্রেনীর বুদ্ধিজীবীদের এবং মুক্তমনা ব্যাক্তিদের বিশেষ মনকষ্টের ব্যাপার ছিলো। এই নিয়ে নানা কথা, কটুক্তি , কবিতা, কার্টুন, স্যোসাল মিডিয়াতে মন্তব্য এবং ছবি প্রকাশ কিছুই বাদ যায় নি বা আজো যাচ্ছে না। এর মধ্যে বহু কথা এবং ছবি শালীনতার মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে এবং যাচ্ছে। প্রত্যুত্তরে বেশ অল্প বয়ষী, কিছুটা উগ্র মনোভাবাপন্ন হিন্দু যুবক যুবতী ও মাঝে মাঝে তাদের সহজাত হিন্দু সুলভ সহ্য ক্ষমতা পার হওয়ার জন্য নানা কথা বলছে বা লিখছে।
রাজনৈতিক দল হিসাবে বিজেপি কে “হিন্দু ন্যাশানালিষ্ট দল” হিসাবে তখমা দিয়েছে বি বি সি বহু আগেই। আর এস এস, বিশ্বের সর্বাধিক সদস্য বিশিষ্ট একটি সামাজিক এবং দেশভক্তদের সংগঠনকে নানা ভাবে অপমানিত করা এবং একটি দানবীয় সংস্থা হিসাবে উল্ল্যেখ করা, যত্র তত্র গালাগাল দেওয়া অপাংক্তেয় মানুষের এক বিশেষ ধর্ম হয়ে দাড়িয়েছে।
কিন্তু এটা কেনো হবে ??? নিজের দেশ, যে দেশমাতৃকা আমাকে জন্ম দিয়েছেন, যার কোলে বড়ো হয়েছি,প্রান ভরে নিঃশ্বাস নিয়েছি, যার মাটি আমাদের জন্য খাদ্য তৈরী করেছে , সব কিছু দিয়ে খাইয়ে পরিয়ে আমাদের আজো বাচিয়ে রেখেছে সেই দেশকে ভালো বাসা কি কোনো অপরাধ??
নিজের দেশ শুধু একটি ভুখন্ড নয়। সেই দেশে যারা বাস করে, তারা সকলেই দেশ মায়ের সন্তান,তারা তো নিজেরা পরস্পর ভাই বোন, সঙ্গী সাথী । এদের বাদ দিয়ে তো দেশ হয়না। অর্থ খরচ করে একটি দালান বানানো যায় কিন্তু সেটি নিজের বাড়ি হয় তখনই যখন সেখানে একত্রে সুখে শান্তিতে বাস করা হয়। সেখানে যারা বাস করে তারা কি কেউ কারো পর? পরস্পর শত্রু ? ভাইয়ে ভাইয়ে এতো ভাগাভাগি কেনো ? এক ভাই আর এক ভাইয়ের সুখে দুঃখে কাধে কাধ মিলিয়ে চলবে, মানুষের ধর্ম তো সেটাই বলে, তাই নয় কি ?????? এর বাইরে গেলে মানুষ আর মানুষ থাকে না। ভাগভাগিতে দড় মানুষ পশু পদবাচ্যও হয় না। তারও অধম কিছু ,যা বলা বা লেখার কোনো ভাষা আমার জানা নেই।
হাতের প্রতিটি আঙ্গুল সমান নয়। সেই আঙ্গুলের ছাপ ও এক নয়। তফাৎ কিছু থাকবেই। তাই বলে নিজের আংগুল টাকেই কেটে দেবো ? এটা কি হয় না করা উচিত ?
