আত্মঘাতী ধার্মিক হিন্দু জাতি।

আমাদের ছোটবেলা বাংলাদেশে যত হি^ন্দু ছিল, তার অর্ধেক হি^ন্দুও এখন বাংলাদেশে টিকে নেই। সনাতন ধর্মশাস্ত্র কেন হি^ন্দুদের রক্ষা করতে পারল না?

আফ^গানিস্থান, উজবেকিস্তান, কম্বোডিয়া, ফিলিপাইনস, মালদ্বীপ প্রভৃতি দেশে একসময় শতভাগ সনাতনী ছিল। আজ সে সব জায়গায় একজনও সনাতনী অবশিষ্ট নেই। ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, পাকিস্তান, বার্মা, শ্রীলংকা প্রভৃতি আরও অনেক দেশের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ সনাতনীরা আজ বিলুপ্তির পথে। ধর্মশাস্ত্র, ধর্মগুরু, দেবদেবী, অবতার, ভগবান সবকিছুই সেখানকার সনাতনীদের সাথে বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

সনাতন ধর্মশাস্ত্র যদি হি^ন্দুদের রক্ষা না করতে পারে, তাহলে তথাকথিত সনাতন ধর্মশাস্ত্র অগ্রাহ্য করে- বাংলাদেশের সনাতনী নারীদের সম্পত্তির অধিকার দিলে সমস্যা কোথায়?

ভারতে সনাতনী নারীদের সম্পত্তির অধিকার দেওয়া হয়েছে। কেন দেওয়া হয়েছে? কারণ সনাতন ধর্মশাস্ত্র অনুযায়ী ভারত চলছে না। কেন চলছেনা? কারণ ভারত যে এখনও হি^ন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ, এটা ব্রিটিশ-এর অবদান। ব্রিটিশ না এলে ভারত ভূমি থেকে সনাতনীরা কতদিনের বিলুপ্ত হয়ে যেত। এজন্য ভারত রাষ্ট্রটি হি^ন্দু-আইন তোয়াক্কা না করে, ব্রিটিশ আইন ও নিয়মনীতিতে চলছে।

অতি বাল্যকালেই আমি দেখেছি, আমার চোখের সামনে দেবদেবীর মূর্তি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তখন আমার শিশু মনে প্রশ্নের উদয় হয়েছে - যে সমস্ত দেবদেবী, অবতার ও ভগবানরা নিজেদের রক্ষা করতে পারেনা, তারা জাতিকে কিভাবে রক্ষা করবে?

যে সমস্ত ধর্মগুরুরা নিজেদের ভগবান ঘোষণা করেছে, তারা পূর্ব পাকিস্তান থেকে লেজ গুটিয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু কাণ্ডজ্ঞানহীন হি^ন্দুরা সেই পালিয়ে যাওয়া অকালকুষ্মাণ্ড ভগবানদের আজও পূজা করছে।

বাংলাদেশের যে এলাকায় আমি বড় হয়েছি, সেটা আমার জন্মস্থান ছিল না। এলাকাটা প্রায় শতভাগ সনাতনী অধ্যুষিত ছিল। বাংলাদেশ সৃষ্টির পর - বিশেষ করে পাকিস্তানপন্থীদের শাসনামলে আমি দেখেছি, কেন ও কিভাবে সনাতনীরা চোখের জল ফেলতে ফেলতে রাতের অন্ধকারে দেশ ছেড়ে পালায়ন করছে। সেই সনাতনীদের সর্বনাশের জন্য দায়ী মূলত ধার্মিক হি^ন্দুরা। স্বজাতির সর্বনাশকারী ধার্মিক হি^ন্দুদের কেউ সমাজপতি, কেউ মন্দির কমিটির সভাপতি বা সেক্রেটারি কিংবা ধর্মগুরুদের খাস চামচা। এই ধার্মিক হি^ন্দুরাই খাল কেটে কুমির এনে, স্বজাতির পাকা ধানে মই দিয়েছে।

অকল্পনীয় ক্ষুধা, ব‍্যাধি, অপুষ্টি, অসম্মান, অপমান, অবহেলার মধ্যে যেখানে প্রাণ বাঁচানোই দায়- সেই বিরূপ পরিস্থিতির মধ্যেও আমি কিশোর বয়সে, স্বজাতিকে জন্মভিটায় টিকিয়ে রাখার স্বার্থে - প্রবল পরাক্রান্ত প্রতিবেশী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে, স্থানীয় পর্যায়ে প্রতিরোধ সংগ্রাম গড়ে তুলেছিলাম। আমি আত্মপ্রচার করবো না, শুধু এই কথাটুকুই বলবো - আমার স্বজাতি আমাকে নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়ে, পিছন থেকে কেটে পড়েছিল।

এই আত্মঘাতী ধার্মিক জাতি, নিজের দুর্বল ভাইদের বাড়ি ছাড়া করার জন্য যখন প্রতিবেশী সম্প্রদায়ের প্রভাবশালীদের ডেকে আনতো; এবং প্রতিবেশী সম্প্রদায়ের প্রভাবশালীরা যখন ধার্মিক হি^ন্দুদের বউ-বেটিদের আঁচল ধরে টান দিত; তখন কিন্তু সেই বেইমান ধার্মিক হি^ন্দুরা, ঠিকই আমাদের কাছে ছুটে আসতো। আবার কার্যসিদ্ধির পর, তারা পুরনো চেহারায় ফিরে গিয়ে- আমাদের পিঠে ছুরি বসাতো।

এটা যে কেবল স্থানীয় হি^ন্দু নেতাদের চরিত্র, সেটা নয়। আমি বাংলাদেশের তৎকালীন শীর্ষ হি^ন্দু নেতাদের অতি নিকট থেকে দেখেছি, তারা কতটা দুর্নীতিবাজ ও চরিত্রহীন।

আজকে যারা বাংলাদেশের তথাকথিত শীর্ষ হি^ন্দু নেতা, আমি তাদের এড়িয়ে চলি। এদের নৈতিক স্খলনের বহু তথ্য আমার কাছে আছে। এই অধঃপতিত হি^ন্দু নেতাদের উদ্দেশ্যে বলছি, বাংলাদেশের সনাতনী নারীদের সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত করে- আজ্ঞাবহ যৌনদাসী বানিয়ে রাখবেন; এত সহজ নয়। সনাতনী মেয়েরা শিক্ষিত হয়েছে, অধিকার সচেতন হয়েছে; তারা প্রয়োজনে ধর্মান্তরিত হবে- তবুও আপনাদের মতো অমানুষদের যৌনদাসী হবে না।

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted