ইসলাম সম্পর্কে সারা বিশ্বের বিশিস্ট ব্যক্তিদের মতামত-

ইসলাম সম্পর্কে সারা বিশ্বের  বিশিস্ট ব্যক্তিদের মতামত-

১। "ইসলাম হচ্ছে এক রাজনৈতিক আক্রমনকারী পরধর্ম অসহিষ্ণু বিস্তারবাদী আন্দোলন। যারা আল্লাহ মানে না, যাদের কোরানে বিশ্বাস নেই কিংবা মূর্তি পূজার মাধ্যমে উপাসনা করে, এমন  নাগরিকদের দেশের উপর আক্রমন করে তাদের পরাভূত করা, তাদের সম্পত্তি লুটপাট করা, তাদের মহিলাদের লুটের মাল হিসেবে সৈনিকদের দ্বারা বলৎকার করানো, তাদের ধর্মান্তর করে মুসলমান করা, আর যারা ধররান্তরিত হলো না, তাদের উপর অত্যাচারের পূনরাবৃত্তি অবিরত চালু রাখা- এই হচ্ছে কোরানের শিক্ষা"

- গোপাল গডসে ।



২। পৃথিবীর দুইটি ধর্ম সম্প্রদায় আছে অন্য সমস্ত ধর্মমতের সঙ্গে যাদের বিরুদ্ধতা অত্যুগ্র- সে হচ্ছে খৃষ্টান আর মুসলমান ধর্ম। তারা নিজের ধর্ম পালন করে সন্তুষ্ট নয়, অন্য ধর্মকে সংহার করতে উদ্যত। এই জন্য তাদের ধর্ম গ্রহন করা ছাড়া তাদের সঙ্গে মেলবার অন্য কোন উপায় নেই।"

- রবীন্দ্রনাথ। (রবীন্দ্র রচনাবলী, জন্মশতবার্ষিক সংস্করণ, ত্রয়োদশ খণ্ড, পৃ-৩৫৬)

৩। "বস্তুত মুসলমান যদি কখনও বলে হিন্দুর সহিত মিলন করিতে চাই, সে যে ছলনা ছাড়া আরা কিছু হইতে পারে ভাবিয়া পাওয়া কঠিন।"
"হিন্দু মুসলমান মিলন একটি গালভরা শব্দ, যুগে যুগে এমন অনেক গালভরা বাক্যই উদ্ভাবিত হইয়াছে, কিন্তু ঐ গাল ভরানোর অতিরিক্ত সে আর কোন কাজেই আসে নাই।"

- শরৎচন্দ্র । (শরৎ রচনাবলী জন্মশতবার্ষিক সংস্করণ, তৃতীয় খণ্ড, পৃ-৪৭৩)

ইসলাম সম্পর্কে শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যায় -

যখন ধর্মের প্রতি মোহ তাহাদের কমিবে, যখন বুঝিবে যে কোন ধর্মই হোক তাহার গোড়ামী লইয়া গর্ব করিবার মত এমন লজ্জাকর ব্যপার, এত বড় বর্বরতা মানুষের আর দ্বিতীয় নাই, কিন্তু সে বোঝার এখনো অনেক বিলম্ব এবং জগতশুদ্ধলোক মিলিয়া মুসলমানের শিক্ষার ব্যবস্থা না করিলে ইহাদের কোন দিন চোখ খুলিবে কিনা সন্দেহ।

৪। "ইসলাম ধর্মীরা কোরানের দুইটি আয়াত, 'পৌত্তলিকদের যেখানে পাও হত্যা কর' এবং 'অতএব ধর্মযুদ্ধে তাদের বন্দী করে হয় বশ্যতার অঙ্গীকার নতুবা মুক্তিপনের বিনিময়ে ছেড়ে দাও, অনুযায়ী ঈশ্বরের দোহাই দিয়ে বলে যে, বহু দেবদেবীতে বিশ্বাসী পৌত্তালিকদের হত্যা বা নির্যাতন করা ঈশ্বরের নির্দেশ এবং অবশ্যিক। সুতরাং ইসলাম ধর্মের ধর্মীয় উন্মাদনা এবং ঈশ্বরের নির্দেশ পালনে সেই পৌত্তলিকগণকে হত্যা ও নির্যাতন করতে একালে বা সেকালে কখনই বিরত হয় নাই।"

- রাজা রামমোহন রায়।
(তুহাফাত-উল-মুওয়াদ্দীন, রামমোহন স্মরণ, মার্চ ১৯৮৯, পরিশিষ্ট, পৃ.-৩১)