এই দেশেরই, এই ভারত ভুমির কিছু সন্তান যাদের হিন্দুরা মুনি বা ঋষি বলে থাকে, তারা বেশ কয়েক হাজার বছর আগে, ভারতবর্ষ নামে এক সুপ্রাচীন দেশে বসবাস করা মানূষ গুলোকে কিছু কথা বলে গিয়েছিলেন। কি করে ,কোন সাধনায় তারা সেই কথা গুলি জেনেছিলেন তা নিয়ে পান্ডিত্য করে কোনো লাভ নেই। তাদের সেই কথা গুলি আজো লিখিত ভাবে আছে। যার নাম “আপ্তবাক্য”। কোথায় লেখা আছে ? আছে বেদে, পুরানে গল্পচ্ছলে। আছে ব্রহ্মসুত্রে, আছে গীতায়। ওই ঋষিরা ছিলেন অবশ্যই, না হলে কথা গুলো এলো কি করে ? তাদের অনেকের নাম জানা নেই, কারন অনেকেই নিজেকে অপ্রকাশিত করে রেখে গেছেন। তাদের কথা নিয়ে ৬ খানি দর্শন শাস্ত্র ও আছে। সেই দর্শন শাস্ত্র গুলো আজো তো আছে। কালের কপোল তলে তার বেশ কিছু হারিয়ে গেছে, বিদেশী দস্যুরা এসে তার বেশীর ভাগ পুড়িয়ে জ্বালিয়ে শেষ করে দিয়েছে, তবুও আছে । সেই দর্শনকে বলে “সনাতনি দর্শন”। বহু যুগ ধরেসেই সনাতনি দর্শন ই ভারত ভুমির সন্তানদের চলার পথ দেখিয়েছে,দিয়েছে “জীবন দর্শন”,অর্থ্যাৎ জীবনে চলার পথ। কালে কালে সেই জীবন দর্শন আর মানুষের পথ চলার সাথী হয়নি।তার একমাত্র কারন, সেই দেশের মানুষ গুলোই ওই “জীবন দর্শন” জানে না, তাই মানেও না।।
তবূও, আজো, সেই “জীবন দর্শন” মেনে নিয়েচলা মানুষগূলোর অধঃস্তন পুরুষ দের হিন্দু বলা হয়। যারা নিজেকে হিন্দু বলে মেনে নেয় তারা সেই জীবন দর্শনকে বলে “হিন্দুত্ব”। আর নিজেদের পরিচয় দেন“হিন্দুত্ববাদী”বলে। ক্যমুনিষ্ট জীবন দর্শন নিয়ে যারা চলেন তারা নিজেদের বলেন “সাম্য বাদী”। যীশু খ্রীষ্টের দেওয়া “জীবন দর্শন” নিয়ে যারা জীবনের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন তারা নিজেদের বলেন “খ্রীষ্টান”। যারা ইসলামিক জীবন দর্শন নিয়ে চলেন তারা নিজেদের বলেন “মুসলিম”। ভালো কথা।।
বর্তমান পৃথিবীতে “মানবাধিকার” বলে একটি কথা বহুল প্রচারিত। বেচে থাকার অধিকার, নিজের সভ্যতা এবং সংষ্কৃতিতে রক্ষা করার অধিকার কি সেই মানবাধিকারের মধ্যে পড়ে না ? কি জানি ? ভেবে অবাক হই। যারা এই সব অধিকার নিয়ে কতো কথা বলেন ,লেখেন , তারা যে ধর্মীয় সংষ্কারে অভ্যস্ত সেই ধর্মীয় মতবাদ এবং তার ধারক বাহকেরাই বেশী করে “মানবাধিকার” লংঘন করে চলেছেন। বেশ বহুকাল ধরেই তারা সেটা করছেন।
পশ্চিমী দেশ গুলো বেশীর ভাগ খ্রীষ্টিয় ধর্মীয় সংষ্কার মানে। সে ধর্মের ধারক বাহকেরা, প্রছন্নভাবে তাদের দেশের সরকারী সহায়তায় পৃথিবীর নানা প্রান্তে প্রায় ২০০০ বছর ধরে খ্রীষ্টিয় মতবাদ স্থাপিত করার জন্য নানা আছিলা প্রয়োগ করে যাচ্ছে। খ্রীষ্টিয় সভ্যতা নিজেদের দল বাড়ানোর জন্য এক সময় সারা পৃথিবীতে রক্তের বন্যা বইয়ে দিয়েছে। উত্তর আমেরিকার “রেড ইন্ডিয়ান” রা আমেরিকার আদিবাসিন্দা। ঊন্নত