বিশ্বযুদ্ধ লাগলে কি হয়???
মানুষ বাংকারে আশ্রয় নেয়। ব্যবসা বাণিজ্য ধবংস হয়ে যায়। হাসপাতালে প্রচুর আহত নিহত মানুষ গিজগিজ করে! এখানে সেখানে লাশ পড়ে থাকে।
একদেশের সাথে আরেকদেশের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
ট্যুরিজম ইন্ডাস্ট্রি, হোটেল, শপিং মল বন্ধ হয়ে যায়। পাবলিক গেদারিং প্রায় শাট ডাউন হয়ে যায়।
শেয়ার বাজারের দ্রুত পতন ঘটে। অর্থনীতি ধবংসের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে।
মানুষের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। কে কখন মারা যাবে গ্যারান্টি নেই।
মানুষ জীবন ধারনের খুবই প্রয়োজনীয় সব সামগ্রী মজুদ করা শুরু করে। ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে নির্দিষ্ট একটা ঘোষণা বা সময় পর্যন্ত।
তাহলে এখন হচ্ছে টা কি??? ----- হ্যা এটাও একপ্রকারের বিশ্বযুদ্ধ।
কিন্তু যুদ্ধটা হচ্ছে মানুষ আর ভাইরাসের মাঝে। তবে এইখানে প্রতিপক্ষ কে ঘায়েল করার মতো মারণাস্ত্র এখনো আমাদের অর্থাৎ মনুষ্য জাতির কাছে আসে নি।
তাদের অপেক্ষা করতে হবে আরো কিছু সময় অথবা নিশ্চিত মৃত্যু উপলক্ষ করতে হবে বসে বসে।
হ্যা এছাড়া উপায় নেই আপাতত।
এর প্রমান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO জানিয়েছে,
// বারবার নিজের জিন বদলে উত্তরোত্তর শক্তিশালী হয়ে উঠছে করোনা ভাইরাস। এবং এরই মধ্যে সে টিকে থাকার স্বার্থে ৩৮০ বার নিজের জিন বদলে ফেলেছে। //
অর্থাৎ একে বাগে আনা যাচ্ছে না। প্রতিবার এর লক্ষ্মণ দেখে ঔষধ আবিষ্কার করে যখন প্রয়োগ করা হচ্ছে, তখন সে ভিন্নরূপে আবির্ভূত হচ্ছে। অর্থাৎ একে বাগে ফেলতে কোন টোপই কাজে আসছে না।
অন্তত এখন পর্যন্ত।
তাই এই প্রতিপক্ষ তথাকথিত ভিনগ্রহের এলিয়েন থেকে ও শক্তিশালী মনে করা হচ্ছে।
এই শত্রুর আক্রমণ হয় মানুষের সবচেয়ে দুর্বলতম অঙ্গে।
ধরুন আপনার ফুসফুসের রোগ আছে আগে থেকেই, সে এট্যাক করবে সেখানে। তারপর আপনাকে দ্রুত কাবু করে ফেলবে।
তেমনি কিডনি লিভার জনিত রোগ, হার্টের অসুখে ও সে ওই অঙ্গপ্রত্যঙ্গেই এট্যাক করে। তার যেন মনে হচ্ছে নিজস্ব সেন্সর রয়েছে সে ডিটেক্ট করতে সবচেয়ে অসুস্থ কোন অংশ।
এইতো গেলো তার এট্যাকিং স্ট্রেটেজি। এইবার আসি তার সাফল্য লাভ নিয়ে... অর্থাৎ কেন সে এত সফল--
আগেই বলেছি সে এট্যাক করে ম্যান টু ম্যান সারফেইস মিসাইল দিয়ে।
তাই তাকে কাবু করা এখন সবচেয়ে কঠিন এবং সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
কারন এটা করতে গেলে প্রতিটি মানুষ কে একে অন্যের চেয়ে আলাদা করে ফেলতে হবে। কি ভয়ানক অবস্থা তাই না?