ইসলাম সম্পর্কে রাজা রামমোহন রায় -

ঐসব দৈবী নির্দেশে আস্থা রাখার জন্য ইসলাম ধর্মীরা ব্রাম্মন জাতীর অনেক ক্ষতি করেছেন ও তাদের উপর অনেক নির্যাতন করেছেন, এমনকি মৃত্যু ভয়ও দেখিয়েছে তবু তারা ধর্ম পরিত্যাগ করতে পারেনি। ইসলাম অনুবর্তীরা কোরানের পবিত্র শ্লোকের মর্মানুসারে অবিশ্বাসীদের ধর্ম যুদ্ধ করে বেঁধে আনো এবং তাদের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে মুক্ত করে দাও বা বশ্যতা স্বীকার করাও এগুলি ঈশ্বরের নির্দেশ বলে উল্লেখ করে যেন পৌত্তলিকদের বধ করা তাদের নানাভাবে নির্যাতন করা ঈশ্বর আদেশে অবস্য কর্তব্য। মুসলমানদের মতে পৌত্তলিকদের মধ্যে ব্রাম্মনেরাই সবচেয়ে বড় পৌত্তলিক সে জন্যই ইসলামানুবর্তীরা সর্বদাই ধর্মাউন্মাদে মত্ত হয় এবং তাদের আল্লার আদেশ মানবার উৎসাহে বহু দেবদেবাদিদের ও শেষ পয়গম্ভরের ধর্ম প্রচারে অবিশ্বাসীদের বধ করতে ত্রুটি করেনি।

৫।
"আপনার মত (প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান) শিক্ষিত সংস্কৃতিবান এবং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তি আজ এমন দর্শনের প্রচারক হয়ে গেলেন, যে দর্শন মানবতার পক্ষে ভয়াবহ বিপজ্জনক এবং যে দর্শন ন্যায় ও শুভ চিন্তাধারা থেকে উদ্ভুত যাবতীয় নীতিমালার পক্ষে ক্ষতিকারক।"

- মুসলিম লীগের প্রাক্তন সহযোগী সদস্য মি যোগেন্দ্রনাথ মন্ডল।

৬। ইসলাম সম্পর্কে স্বামী বিবেকানন্দঃ-

এ বিষয়ে মুসলমানরা অত্যান্ত স্থুল দৃষ্টি সম্পূর্ণ এবং সাম্প্রদায়ীক মনভাবাপন্ন। তাদের সিদ্ধ বাক্য শুধু একটিই - লা-ইলাহা-ইল্লাল্লা-মোহাম্মদুর-রাসুলাল্লাহ অর্থাৎ- ঈশ্বর মাত্র একজন এবং মোহাম্মদ তার রসুল, এই সিদ্ধ বাক্যের বাইরে আর যা কিছু আছে সবই নিকৃষ্ট বস্তু এবং অবিলম্বে সেগুলোকে ধ্বংস করে ফেলতে হবে এই হল মুসলমানদের কথা, এ কথায় যে বিশ্বাস করেনা সে পুরুষই হোক কিংবা নারীই হোক মুহুর্তের হুশিয়ারী দিয়ে তাকে হত্যা করা হবে। যা কিছু এই উপাসনা পদ্ধতির অন্তর্গত নয় তাকে মুহুর্তের মধ্যে ধ্বংস করতে হবে। এ বিশ্বাসের সাথে মিলছে না এমন যত গ্রন্থ আছে সেগুলিকে দগ্ধ করতে হবে।
প্রসান্ত মহাসগর থেকে শুরু করে আটলান্টিক মহাসাগর পর্যন্ত পাঁচ শত বর্ষ ব্যাপী পৃথিবীর বুকে এই একি কারনে রক্তের বন্যা বয়ে গিয়েছে, এই হল ইসলাম।"
(স্বামী বিবেকানন্দ রচনাবলী (প্রকটিক্যাল বেদান্ত), ৪র্থ খণ্ড, পৃ-১২৫ ও ২য় খণ্ড, পৃ-৩৫২)

৭। ইসলাম সম্মর্কে বি আর আম্মেদকার -

ইসলামের ভাতৃত্ব মোটেই বিশ্ব ভাতৃত্ব নয় এটা কেবলমাত্র মুসলমানদের জন্যই যারা মুসলমান তারাই কেবল এর সুযোগ পাবে কিন্তু অমুসলমানরা পাবে কেবল শত্রুতা। যেখানেই ইসলামিক শাসন রয়েছে সেটাই মুসলমানদের নিজের দেশ, বস্তুত ইসলাম একজন প্রকৃত মুসলমানকে কখনোই ভারতকে তার নিজের দেশ বলে মেনে নিতে দেবেনা বা হিন্দুদেরকে তার আত্মীয় বলে স্বীকার করতে দিতে পারেনা।