হোক বা অনুন্নত হোক, সেই আদিম জাতির জীবন যাত্রা , ধর্মীয় অনুশাসন সব কিছুর আমুল পরিবর্তন ছলে, বলে এবং কৌশলে ঘটিয়ে দেবার কি অধিকার খ্রীষ্টান পাদ্রীদের এবং তাদের পৃষ্টপোষক রাজা বা গনতান্ত্রিক সরকারের আছে?? আজ আর ‘রেড ইন্ডিয়ান’ বলে কোনো সতন্ত্র সভ্যতা সংষ্কৃতি বেচে নেই। অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসী, নিউজিল্যান্ডের ‘মাউরী’ রা, পলিনেশিয়ান দেশ গুলোর আদিবাসীরা, পেরুর ‘ইঙ্কা’ সভ্যতা, ল্যাটিন আমেরিকার ‘মায়া সভ্যতা’ আজ ইতিহাস। তারা কি সুখে ছিলো না ? খ্রীষ্টান ধর্মের সদস্য বাড়ানোর তাগিদে, এই সব আদি সভ্যতার মানুষগুলোকে ‘অসভ্য” আখ্যা দিয়ে এবং তাদের সভ্য করার নামে তাদের সব কিছুকে লুট করে নেওয়া হয়েছে। যারা এর বিরোধিতা করেছে তাদের রক্তে মাটি লাল বানিয়ে দেওয়া হয়েছে (স্পেনীয় দস্যু ‘পিজেরো’র কাহিনী পড়ুন, আমার লেখা ‘দেবতাদের দেশে’ বইয়ে)। সত্য ইতিহাস তো সেই কথাই বলে,তাই না??? পেরু, ল্যাটিন আমেরিকার দেশ গুলোতে গেলে এই আদিবাসীদের করুন কান্না আজো শোনা যায়। কিন্তু তারা নিঃসহায়, তাই মানসিক অবসাদে ভুগতে ভুগতে এরা আশ্রয় নেয় মদ্য পান করে জীবনের দুঃখ ভুলে থাকার।
খ্রীষ্টান রা অবদমিত হলো,আর এক নারকীয়, দানবীয় শক্তির অভ্যুদয়ের ফলে । সেটা শুরু হলো মধ্য প্রাচ্য থেকে। এরাও খ্রীষ্টানদের মতো দাবী করলো তারাই শ্রেষ্ট। শুধু শ্রেষ্ট তাই নয়, রুক্ষ মরুভুমির দেশের মাটিতে লালিত পালিত সেই রুক্ষ মানসিকতা এবং উগ্র জীবন ধারনে অভ্যস্ত, শিক্ষা দীক্ষা হীন জীবন ধারন থেকে তারা বেরিয়ে পড়লো সারা পৃথিবীতে। তাদের তরবারির সামনে দাড়ানোর মতো ক্ষমতা বা সাহস কারো রইলো না। দেশ দখল করা, সেই দেশের মানুষ গুলোকে যেন তেন প্রকারেন নিজের দলে ভেড়ানো অথবা তাদের সব কিছু লুট করে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করার কৌশলে সামিল হলো বহু মানুষ, যাদের নিজেদের মনের মধ্যেই সেই আদিম লিপ্সা আগুনের শিখার মতো সদাই জ্বলে। তাই জ্বালাতে পোড়াতে বা সেই জ্বলন্ত আগুনের শিখায় অন্যদের ছুড়ে ফেলে পোড়াতে তাদের হাত কখনো কাপেনি। খ্রীষ্টান দুনিয়া সেই ‘বর্বরোচিত তান্ডব” এর আগে দেখেনি বা তার সঙ্গে পাল্লা দেবার প্রয়োজনও হয়নি। নিজেদের গুটিয়ে নিলো ভুমধ্য সাগরের পাশের দেশ গুলোতে। বাকী দুনিয়া জয় করে নিলো এই ‘দানবীয় শক্তি”।
