হিন্দুত্বই সনাতন সংস্কৃতির আধার।
✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️
গর্বের সাথে বলো আমি হিন্দু কথাটি সর্বপ্রথম বলেছিলেন স্বামী বিবেকান্দ।ভৌগোলিক পরিচয়ে আমার অবস্থান পৃথিবীর যেখানেই থাকুক না কেন ধর্ম বিশ্বাসে আমি একজন সনাতনী হিন্দু।আমার কর্তব্য নিজেকে হিন্দু পরিচয় দিয়ে গর্ব অনুভব করা।যা করে দেখিয়েছেন বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক।তিনি কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটিতে ধর্ম প্রচারক মোরারি বাপুর কথা শুনতে সেখানে গিয়ে বলেছেন,আমি একজন গর্বিত হিন্দু,রামচন্দ্র আমার
অনুপ্রেরণা।হিন্দু হিসাবে আমি এখানে এসেছি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়।রাজনীতির কূটকৌশলে তিনি নিজেকে জড়াননি।তিনি বৃটেনের মতো একটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান হয়েও নিজেকে হিন্দু বলতে গর্ব অনুভব করেছেন।এটাই হিন্দু সংস্কৃতির মূল ধারা।
ভারতে এই কথাটি অকপটে বলার স্পর্দা কোন হিন্দু রাষ্ট্রপ্রধান অতীতে দেখাতে পারেননি।অথচ সনাতন ধর্মের পীঠস্থান হিসাবে পরিচিত ভারত যে এককালে হিন্দু ঐতিহ্যের পূন্যভূমি ছিল তার কোন অস্তিত্বই এতদিন ছিলনা ।
ভারতের সংস্কৃতি কয়েক সহস্রাব্দ প্রাচীন।সেইজন্য অনেক ঐতিহাসিকরা এই সভ্যতাটিকে বিশ্বের প্রাচীনতম জীবন্ত সভ্যতা মনে করে থাকেন।ধর্ম ভারতীয়দের জীবনে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকলেও নিজ ধর্মের প্রতি অনিহা নাস্তিকতা অনেক ক্ষেত্রে ধর্ম বিশ্বাসের উপর প্রভাব পড়েছে।ফলে এতদিন ভারত যে একটি হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র তা বুঝাই যায়নি।ভারতে জনসাধারনের মধ্যে যে ধর্ম কেন্দ্রীক পার্থক্য দেখা যায় তা বিশ্বের আর কোন দেশে দেখা যায়না।কারণ এতদিন সেখানে ধর্মের কোন চর্চাই হতো না।
আমি গর্বিত কারণ আমি পৃথিবীর প্রাচীনতম আধ্যাত্মিক আদর্শের একজন অনুসারী।আমি গর্বিত কারণ আমরাই প্রথম পৃথিবীতে জ্ঞানের আলো প্রজ্বলন করেছি।আমরাই প্রথম মানুষকে অমৃতের সন্ধান দিয়েছি।হিন্দু হওয়ার অনুভব থেকেই হিন্দুত্বের সৃষ্টি।গর্বিত হিন্দু আমরা তখনই হতে পারব যখন আমাদের মধ্যে কোন ভেদাভেদ থাকবেনা।হিন্দুত্বের ধারনার পিছনে মূল কারন হলো হিন্দু ঐক্য যা আমাদের মধ্যে প্রায় নেই।
ভারতীয়রা ভাগ্যবান যে
নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদীর মতো একজন সনাতনীকে তারা পেয়েছেন।নইলে এতদিনে ভারত থেকে হিন্দু ঐতিহ্য মুছে যেত।তার দেশপ্রেম হিন্দু পুন:র্জাগরনে তার নিষ্ঠা কর্তব্যপরায়ণতা এক অনন্য নজির হয়ে থাকবে।সম্প্রতি তিনি ব্রিকস সন্মেলন থেকে দেশে ফেরার পথে একদিনের জন্য গ্রীসে যাত্রা বিরতি করেছিলেন।গ্রীক সরকার তাকে গ্রীসের সর্ব্বোচ্চ পদক,"গ্র্যান্ড ক্রস অফ দ্য অর্ডার অন অনার অফ ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে দেন।এটি তার ১৫তম রাষ্ট্রীয় সম্মাননা যা ভারতীয় ইতিহাসে আর কারো নেই।কিন্তু তারচেয়েও উল্লেখযোগ্য ঘটনা ছিল সেই রাতে তিনি গ্রীসের রাজধানীতে ইসকনের মন্দিরে যান এবং মন্দিরের মহারাজের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং সেখানে তিনি প্রসাদ পান।অতীতে ধর্মের প্রতি এতটা অনুরক্ত হতে ভারতের আর কোন রাষ্ট্রনায়ককে দেখা যায়নি।
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................