ড. নজিবুল্লাহ, আফগানিস্তানের সাবেক কমিউনিস্ট প্রেসিডেন্ট ছিলেন। সাম্প্রদায়িকতা ও মোল্লাতন্ত্র সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে এনেছিলেন তার দেশে। মুজাহিদদের ক্ষমতা দখলের পর তিনি রাষ্ট্রসংঘের আশ্রয়ে কাবুলেই ছিলেন। শেষ মুহূর্ত অবধি তিনি কাবুল ছাড়তে চাননি। বিদ্রোহী মুজাহিদ'রা কমিউনিস্ট শাসন সমূলে উৎখাত করলে তার দেশত্যাগ সম্ভব হয়নি আর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় কাবুলে লো প্রোফাইল রেখে চলতেন। শেষ কদিন তিনি পাশতু ভাষায় গ্রন্থ অনুবাদে মন দিয়েছিলেন।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তার আশ্রয় থেকে কাউকে আক্রমণ করা আন্তর্জাতিক প্রটোকলে নিষিদ্ধ।
কাপুরুষ তালিবান কাবুল দখল করার পর তার 'শাস্তির বিধান' দেয়। প্রথমে তাকে নিদারুণ প্রহার করতে করতে রাষ্ট্রসঙ্ঘের ভবন থেকে টেনে বের করে আনে। এরপর জীবিত অবস্থায় তার পুরুষাঙ্গ কর্তন করে। তারপর গাড়ির পেছনে বেঁধে কয়েক কিলো (!) দূরত্ব টেনে নিয়ে যায়। তারপর সেই লাশটিকে জনসমক্ষে ল্যাম্প পোস্টে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখে কয়েকদিন। তার ভাইও তার অন্তিম যাত্রার সঙ্গী হয়েছিলেন।
ভুল করেও যদি মোল্লাতন্ত্র এদেশে ক্ষমতায় চলে আসে বুঝতে পারছেন দেশটার কি হবে? আজ আজহারী'রা কোন রাজনৈতিক নেতা না হয়েও যেভাবে যুদ্ধাপরাধী সাঈদীর গুনগান গেয়ে তাকে পবিত্র বানাচ্ছে ভরা মজলিসে, আহমদ শফী ঘোষনা করছে কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষনা না করলে তারা সরকারের সাথে নেই। কাল যদি আহমদ শফি বা মৌলবাদী শক্তি ভুল করেও কোন উচ্চপদে চলে যায় বুঝতে পারছেন কি হবে দেশটার?
সৌজন্যে- 'আমরা হব তালিবান, বাংলা হবে আফগান'
চিত্র: নিষ্ঠুর দৃশ্যের জন্য সচেতনতা অবলম্বন প্রার্থনীয়।
© Nazmul Hossain
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................