কালে কালে সমঝোতা হলো এই দুই আগ্রাসী শক্তির। হলো ‘সন্ধি’। “ভাই আমরা তো সেই এক বংশের লোক, আব্রাহামের অধঃস্তন পুরুষ। আয় আর মারামারি না করে এই পৃথিবীর জায়গা গুলো এবং সেখানে বাস করা মানুষগুলোকে ভাগাভাগি করে নেই। আমরা থাকি রাজা আর ওরা থাকুক ‘খেদমতগারী প্রজা – দাস’।) সেই সন্ধি অনুযায়ী কাজ শুরু হলো। সাহারা মরুভুমির উত্তরের দেশ গুলো রয়ে গেলো দ্বিতীয় শক্তির কাছে, আর তার নীচের সব দেশ থেকে গেলো খ্রীষ্ট্রীয় দের কাছে। আফ্রিকার সরল মানুষগুলোকে দাস বানিয়ে ( মরক্কোর বাজারের মুর-দাস, আর সেনেগালের ‘ডাকার’ বাজারের ‘আফ্রিকান শ্লেভ –দাস) এদের নিয়ে যাওয়া হলো বিজিত সব দেশে। এদের রক্ত জল করা পরিশ্রমের বিনিময়ে গড়ে ঊঠলো লন্ডন, প্যারিস, স্পেন এবং পর্তুগালের সব শহর। এদিকে খ্রীষ্টিয় ‘কনষ্টান্টিনোপোল’ হাত বদল হয়ে নাম হলো ‘ইস্তানবুল’, সেখানে ‘খলিফা’ নামধারী এক দস্যুর প্রাসাদ আর বিলাসিতার চরম ব্যাবস্থা।
সন্ধি অনুযায়ী, সারা দুনিয়া ভাগ হয়ে গেলো। তবুও এই দুই শক্তির তৃষ্ণা মিটলো না। বাদ আছে মাত্র—‘ইহুদীদের ইজরায়েল, হিন্দু নামধারী এক ‘পাগান’ জাতির ভারত, আর পুর্ব এশিয়ার কিছু দেশ যেখানে ‘বুদ্ধ নামধারী এক ‘নিরীশ্বর বাদী’র শিষ্যরা বাস করে। তা ঐ বৌদ্ধিক দেশ গুলো অনেক দূরে এবং ওরা বেশ লড়াকু। ওদের সংগে এটে ওঠা দ্বায়। একই ব্যাপার ওই ‘ইহুদী’ দের নিয়ে—ওরা বড্ডো মারে,গায়ে লাগে, পেরে ওঠা যায় না।
ঠিক আছে, ভারতে বাস করা ‘হিদুঁ গুলো’ না পারে মারতে,না পারে প্রতিবাদ করতে। ওরা মার খেতে ভালোবাসে,আর ধমক দিলেই নিজের দেশ এবং সব কিছু দিয়ে দেয়। এমনকি হাজার বছরের শিক্ষা সংষ্কার,ধর্ম ভুলতে ওদের মোটেই সময় লাগে না। ওদের সংখ্যাও বেশ। আয় আমরা দুই সৎ ভাই মিলে এদের ভাগাভাগি করে নেই। আগে ওদের মধ্যে যারা একটু শিক্ষিত জ্ঞানী গুনী আছে তাদের হাত কর। তারপর কান টানলে যেমন মাথা আসে ঠিক তেমনি ওদের সবাই ধীরে ধীরে এসে যাবে। আমরা শাসন করেছি ৭০০ বছর,তোরা করেছিস ২০০ বছর। কিন্তু তাতে কি ? দেখলি না সেই ৭০০ বছর শাসন করার সময় যাদের নিজেদের দলে টেনে এনেছিলাম, তারাই তো সেই বিজিত দেশের এক তৃতীয়াংশ নিয়ে নিলো,যার নাম পাকিস্তান আর বাংলাদেশ। কি করেছে ওই ‘হিদুঁগুলো’ ???? সামান্য একটু ভয় দেখালাম ১৯৪৬ সালে আর তাতেই ওদের নেতাগুলো কাপড় ভিজিয়ে ফেললো। “রাম রাম করে ,শান্তি শান্তি করে সব দিয়ে দিলো”। বাকী টুকু নেওয়ার সব ব্যাবস্থা পাকা।
ওই যে নেতা গুলো আছে ওরা কি চায়?? পদ আর অর্থ। অর্থ তো অঢেল আছে। ওদের কাউকে “ফোর্ড ফাইন্ডেশান” এর নামে অর্থ দিয়ে কিনে নে, কাউকে ওই দেশের প্রাচীন রাজনৈতিক দলের মাথায় বসিয়ে দে (তোদের ‘রোমান ক্যাথলিক এর এক দেশ থেকে পাঠিয়ে),কাউকে আমরা মধ্যপ্রাচ্য থেকে আমদানী করা ‘নতুন মোড়কে পুরানো মত--- নিয়ে সংগঠিত করা ‘দানবীয় শক্তি’ র দলে এনে মুখ্যমন্ত্রী বানিয়ে দেই। মিডিয়া গুলো, খবরের কাগজগুলোর সম্পাদক সব কিনে নে, দেখবি কিছুদিনের মধ্যেই এই দেশ টাও দখল হয়ে যাবে। আমরা ভাগাভাগি করে নেবো, দেশ এবং মানুষ গুলোকে। এই তো সেই সুক্ষ্ম এবং সার্বিক পরিকল্পনা???????
