মুহম্মদ নারী মুক্তির অগ্রদূত!!!

নবী মুহম্মদ নাকি আরবের নারী মুক্তির অগ্রদূত! পৃথিবীর কোন আলেম মুফতি মুহম্মদকে নারী মুক্তির জন্য অগ্রদূত বলেননি। এটা বলছে মুসলিম লীগের প্রগতিশীলরা! ইসলামে নারীর ক্ষমতায়ন থাকলে মুহম্মদের পর ইসলামী খিলাফতে মুহম্মদের কোন স্ত্রীকে আমরা দেখতে পেতাম, আফগানিস্তানের বর্তমান নারীদের কওমি শাসকরা মন্ত্রী পরিষদে রাখতো। ইরানের খোমিনি রেজা শাহের মন্ত্রীসভার নারী মন্ত্রীদের তেহরানের পতিতালয়ে ফাঁসি দিয়েছিল কারণ নারীর ক্ষমতায়ন মানে বেশ্যা হতে চাওয়া! ইসলামের হাজার হাজার হাদিসে পুরুষকে নারীর উপর খবরদারি করার কথা বলা হয়েছে। সুরা নিসায় স্পষ্ট করে পুরুষকে নারীর উপর কর্তৃত্ব করতে বলা হয়েছে। অবাধ্য স্ত্রীকে পেটাতে কুরআনের আয়াত আছে। তারপরও কীসের ভিত্তিতে মুহম্মদ নারী মুক্তির অগ্রদূত?

আয়েশা বহু হাদিস বর্ণনা করেছেন। এটা নারীশিক্ষা ও নারীর অন্যকে শিক্ষা দেয়ার দলিল! একজন নবীর স্ত্রী কঠোর পর্দায় থেকে নবী এটা বলেছেন ওটা বলেছেন বলাটা নারীশিক্ষার দলিল বলাটা কুরআনের মধ্যে নানা রকম বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার খোঁজার মত নির্বুদ্ধিতা। তবে এটা কেবল নির্বুদ্ধিতা নয়, এটা ইসলামকে প্রগতিশীল মুসলিম লীগারদের সমাজকে ইসলামীকরণের কৌশল।

ইসলাম আসার আগে আরবের নারীদের অবাধ স্বাধীনতার প্রমাণ পাওয়া যায় কুরাইশদের নীতিনির্ধারণী সভায় নারীর উপস্থিতিতে। আবু সুফিয়ানের স্ত্রী হিন্দ ছিলেন তেমনই একজন। কুরাইশ পুরুষরাও তাকে সমঝে চলতো। মুহম্মদের পৌত্তলিককালের স্ত্রী খাদিজা বিধবা অবস্থায় ব্যবসা করতেন। তিনি নিজে মুহম্মদকে স্বামী নির্বাচন করেছিলেন। অথচ ইসলাম কোন নারীকে নিজের পছন্দে বিয়ের অধিকার দেয়নি। নারীকে বিয়ে দেবে তার পুরুষ অভিভাবক। নারীর কোন তালাক দেয়ার অধিকার নেই। নারীকে কুরআন সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করেছে। অথচ খাদিজা তার মৃত স্বামীর সমস্ত সম্পত্তি পেয়েছিলো। নারীর তথাকথিত সতীত্বের অপবাদের প্রমাণ দিতে চারজন পুরুষ সাক্ষী আনার আইন আজ আরবসহ ইসলামী শাসনে নারীদের ধর্ষণের বিচারের পথ রুদ্ধ করে দিয়েছে। ইরানের নারীদের রেপ কেসের জন্য চারজন পুরুষ সাক্ষী আনতে হয়। ফলে কোন ধর্ষণের অভিযোগেরই বিচার হয় না।

পুরো ইসলাম পড়লে একটিও নারী স্বাধীনতা খুঁজে পাওয়া যায় না। যদি থাকতো তাহলে দেওবন্ধ ও মিশরের আল আজহার নারী স্বাধীনতার ছবক দিতো। তারা ইসলাম জানে না জানে এইসব মুসলিম লীগাররা? মাহরাম ছাড়া অর্থাৎ পুরুষ অভিভাবক ছাড়া যে ধর্ম কয়েক কিলোমিটার যাওয়ার অনুমতি কোন নারীকে দেয় না সে ধর্মের প্রবর্তক হচ্ছেন নারী স্বাধীনতার অগ্রদূত! আসুন সবাই একটু হাসি!

©সুষুপ্ত পাঠক

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted