এই বাংলার সেকুলার বাঙালি আর ৪০ কোটি :
--------------------------------------------------------------
ওপার বাংলা থেকে শান্তির ধর্মের অনুরাগীদের দ্বারা বাঙালি নারী ধর্ষিত হয়ে আশ্রয়ের খোঁজে আসলে, এপারের কলকাতার প্রগতিশীল বাঙালি নেতারা তাদের সত্ত্বর জেলে পুরে দেয়, অথচ ভোটের লোভে মুসলমান অনুপ্রবেশকারীদের সেই নেতারাই জামাই আদরে ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড সযত্নে হাতে তুলে দেয় !
পেট্রডলারের নেশায় বুঁদ এবাংলার সংবাদমাধ্যমে কোথাও প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্রে বসবাসকারী হিন্দুদের নির্যাতনের কথা লেখা হয় না। ভোলার ঘটনা কলকাতার কটা কাগজে বেরিয়েছিল? ওপার বাংলার বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতি হিন্দুদের দুর্দশার কথা তুলে ধরে একটি ওয়েবসাইট-'বাংলাদেশ হিন্দু' সেটি কায়দা করে ভারত সরকার এদেশে প্রদর্শন বন্ধ করে দিয়েছে। কলকাতার বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, লেখক, কবি বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নিপীড়ন নিয়ে মুখে তালা এঁটেছেন, নয়তো বছরে অন্তত একবার ওবাংলায় গিয়ে রাজকীয় আতিথেয়তা আর উপঢৌকন জুটবে না যে !
ভাবতে অবাক লাগে যে, সংখ্যালঘু হিন্দু নিপীড়ন নিয়ে 'পাক সার জমিন সাদবাদ' আর '১০০০০ ও একটি ধর্ষণ' এর মত বই লিখে শ্রদ্ধেয় হুমায়ুন আজাদকে প্রাণ দিতে হয়েছে মহাউন্মাদের অনুসারীদের আক্রমনে, অথচ কলকাতার লেখক সমাজের এই ইস্যুতে কলম চলেনা । সেকুলারিসিমকে এই কলকাতার বুদ্ধিজীবীরা উল্টিয়ে পাল্টিয়ে ধর্ষণ করেই চলেছে...। ৭১২ খ্রিস্টাব্দে এক হাতে কোরান আর আরেক হাতে তরবারী নিয়ে ভারতে পা রেখেছিল ইসলাম। সিন্ধুর রাজা দাহিরকে পরাজিত করে, লুঠপাঠ, হত্যা, ধর্ষণ ও ক্রীতদাস বানানোর মধ্যে দিয়ে তার জয়যাত্রা শুরু হয়েছিল। এর প্রায় ১০০০ বছর পরে ১৭৫৭ তে সেই জয়রথ থেমে গেল ! ৭১২ তে ছিল ৬০ কোটি হিন্দু আর ইংরেজ যখন শুরু করলো তখন হিন্দুর সংখ্যা ২০ কোটি। বাকি ৪০ কোটি গেল কই ?
বাকি চল্লিশ কোটি, শান্তির ধর্মের অনুসারীদের হাতে, খুন বা ধর্ষিত হয়ে বিলুপ্ত হয়েছিল............
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................