বাদ সাধছে কিছু শিক্ষিত এবং বুদ্ধি সুদ্ধি ওয়ালা ছেলেমেয়েরা। ওরা শধু শপিং মলেই যায় না, অত্যাধুনিক সেল ফোন চালায় না, ওরা ভাবতে শিখেছে, জানার চেষ্টা করছে। যে সত্য ইতিহাস পরিকল্পনা করে এতোদিন ওদের থেকে লুকিয়ে রাখা হয়েছে, মিথ্যার ঝুড়ি ওরা শিখেছে, সেই ইতিহাস বাদ দিয়ে আসল ইতিহাস ওরা কোথা থেকে জেনে ফেলছে। আমাদের দুই ভাইয়ের কীর্তি কাহিনী ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। ওরা এবারে ফোঁস করছে। আর এস এস নামধারী একটি সংগঠন ওদের এই সব বলে দিচ্ছে। ওরা আর ঘুমিয়ে থাকতে চাইছে না। ওরা বলছে ওরা ‘হিন্দু আর হিন্দুত্ববাদী’। কি করি ভাই ??????
কেনো, এতোদিন ধরে ওদের মধ্যেই বানিয়েছি একটি বিভীষনের দল। ওরাও শিক্ষিত। ওদের মধ্যে অনেক নেতা, মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী, প্রায় ৫৫ বছর ধরে ভারত শাসন করা একটি পরিবার এবং তার বিদেশী কর্নধার, আর অনেক ক্ষমতা লোভী বিভীষন, অর্থ লোলুপ আছে না?? তাহলে ওদের মধ্যের ই একজনকে কেনো ‘নোবেল পুরষ্কার’ দিলাম ??? এদের লাগিয়ে দে। এখনই মাঠা নামার সময়। হিঁদুদের নেতা তো ঐ ‘হিন্দু সংগঠনের লোক গুলো? ওদের নিকেশ করার জন্য আমাদের বাহিনী আছে। ঠিক আছে দেখা যাক, আমাদের এতো বছরের পরিকল্পনা সার্থিক হয়, না হিঁদু দের ওই শিক্ষিত এবং যাদের চোখ খুলে গেছে সেই যুবক যুবতী দের, কার পাল্লা ভারী হয়।
যেভাবে পারো, ওই হিন্দুদের এবং হিন্দুত্ব নিয়ে যারা কথা বলবে তাদের বিরুদ্ধে ‘ সার্বিক যুদ্ধ’ শুরু করো। ওদের বদনাম করো, ওদের ধর্ম, সংষ্কার সবকিছুকে হেয় প্রতিপন্ন করো। ওদের মারো কাটো ,যা খুশী করো। আমাদের এই ভাগাভাগির খেলাতে কিন্তু জয় চাই।
সমস্যা হলো, ওই শিক্ষিত হিঁদু গুলোর সংখ্যা প্রায় ৪০০ মিলিয়ান (৪০ কোটি)। এরা সবাই যদি এক ছাতার তলায় এসে যায় তাহলে বিপদ। আমাদের তাহলে মার খেতে হবে। আর মার খেলে গায়ে লাগে।
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................