চিন্তা করেন আপনার শরিরে করোনা সিম্পটম দেখা গেছে। আপনি এখন সবার শত্রু। আপনার প্রিয়তমা স্ত্রী, আদরের সন্তান আপনার কাছেই নিরাপদ নয়। অর্থাৎ তাদের সুস্থ থাকার স্বার্থে আপনাকেই সেলফ আইসোলেশনে যেতে হবে।
হৃদয় বিদারক গল্প না এটা?? হ্যা এটাই বাস্তব।
তেমনি মা বাবা ভাই বোন কেউ আপনার কাছে ভিড়তে পারবে না যতক্ষণ না আপনি পুরোপুরিভাবে সুস্থ হচ্ছেন।
আর এইখানেই করোনা ভাইরাস ব্যতিক্রম।
গতকাল আমাদের এইখানে আলকুজে এক ব্যক্তি রাস্তায় শুয়ে ছিলো এবং ক্ষণে ক্ষণে হাঁচি দিচ্ছিলো। কেউ কাছে আসে নি। অনেকে ভিডিও করছে... মেডিকেল স্টাফরা এসে তাকে উঠিয়ে নিয়ে গেছে।
গতকালের আন্তর্জাতিক খবর... কানাডার প্রেসিডেন্ট জাস্টিন ট্রুডো স্ত্রী সহ সেলফ আইজোলেশনে করোনা সন্দেহে।
এখন তিনি জাতির উদ্দেশ্যেও ভাষণ দিতে পারবে না। কি রকম লাগছে না ব্যাপার টা?
হ্যা এটা যেকারো সাথেই হতে পারে এবং মুহুর্তেই আপনি হয়ে যাবেন দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন।
যেহেতু এটা এখন মহামারী রূপ নিয়েছে এবং একে মহামারী বলে ঘোষণা ও এসে গেছে -- তাই এর থেকে বিশ্বের কোন দেশ এবং জাতির নিস্তার নেই।।অলরেডি ১১৫ প্লাস দেশে এর হাত পৌঁছে গেছে।
শুধু ভাবুন আগামী কয়েক মাস এর কার্যকর প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি...... তখন কি হবে????
পুরো পৃথিবী আইসোলেশন হয়ে যাবে।
গতকাল ডেইলি মেইলের একটা ভিডিও দেখছিলাম যাতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সারা পৃথিবী এত নিরব শান্ত কোলাহল হইচই হীন কখনো এক মিনিটের জন্যও হয়নি বলা হচ্ছে....
সেখানে বেইজিংয়ের প্যারালাল হাইওয়ে যাতে ২৪/৭ বছরের ৩৬৫ দিন ট্রাফিক জ্যাম থাকে... ব্যস্ততম এয়ারপোর্ট, শিপিং ইয়ার্ড, গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি সব ঠান্ডা.... রাস্তাঘাটে বাজারে শপিং মলে দুই একজন লোক ছাড়া কেউ নেই....
দেখানো হচ্ছে ইতালির রোম, ফ্রান্সের প্যারিস মিউজিয়াম, নিউইয়র্কের ব্যস্ততম এয়ারপোর্ট, সিঙ্গাপুর মালয়েশিয়া জাপান কোরিয়া সব দেশেই একই অবস্থা।
কেমন যেনো শূন্যতা, শান্ত, নিরব..... সব কিছু থেমে গেছে!
অদৃশ্য কেয়ামত নেমে এসেছে ধরায়......
শুধু দোয়া করেন..... আমাদের দেশে এই মিসাইল পৌছানের আগেই যেনো এন্টিমিসাইল আবিষ্কার হয়ে যায়।
তা না হলে আমি আপনি এইযে ফেইসবুকে বসে তথ্য আদানপ্রদান করছি... তা ও করার সময় পাবো না! সবকিছু দৌড়ের উপরে থাকবে.....
দোয়া করেন..... শুধু যেনো এর প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়ে যায়.... যেভাবে হয়েছে অতীতে.... এইটার ও হবে ইনশাআল্লাহ।
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................