১৪০০ বছর আগে পৃথিবীর মানুষ প্রথম বুঝতে পেরেছিলো ‘প্রতিটি প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে!

তিন হাজার বছর আগে গ্রীকরা নাটক লিখেছে। সেই নাটক মঞ্চে অভিনীত হতো। ‘হেলেন’ নাটকটা ইউরিপিদেস লিখেছিলেন তিন হাজার বছর আগে। স্পার্টা আর ট্রয় নগরী যুদ্ধে জড়ায় সমুদ্রে যুদ্ধ জাহাজ নিয়ে। তখন আরবরা উট আর দুম্বা চড়াতো আর যাযাবরের মত ঘুরে বেড়াত। আরো পরে তখনও আরবরা বাথরুম বানানো শিখেনি, ঘরের ছাদ দেয়া শিখেনি (কাবাঘরের উপর প্রথম ছাদ দেয়া হয়েছিলো এক ইউরোপীয়ান কারিগরের মাধ্যমে। ভাঙ্গা জাহাজের কাঠ দিয়ে সেই ছাদ এক গ্রীক কারিগর তৈরি করে দিয়েছিলেন, ইবনে হিশাম, সিরাতুল নবী) তাদের ‘রুহানী বংশধররা’ এখন ‘আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে’ বলে এমন একটা ভাব করতে চায় বুঝি ১৪০০ বছর আগে পৃথিবীর মানুষ প্রথম বুঝতে পেরেছিলো ‘প্রতিটি প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে! আর আগে মানুষ আর মরেনি!... 


অথচ মিশরীয়, রোম, গ্রীক সভ্যতা তখন দীপ্যমান। বিজ্ঞান তখনো প্রযুক্তিতে পিছিয়ে থাকলেও ৩০০০ বছর আগে গ্রীক বিজ্ঞানী বলেছিলেন চাঁদ পাথরের তৈরি আর এটা পৃথিবী থেকে খন্ডিত একটি অংশ। অথচ তখনো আরবে চন্দ্র দেবতার (হুবাল) সামনে শেজদা দেয় হয়। গ্রীকরাও করত। ভারতবর্ষও করত। শিবের মাথার চাঁদ আর ইসলামের চাঁদ প্রাচীন টোটেম সভ্যতার চিহ্ন বহন করে চলেছে। মসজিদের মিনারের মাথায় যে চিক্কন চাঁদের সিম্বল দেখি সেটি হুবালের চন্দ্র সিম্বল। চন্দ্র দেবতা। ভারতে চন্দ্র দেবতা শিব। এসব থেকেই চন্দ্র বংশীয় সূর্য বংশীয় পরিচয়গুলি এসেছে। যাই হোক, ১৪০০ বছর এই সেদিনের কথা। সেসময় আমাদের এই ভারতবর্ষও চিন্তা ভাবনায় অনেক মহান জ্ঞানী মানুষদের পেয়ে গেছে। সাহিত্য বিজ্ঞানে অনেক মৌলিক কাজ হয়েছে। ভারতবর্ষকে  আরব বর্বরা  শেষ করে দিয়েছে। তাই অগ্রগতি থেমে গেছে। সেটা অন্য আলোচনা। বলছিলাম, ওয়াজ শুনতে গেলেই দেখবেন, ‘আজ থেকে ১৪০০ বছর আগেই হুজুরেপাক অমুক কথা বলে গেছেন’ টাইপের হাইপ তোলা হয়। আপনাদের জানা উচিত, আড়াই হাজার বছর আগেই গ্রীকরা মেডিকেল কলেজ বানিয়ে সেখানে চিকিত্সক তৈরি শুরু করেছে। গ্রীক নাট্যকারদের বিখ্যাত নাটকগুলি লেখার পঞ্চাশ বছর আগেই অ্যারিস্টটল তার কাব্যসাহিত্যের গ্রন্থ রচনা করে ফেলেছেন। মনে রাখবেন, ১৪০০ বছর আগে মানব সভ্যতার সূচনা নয়। একটু ইতিহাস পড়ুন। হাদিস নয়...।

লেখা: ©সুষুপ্ত পাঠক Susupto Pathok

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted