হিজাব-বোরকা মহিলাদের অবরুদ্ধের প্রতীক।

হিজাব-বোরকা মুসলিম মহিলাদের অবরুদ্ধের প্রতীক।
✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️

মুসলিম সমাজ হল শৃঙ্খলিত এক ক্রীতদাসের সমাজ।এক বৌদ্ধিক দাসত্ব বৃত্তির সমাজ।সেই সমাজে চিন্তার কোন স্বাধীনতা নেই মুক্ত চিন্তার কোন সুযোগ নেই।ক্রীতদাসের মতো শুধু নিয়ম পালন করাই ইসলামের শিক্ষা।একটি আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন জাতি বা সম্প্রদায় কখনো এমন হতে পারেনা। মান-সম্মান,সভ্যতা ও ঐতিহ্যকে জলাঞ্জলি দিয়ে এমন কিছু করা উচিত নয় যা নিজেদের সমাজকে কলুষিত করে।

একজন মুসলিম ইচ্ছে করলেও হিজাব বা বোরকার বিরোধিতা করতে পারেনা।কারন কোরানে যা কিছু আছে তাকে অভ্রান্ত বলে মেনে নিতে হয়।শিক্ষিত বা অশিক্ষিত প্রায় সব মুসলমানকেই বিশ্বাস করতে হয় শিক্ষার মূল উদ্দেশ্যই হল কোরান-হাদিসের জ্ঞানকে ব্যাখ্যা করা ও প্রচার করা।তাকে বিচার বা প্রশ্ন করা নয়।তাই মুসলিম সমাজের বৌদ্ধিক স্থবিরত্ব খুবই পীড়াদায়ক।প্রকৃতপক্ষে অশিক্ষার অন্ধকার এবং বৌদ্ধিক স্থবিরত্বের শিকার হয়ে মুসলিম সমাজ আজ দিশেহারা।

ইসলাম শিক্ষা দিয়েছে অমুসলমানের বিরুদ্ধে মুসলমান সর্বদাই যুদ্ধরত।তাই ঘটনা যতই অযৌক্তিক অসম বা সভ্যতা বিবর্জিত হোক না কেন মুসলমান পরাজয় শিকার করবে না এটাই ইসলামের শিক্ষা। আল্লাহর নির্দেশিত পথে যে সংগ্রাম করবে সে নিহত বা পরাজিত হোক তাকে আমি শীগ্রই মহাপুরস্কার দান করব(৪-৭৪)
অর্থাৎ সে স্বর্গে যাবে।আল্লাহর প্রতি নিঃশর্ত আনুগত্য ও বেহেস্তের হাতছানির ফলে কোটি কোটি মুসলমানকে যুগযুগ ধরে অমানবিক কাজে উদ্বুদ্ধ করেছে।

কোরান-হাদিসের কোথাও মুসলিম মহিলাদের হিজাব বা বোরকা পরার কোন নির্দেশ দেয়া নেই।মহিলাদের সম্ভ্রম রক্ষার জন্য শরীরকে ঢেকে রাখার কথা বলা হয়েছে।এই যে ঢেকে রাখার বিধান তার থেকেই বোরকা বা হিজাবের মতো একটি পোশাক মুসলিম নারীদের সর্বাঙ্গ ঢেকে রাখার প্রসঙ্গ এসেছে।কিন্তু এই বোরকা এখন জিহাদের একটি অনুসঙ্গ হিসাবে পরিগনিত।বোরকা পরে মহিলারা এখন চোরাচালানের মতো গর্হিত কাজে জড়িয়ে পড়েছে।প্রায়ই মলে বোরকা পরা মহিলারা ধরা পড়ছে চুরির দায়ে।বোরকা বেশ্যাবৃত্তির একটি নির্ভরযোগ্য পোশাক।বোরকা পরে প্রতারণা জালিয়াতি করতেও দেখা যাচ্ছে।ফলে বোরকা পরা মহিলাদের প্রতি মানুষের আস্থা দিনদিন ক্ষীণ হচ্ছে অশ্রদ্ধা বাড়ছে।কিন্তু এনিয়ে মুসলিম সমাজের কোন মাথাব্যথা নেই।নির্লজ্জের মতো এই পোশাককেই তারা আকড়ে থাকতে চান একটি মাত্র কারনে আর তাহল ইসলামের শিক্ষা।একটি জাতি আত্মসম্মান নিয়ে বাচতে চাইলে সেই জাতির অবস্থান সব সময় সততা-ন্যায়পরায়নতা,যথার্থতা,আদর্শপরায়নতা,নৈতিকতা পক্ষে থাকতে হবে।নইলে সে জাতির অস্তিত্ব বিলুপ্ত হতে বাধ্য।মুসলিম সমাজে নারীজাতি কতটুকু সম্মানের আসনে প্রতিষ্ঠিত তা খুব ভালভাবে ফুটে উঠেছে, যখন আল্লাহ বলেন,"পুরুষ নারীর কর্তা,কারণ আল্লাহ এক-কে অপরের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন,আর এ শ্রেষ্ঠত্ব এজন্য যে,পুরুষ নারীর ভরনপোষনের জন্য টাকা খরচ করে।কাজেই সাধ্বী নারী লোকচক্ষুর অন্তরালে আনুগত্য ও ইজ্জৎ রক্ষাকারিণী।স্ত্রীদের মধ্যে যাদের অবাধ্যতা আশঙ্কা কর প্রথমে তাদের সদুপদেশ দাও,তারপর তাদের শয্যা ত্যাগ কর এবং প্রহার কর "
(কোরান-৪/৩৪)।

কাজেই বুঝতে অসুবিধা হয় না,বৌদ্ধিক দিক দিয়ে অবরুদ্ধ এই রকম একটি ক্রীতদাসের সমাজ সভ্যতার পথে কতটা বিপদজনক।বুদ্ধি ও চিন্তার এই চরম দাসত্ববৃত্তিই মুসলিম সমাজের অগ্রগতির পথে প্রধান অন্তরায়।উপরন্তু কোরানে আল্লাহর বানী পাঠ করলে এটাই পরিস্কার হয় যে,আল্লাহ তার বান্দাদের মানুষ হবার সমস্ত রাস্তা বন্ধ করে শুধু মুসলমান করে রাখার পক্ষপাতি।তাই এই সমাজের মানুষের শুভবুদ্ধির উদয় হোক এই কামনাই করি।

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted