রাজীব হায়দার ছিলেন শাহবাগের রবিন্দ্রনাথ
মুসলিম সংখ্যাগুরু পূর্ব পাকিস্তানের মানুষজন তাদের 'সহি মুসলিম স্বত্বা হারিয়ে ফেলছে' এটা প্রমাণ করার জন্য পশ্চিম পাকিস্তান আমদানি করেছিল হিন্দুয়ানি রবিঠাকুরকে। ভারতের জাতীয় সংগীতের 'হিন্দু লেখক' বাঙালি রবিন্দ্রনাথের স্যেকুলার লেখাপত্র, গান, গল্প, উপন্যাসকেও পশ্চিম পাকিস্তান 'হিন্দুয়ানি' বলে চিত্রিত করে এবং নির্মূল করার ঘোষণা করে।
বাঙালি এই 'আরোপিত চিত্র'টা মেনে নেয়নি। তারা বলেছে 'রবিন্দ্রনাথের ধর্ম বিশ্বাস' এক জিনিস আর 'রবিঠাকুরের লেখাপত্র' আরেক জিনিস। মুসলমান আমি ঠাকুরের হিন্দু আইডেনটিটিটাকে গ্রহণ না করে তার লেখক আইডেনটিটিকে দিব্যি গ্রহণ করে নিতে পারি, এবং আমি তা নেব।
বাঙালি সেই আন্দোলনে জিতেছিল।
রাজীব হায়দার নাস্তিক ছিলেন এবং তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারও দাবী করেছিলেন। এন্টি শাহাবাগি সবকটি গ্রুপ পোট্রেট করেছিল নাস্তিক রাজীব যেহেতু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায় সুতরাং সকল শাহাবাগিই নাস্তিক।
তৎকালীন শাহবাগ ঠিক ৫০ বছর আগে রবিঠাকুরের বেলায় বাঙালি যে স্ট্যান্ড নিয়েছিল সেই স্ট্যান্ডই নেয়। তারা বলেছে 'রাজীবের ধর্ম বিশ্বাস' এক জিনিস আর 'রাজীবের রাজাকারের বিচার চাওয়া' আরেক জিনিস। আর লাখোজনের মত রাজীবও এই আন্দোলনের একজন কর্মী।
শাহবাগ এই আন্দোলনে জিততে পারেনি।
ঠিক ৫০ বছর আগে রাষ্ট্রহীন (অন্যরাষ্ট্রের কলোনি) একটা জাতির মারদাঙ্গা সেক্যুলার এপ্রোচ রাষ্ট্র গঠনের ৫০ বছর পর কি অসহায় ভাবে ভেঙে পড়লো।
শহীদ রাজীব হায়দার অমর রাহে
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................