“পশ্চিমবঙ্গে সংষ্কৃতির যুদ্ধ”
ডাঃ মৃনাল কান্তি দেবনাথ
**** আমার মনে হয়, তোমরা পড়ো কিন্তু মানো না। অবসর বিনোদনের জন্য আমি লিখি না। আর আমি চাই ও না কেউ অবসর বিনোদনের জন্য আমার লেখা পড়ে। আসন্ন যুদ্ধ থেকে কেউ বাচতে পারবেন না। কেউ না। হয় স্ববংশে ধ্বংস হবে না হয় জয়ী হবে। -----***********************************************
অনেকেই হয়তো আমাকে বলতে পারেন আমি “ Professor Of Doom”. কারন আমি আশার বানী লিখি না।
আমি লিখিনা, কারন সামনে কোনো আশার আলো নেই। আমি প্রফেসরি করেছি মেডিকেল নিয়ে। কিন্তু আশির দশকের প্রথম দিকে পড়েছিলাম এক জ্ঞানী প্রফেসরের ভবিষ্যৎ বানী। তার নাম প্রফেসর হানটিংটন। তিনি লিখেছিলেন “আগামী তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ হবে ‘সংষ্কৃতির লড়াই’ , দেশ দখল করার ‘জেহাদী মডেল’ পরিবর্তিত হয়ে ‘তলোয়ারের বদলে হবে সংষ্কৃতি’।
সেই লড়াই শুরু হয়ে গেছে, ২০০১ সালে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ধংসের মধ্য দিয়ে।
বর্তমান পৃথিবীতে ক’টি প্রধান ভিন্ন সংষ্কৃতি আছে? চারটি--- বৈদিক হিন্দু, বৌদ্ধিক- বৌদ্ধ ধর্ম কেন্দ্রিক, খ্রীষ্টিয় এবং ঐসলামিক।
এই ৪ টি সংষ্কৃতির একটির ভরকেন্দ্র আমাদের ভারত, একটী ভারত থেকে উৎপত্তি কিন্তু বর্তমানে ইন্দোচীন, জাপান এবং চীনের কিছু, খ্রীষ্টিয় মুলত ইউরোপ এবং উত্তর এবং দক্কিন আমেরিকায়। চতুর্থ ‘আরবী ঐসলামিক সংষ্কৃতি’ যার মতাদর্শী প্রায় এই পৃথিবীর এক তৃতীয়াংশ, সারা বিশ্বে ছড়িয়ে রয়েছে।
বৈদিক ভারত অন্যকে হিংসা করে না, বৌদ্ধিক রা ‘শান্তি’ ছাড়া কিছু জানে না, খ্রীষ্টীয় রা এক সময় ‘যুদ্ধবাজ’ হলেও এখন ‘লিবারেল’ হয়েছে। এই তিনটির কেউই বর্তমান দুনিয়ায় ‘নিজের মত এবং পথ, বা ঔপনিবেশিকতা স্থাপন করাতে বিশ্বাস করে না।
মাত্র একটি মত এবং পথ, সারা পৃথিবীকে দুই ভাগে ভাগ করেছে, তাদের ‘ধর্মীয় তত্ব’ সম্বলিত নিয়ম কানুনের মধ্য দিয়ে---- এর নাম ‘দারুল ইসলাম’( যেখানে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে) এবং ‘দারুল হারাব’ (যেখানে পুর্ন মাত্রায় ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয় নি)। এদের যুদ্ধের নাম “জেহাদ” । যুদ্ধ পদ্ধতির নাম “রিজিয়া”। এরা চায় সারা পৃথিবী ‘ইসলামের পদতলে’ আসুক এবং তা না হওয়া অবধি এই ‘জেহাদ’ চলবে। এবং চলছেও--- সম্প্রতি ফিলিপাইন্সে হলো, ইউরোপে চলছে, আমাদের ভারতে শুরু হয়েছে নতুন করে, আজ প্রায় ২৫ -৩০ বছর ধরে।
আমাদেশ দেশ ওদের হাতে ছিলো ৮০০ বছর ধরে। বৈদিক হিন্দুদের জোর করে ভয় দেখিয়ে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে। তাদের বংশ ধরেরা আজ প্রায় ২৫%। এরা ভুলতে পারে না যে, এক সময় তাদের নবীর দেশ থেকে আসা একদল যুদ্ধবাজ এই দেশ টা দখল করে ৮০০ বছর ধরে শাসন করেছিলো। তারা সেই দেশের মাত্র তিন ভাগের এক ভাগ পেয়েছে, বাকিটা?????? ওটাও চাই। এটাই হচ্ছে ‘দীর্ঘ জেহাদের পরিকল্পনা এবং সেই কর্ম সুচী’। এই কর্ম সুচীর পাঠ পড়ানো হয় ওদের পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলিতে, যা চলে ভারতের আপামর জন সাধারনের কষ্টার্জিত আর্থিক অনুদানে “কর” দেওয়ার মাধ্যমে। হিন্দুরা আগে দিতো জিজিয়া কর, এখন দেয় “ জেহাদী কর”।
তাহলে বর্তমান “জেহাদী যুদ্ধ পদ্ধতি কি?’ আমি শুধু লিখবো ভারতে ওদের ‘জেহাদী মডেল” বিশেষ করে “পশ্চিম বঙ্গ কেন্দ্রিক”। কারন সারা দুনিয়া চুলোয় যাক, আমি ভাববো ‘আমার ঘর বাড়ি, আমার পশ্চিম বঙ্গ বাসী’ কে নিয়ে।
সারা দুনিয়া জুড়ে চলছে ‘এই মহা সংগ্রাম’। সবাই নিজ নিজ দেশে নিজের নিজের মতো করে লড়ছে। আমাদের ও ঠিক সেই মতো লড়তে হবে। কেউ এসে সাহায্য করবে না। পশ্চিম বঙ্গ সামলাতে হবে “পশ্চিম বঙ্গ বাসী হিন্দুদের”--- ভারতের ই অন্য কেউ এসে সাহায্য করবে না,করতে পারবে না--- ইতিহাস সেটাই বলে।
***( পরবর্তি অংশের জন্য অপেক্ষা করো)*****
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................