ভারতীয়: বাঙালি, বিহারী, অসমিয়া, সেক্যুলার, কমিউনিস্ট, ইত্যাদি কিচ্ছু হয় না।

মুসলমান শুধু মুসলমান হয়।

বাঙালি, বিহারী, অসমিয়া, সেক্যুলার, কমিউনিস্ট, ইত্যাদি কিচ্ছু হয় না।

তাই তারা যখন নিজেদেরকে ওইসব বলে, তখন বুঝতে হবে যে ওগুলো তাদের পরিচয় নয়, ওগুলো তাদের স্ট্র্যাটেজি বা রণকৌশলের নাম।

ঠিক যেমন আর্মিতে এক একটা অপারেশন এর এক একটা নাম থাকে। অপারেশন সফল হয়ে গেলে, টার্গেট অ্যাচিভ হয়ে গেলে অপারেশন এর ওই নামটার আর কোন গুরুত্ব থাকে না।

ঠিক তেমনি বাঙালি, অসমিয়া, বিহারী, কমিউনিস্ট, সেক্যুলার, ইত্যাদি নামের মধ্যে সুবিধামত যে কোন একটা বা একাধিক শব্দ গ্রহণ করে, অন্যদেরকে ইউজ করে ওদের অপারেশন সফল হয়ে গেলে, টার্গেট অ্যাচিভ হয়ে গেলে, ওরা আর বাঙালি, বিহারী, সেক্যুলার ইত্যাদি থাকবে না। ওদের মূল স্বরূপে ফিরে যাবে। একটু চোখ খুলে চারিদিকে তাকালেই এ জিনিস বোঝা যায়।

পূর্ববঙ্গ ও পূর্ব পাকিস্তান থেকে আসামে গিয়ে বসবাসকারী মুসলমানরা ৬০ এর দশকে জনগণনায় নিজেদের মাতৃভাষা অসমিয়া ঘোষণা করে বলেছিল মিঞা অসমিয়া ভাই ভাই।

এইকথা বলে ওরা অসমিয়াভাষী দের "বঙ্গাল খেদা" অভিযানে যোগ দিয়ে বাঙালি হিন্দু বিতারণ করেছিল। এইভাবে তারা অসমিয়াদের মন জয় করে আসামে গেড়ে বসেছিল।

আজ তাদের সংখ্যা, প্রভাব প্রতিপত্তি বেড়ে গেছে। তাই আজ তারা অসমিয়া না বলে নিজেদের মুসলমান বলে এবং বদরুদ্দীন আজমল এর দল কে সমর্থন করে। বাংলাদেশে মুসলমানদের বাংলা ভাষা প্রীতি সেই একই গল্প।

রোহিঙ্গা মুসলমানদের রোহিঙ্গা সাজা সেই একই গল্প। ওরা কেউ রোহিঙ্গা নয়। ওরা সবাই পূর্ববঙ্গ থেকে যাওয়া বাংলাভাষী মুসলমান।

বার্মা তে আরাকান প্রদেশে মাটি দখলের জন্য, নিজেদের আসল পরিচয় লুকিয়ে নিজেদেরকে সেখানকার ভূমিপুত্র দেখানোর জন্য ওরা মিথ্যা করে "রোহিঙ্গা" নাম নিয়েছে।

১৯৪৬ সাল পর্যন্ত ওরা নিজেদেরকে বাঙালি বলত।
মুসলমানদের এই স্ট্র্যাটেজি না বোঝার জন্য হিন্দুর বহু সর্বনাশ হয়েছে। এখনো যদি না বোঝে তাহলে আরো সর্বনাশ হবে। 

এখন পশ্চিমবঙ্গে ওদের চলছে "অপারেশন বাংলা পক্ষ"। 

তাই ববি হাকিম এর গিলে করা পাঞ্জাবি পরে ভাইফোঁটা নেওয়া দেখে যদি বাঙালি হিন্দু তাকে "বাঙালি" বলে ধরে নেয়, তাহলে তাদের কপালে অনেক কষ্ট আছে। 

ঠিক সেইরকম মুসলমানের হাতে বিজেপির পতাকা দেখে যদি বিজেপি ও সংঘ পরিবারের ভক্তরা গদগদ হয়ে যায় তাহলে বাঙালির বাঁচার আর কোন উপায় বাকি থাকবে না।

দুই কোটি বাংলাদেশী (অথবা পূর্ব পাকিস্তানী) হিন্দুকে আশ্রয় দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও আসাম সহ গোটা ভারত। 

কেন দিয়েছে? 

বাঙালি বলে? 

কখনোই নয়। তারা হিন্দু বলে হিন্দু ভারত তাদেরকে আশ্রয় দিয়েছে। আর পূর্ব পাকিস্তান থেকে তাদেরকে তাড়িয়েছে বাঙালি ও বাংলায় কথা বলা মুসলমান। আজ বাঙালি বাঙালি বলে ন্যাকামি করার সময় এই ঐতিহাসিক সত্যটা সবাইকে মনে রাখতে হবে।

পথপ্রদর্শক মাননীয় তপন ঘোষ 
4th November 2019

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted