বন্ধুরা,
এই ছবিটিতে যাঁকে দেখতে পাচ্ছেন, বলতে পারেন - ইনি কি?
ইনিই সেই ব্যক্তিত্ব, স্বাধীনতা পরবর্তী কলকাতা থেকে কংগ্রেসের পক্ষে পরপর তিনবারের নির্বাচিত সাংসদ .....।
ইনিই সেই ব্যক্তিত্ব, - ১০’ই অক্টোবর ১৯৪৬-এর কোজাগরী পুর্ণিমার রাতে শুরু হওয়া “নোয়াখালী হিন্দু-গণহত্যা” শুরু হবার মাত্র ৯ দিনের মাথাতেই সংবাদ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে নদীনালা বিধৌত ভয়ংকর দুর্গম সেই মৃত্যুপুরীতে প্রাণ হাতে নিয়ে ছুটে যান, এবং মাস খানেকের মাথায় আবার একবার সেখানে হাজির হন গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেবার জন্য ...।
... এবং অবশ্যই ইনিই সেই ব্যক্তিত্ব, যিনি ছিলেন একাধারে তৎকালীন “আনন্দ বাজার পত্রিকা"র মুখ্য সম্পাদক এবং অপরদিকে এক নিরপেক্ষ মানবিকতার প্রতীক.....।
হ্যাঁ বন্ধুরা, স্বর্গত এই ভদ্রলোকের নাম.... শ্রী চপলাকান্ত ভট্টাচার্য। নিজের সৃষ্টি “নোয়াখালির ধ্বংসকান্ড” শীর্ষক পুস্তিকায় যিনি রেখে গিয়েছেন সে সব দিনের এক অমূল্য এবং বিভীষিকাময় চিত্রের উপস্থিতি....।
.... আর সম্ভবত এই কারণেই ইনিই সেই ব্যক্তিত্ব, ইতিহাস যাঁকে মনে রাখেনি। বা বলা ভালো, - ভুলিয়ে দিয়েছে।
আজ আবারও একবার তাঁর চরণে প্রণতি জানাই। তাঁর কাছে আশীর্বাদ কামনা করি,.... আগামী দিনের ভয়ঙ্কর ধর্ম যুদ্ধে সাফল্য লাভের কামনায়।
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................