আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা সমূহের তদন্ত রিপোর্ট থেকে জানা যায়,আরাকানে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা যখন ধর্মান্তরিত করতে ব্যর্থ হয়ে - হিন্দুদের উপর গণহত্যা চালাচ্ছিল, তখন মিয়ানমারের বৌদ্ধ আধাসামরিক বাহিনী এসে, হিন্দুদের রক্ষা করার চেষ্টা করে। তখন রোহিঙ্গারা বৌদ্ধদের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। বাসের মধ্যে এক বৌদ্ধ তরুণী,রোহিঙ্গা কর্তৃক নির্মমভাবে গণধর্ষিত ও নিহত হলে, আরাকানের সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মধ্যে, তীব্র রোহিঙ্গা-বিদ্বেষ সৃষ্টি হয়।
বৌদ্ধ-রোহিঙ্গা সাম্প্রদায়িক সংঘাতে, প্রথমদিকে বৌদ্ধরা মার খায়। কারণ রোহিঙ্গারা ছিল, পাকিস্তান কর্তৃক সামরিক ভাবে প্রশিক্ষিত। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের তদন্ত রিপোর্ট থেকে জানা যায়, মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশ গুলো,রোহিঙ্গা জঙ্গি প্রশিক্ষণে - পাকিস্তানকে সহায়তা প্রদান করেছে।
মিয়ানমার সেনাবাহিনী যখন আরাকানে ক্র্যাকডাউন শুরু করে, তখন আরাকানে বসবাসকারী হিন্দুরা - আতঙ্কে বাংলাদেশের পালিয়ে আসে। কিন্তু রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া হিন্দুদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা, সোনা-দানা, গরু-ছাগল প্রভৃতি কেড়ে নেয় এবং যে সমস্ত হিন্দুরা, রোহিঙ্গাদের হাতে সর্বস্ব তুলে দিতে অস্বীকার করে, তাদের হত্যা করা হয়।
রোহিঙ্গা কর্তৃক হিন্দু গণহত্যার বিরুদ্ধে, ভারতে কোথাও কোন প্রতিবাদ ধ্বনি উচ্চারিত হয়নি। সেক্যুলার নামধারী হিন্দুরা,স্থানীয় মুসলমানদের সঙ্গে মিলে,হিন্দু হত্যাকারী রোহিঙ্গাদের পক্ষে জনমত সৃষ্টি করতে কোমর বেঁধে রাস্তায় নামে। শুধু তাই নয়, রোহিঙ্গাদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য,তারা আন্দোলন ও আইনি লড়াই শুরু করে।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই হিন্দু নামধারী সেক্যুলাররা, ইসলাম ধর্মালম্বী রোহিঙ্গাদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য আন্দোলন করছে ; অথচ তারা বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আসা উদ্বাস্তু হিন্দুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার উদ্দেশ্যে - কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারের প্রণীত আইনের বিরুদ্ধে, জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলন শুরু করে দিয়েছে এবং দিল্লিতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধিয়ে,হিন্দু হত্যা করে - উল্টো বিদেশে প্রচার করছে যে, হিন্দুরা ভারতে মুসলমানদের খুন করছে। শত্রু পক্ষের এই হিন্দু-বিরোধী ষড়যন্ত্র কত গভীর ও সুদূরপ্রসারী,তা বুঝে উঠতে সাধারণ হিন্দুদের অনেক সময় লেগে যাবে।
মিয়ানমার সরকার বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া সে দেশের হিন্দু নাগরিকদের সসম্মানে ফিরিয়ে নিয়ে, পুনর্বাসিত করেছে। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অবস্থান করছে। কোন মুসলিম দেশ এদের গ্রহণ করতে চাইছে না। পাকিস্তান এই রোহিঙ্গাদের সাময়িকভাবে প্রশিক্ষিত করে,দীর্ঘ মেয়াদে ভারতে ঢুকিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হচ্ছে,ভারত সরকার এই হিন্দু নিধনকারী রোহিঙ্গাদের জন্য যে বিশাল ত্রাণসামগ্রী পাঠিয়েছে - অত ত্রাণ সামগ্রী সমস্ত মুসলিম দেশ মিলেও পাঠায়নি।
এই ত্রাণ সামগ্রী যদি ভারতের কংগ্রেস-তৃণমূল কিংবা বামফ্রন্ট সরকার পাঠাতো, দুঃখ ছিল না। দুঃখ হচ্ছে, বিজেপি সরকার কেন হিন্দুদের কষ্টার্জিত অর্থ, হিন্দু ঘাতকদের পরিপুষ্ট করতে পাঠাচ্ছে ! হিন্দুরা যদি বিজেপির উপর আস্থা হারায়,বিজেপির অবস্থা কি হবে,আর হিন্দুদের অবস্থাই বা কি হবে!
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................