৮। ইসলাম সম্পর্কে মোহনদাশ করমচাদ গান্ধী -

জাতীয় স্বাধীনতা আন্দলনে মুসলমানরা কোন আগ্রহ দেখায়নী, মুসলমানদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সত্য তারা ভারতকে নিজের দেশ বলে স্বীকার করেনা।

হজরত মোহাম্মদের নিরপেক্ষ জীবনীকার ও বিশ্ব বিখ্যাত ঐতিহাসিক স্যার উইলিয়াম মূর বলেছেন -

কোরান ও ইসলামের তরবারী মানব সভ্যতা, স্বাধীনতা ও সত্যের সবচেয়ে বড় শত্রু যা আজ পর্যন্ত মানুষ দেখেছে।

৯। ইসলাম সম্পর্কে রোনাল্ড রেগান -

সম্প্রতি আমরা একটা ধর্মযুদ্ধের সম্ভাবনা দেখছি আক্ষরিক অর্থেই কারন মুসলমানরা তাদের জিহাদের মূল ধারনতা ফিরে আসছে যে খ্রিষ্টান ও ইহুদিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে প্রান সেওয়াটাই তাদের স্বর্গে যাওয়ার উপায়।

১০। ইসলাম সম্পর্কে মার্গারেট থ্যচার -

আজকের দিনে বলসেহিজমের মত চরমপন্থী ইসলামও একটা সশস্ত্র মতবাদ, এটা একটা আক্রমনাত্বক ধর্মতত্ব যা সশস্ত্র ধর্মান্ধ অনুগামীদের দ্বারা প্রসার লাভ করেছে। কমনিউনিজমের মত এটাকে দমন করার জন্য সর্বাত্মক দীর্ঘ মেয়াদী রণনীতি প্রয়োজন।

১১। ইসলাম সম্পর্কে উইলিয়াম গ্লাক্সটোন -

যতদিন কোরান আছে ততদিন পৃথিবীতে শান্তি নেই।

১২। ইসলাম সম্পর্কে নীরদচন্দ্র চৌধুরী -

মুসলিম ধর্ম বিশ্বাসের বিধান অনুযায়ী মুসলমানও তেমনি সকল মুসলমানকে আপন ও সকল হিন্দুকে পর মনে করিতে বাধ্য । বরঞ্চ মুসলমান সমাজের আভ্যন্তরিন সাম্য ও ভাতৃত্ব ভাবের জন্য অমুসলমান সম্বন্ধে তাহারা আরো বেশি সজ্ঞান । মুসলমান ধর্ম শাস্ত্রের নির্দেশ মত মুসলিম মাত্রেরই নিকট পৃথিবী দুই ভাগে বিভক্ত-
১। দারওল ইসলাম  ২। দারওল হরব ।
দারওল ইসলামের অর্থ ইসলামের দেশ অর্থাৎ যে দেশে মুসলমান ধর্মাবলম্বী শসক কর্তৃক  অধিকৃত ও শাষিত।
দারওল হরবের অর্থ যুদ্ধের দেশ, যে দেশে যুদ্ধ করিয়া ইসলামের প্রাধান্য স্থাপন করিতে হইবে।
ইসলামের বিধান অনুসারে কোন মুসলমান অমুসলমানের অধীন থাকতে পারেনা শুধু তাই নয় অমুসলমান জগৎ এবং মুসলমান জগতের মধ্যে চিরন্তন বিরোধ, এই জন্যই অমুসলমান জগতের নাম করন হইয়াছে দারওল হরব -যুদ্ধের দেশ।
এই নির্দেশের জন্য অমুসলমান ও মুসলমান রাজ্যের মধ্যে কোন মৈত্রী হতে পারে না। যতদিন পর্যন্তনা দারওল হরব দারওল ইসলামে পরিনত হইবে ততদিন পর্যন্ত বিশ্বাসী মুসলমান মাত্রকেই জিহাদ বা ধর্ম যুদ্ধ চালাইতে হইবে।
জিহাদের নির্দেশ অনুযায়ী অবিশ্বাসীকে হয় (১) মুসলমান হইতে হইবে কিংবা (২) মুসলমানের প্রধান্য স্বীকার করিয়া ও জিজিয়া দিতে স্বীকৃত হইয়ে আশ্রিত হইয়া থাকিতে হইবে কিংবা (৩) যুদ্ধ করিতে হইবে।
ইসলামের বিধান জানিলে এই তিন পথের এক পথ ভিন্ন মুসলমানের অমুসলমানের নিকট যাইবার চতুর্থ আর কোন পথ নাই।

Rezaul Manik

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted