মুসলমানদের হিন্দু হয়ে উঠা ছাড়া কোন বিকল্প নেই।
✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️
হিন্দু হয়ে উঠা মানে ধর্মান্তরিত হয়ে যাওয়া নয় সনাতন সংস্কৃতিকে আঁকড়ে থাকা।সনাতন সংস্কৃতি থেকে বিচ্যুত হয়ে কোন সম্প্রদায় এখনো পর্যন্ত এই উপমহাদেশে নিজস্ব সংস্কৃতি গড়ে তুলতে পারেনি।ফলে ধর্মে ধর্মে সংঘাত অনিবার্য হয়ে উঠেছে।ইসলাম একটি মরু সংস্কৃতির ধর্ম।ইসলামের সংবিধান ধর্মকে মানবিক আচার-আচরনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে পারেনি।ধর্ম যখন বল প্রয়োগের কথা বলে তখন ধর্ম আর ধর্ম থাকেনা।ইসলামে ধর্মীয় আগ্রাসন এই উপমহাদেশে যে পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে তাতে হয় ইসলাম গ্রহণ করতে হবে নয়তো দেশ ছাড়তে হবে।
এতে ভিন্ন ধর্মাবলম্বী যারা যে দেশে সংখ্যালঘু তাদের দেশত্যাগ একমাত্র অবলম্বন।কারণ ইসলাম ছাড়া অন্যকোন ধর্মে হত্যা ধর্ষন নৃশংস আচরনের শিক্ষা দেয়নি।যার পরিনতিতে এই উপমহাদেশে পাকিস্তান আফগানিস্তান হিন্দুশূন্য হয়েছে বাংলাদেশও হওয়ার পথে।
সনাতন সংস্কৃতি থেকে বিচ্যুত হয়ে পাকিস্তান পরিনত হয়েছে
সন্ত্রাসের স্বর্গ রাজ্যে।সেখানে অন্যকোন ধর্মের সঙ্গে নয় ইসলাম সংঘর্ষে লিপ্ত স্বধর্মের সাথে।কারণ ইসলাম পৃথিবীতে একটি সভ্য সহানুভূতিশীল জনগোষ্ঠী তৈরিতে দিক নির্দেশনা দিতে পারেনি।আফগানিস্তানে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে কিন্তু কোন ইসলামি দেশ আফগানিস্তানের সাথে কোন সম্পর্ক রাখেনি।পৃথিবীতে আফগানিস্তান একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিনত হয়েছে।
একই পরিনতি বাংলাদেশেরও হবে।সেখানে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা ২৬% থেকে ৭% এ নেমে এসেছে।এখনো বাংলাদেশ আফগানিস্তান না হওয়ার পিছনের কারণ হলো ভারতীয় সংস্কৃতির একটি চোরাস্রোত এখনো বাংলাদেশে বহমান।বাংলাদেশের কিছু মুসলমান এখনো বিশ্বাস করে পৃথিবীতে সনাতন সংস্কৃতি একটি নির্ভরযোগ্য সুস্থির পরিবেশের পরিচয় বহন করে চলেছে। তাদের রক্তে সনাতন সংস্কৃতির ধারা এখনো জেগে আছে।
বাংলাদেশে প্রাত্যহিক জীবনে এখানো সনাতন সংস্কৃতি জেগে রয়েছে।কথা-বার্তা আচার-আচরণ চলা-ফেরা প্রাথমিক শিক্ষা থেকে উচ্চতর শিক্ষার প্রতিটি ক্ষেত্রে সনাতন সংস্কৃতি সমাজকে আষ্ট্রে-প্রিষ্ট্রে জড়িয়ে রেখেছে। ইসলাম প্রতিষ্ঠার নামে সেখানে স্কুল কলেজ প্রাথমিক শিক্ষায় বদল এনে সনাতন সংস্কৃতিকে আটকানোর চেষ্টা অবিরাম চলছে।কিন্তু রক্তের সাথে যে সংস্কৃতি মিশে রয়েছে তাকে আটকানোর ক্ষমতা কারো নেই।গায়ের জোড়ে অথবা রাষ্ট্রীয় মদতে বাংলাদেশ একটি মরু সংস্কৃতির দেশ হতে পারবে কিন্তু তাদের পাকিস্তান বা আফগানিস্তানের ভাগ্য বরন করে নিতে হবে।
সনাতন সংস্কৃতি মুঘল আমলে গড়ে উঠেনি।এর ব্যাপ্তি ৫হাজার বছরের ও অধিক সময় পূর্ব থেকে গড়ে উঠা এক অনাবিল সমাজ গড়ার লক্ষে।সনাতন সংস্কৃতি বলতে যা বুঝায় শিক্ষা সাহিত্য সংগীত ললিতকলা ক্রীড়া মানবিকতা জ্ঞানের উৎকর্ষতা আচার আচরণ রীতিনীতি সবই একটি নির্দিষ্ট লক্ষে পৌঁছে যাওয়া জন্য দরকার।কিন্তু এর একটি দিকও ইসলাম সমর্থন করে না।কারণ তাদের ধারণা আল্লাহর ইচ্ছে ছাড়া গাছের পাতাও নড়েনা।তারপরও শিক্ষা সাহিত্যে ও অন্যান্য ক্ষেত্রে তাদের পদচালনা রয়েছে সনাতন সংস্কৃতিকে অস্বীকার করে নয়।সনাতন সংস্কৃতির কোন বিকল্প হয়না।সনাতন সংস্কৃতি আজ সারা পৃথিবীতে সমাদৃত।সপ্তদশ শতকের পর মরু সংস্কৃতি এ উপমহাদেশে এসেছে কিন্তু শতাব্দীর পর শতাব্দী কেটে গিয়েছে অথচ এখনো পর্যন্ত এই সংস্কৃতি সার্বজনীন রূপ লাভ করতে পারেনি।
ধর্ম দর্শন শাসন কাঠামো ও ধারণার অপসাংস্কৃতিক ধারা এই ভূখন্ডে এসে সনাতন সংস্কৃতিকে বাধাগ্রস্ত করেছে কিন্তু মুছে দিতে পারেনি।কারণ সনাতন শাশ্বত চির নুতন।আরব ধর্ম প্রচারকরা নিয়ে এসেছিল মৌলবাদী ইসলাম।যার প্রভাব সনাতন সংস্কৃতিকে পরাজিত করতে পারেনি।সনাতন সংস্কৃতির ব্যত্যয় ঘটেছিল জাতপাতের জন্য।এটি একটি চিরাচরিত সমস্যা।সভ্যতার বিবর্তনে হিন্দুদের মধ্যে জাগরন এসেছে।তারা যে শ্রেষ্ঠ তা আজ প্রতি মুহুর্তে সারা বিশ্ব অনুধাবন করতে পাচ্ছে।
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................