একটু সময় নিয়ে পড়ুন, আশাকরি সমস্ত গুরুদের প্রতি মোহভঙ্গ হবে।

একটু সময় নিয়ে পড়ুন, আশাকরি সমস্ত গুরুদের প্রতি মোহভঙ্গ হবে। 
;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;
;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;
Written by Sri TAPAN GHOSH
ইসলামিক আগ্রাসনের মুখে পড়ে সবরকম দিব্যজ্ঞান, জপ তপ ধ্যান আসন প্রাণায়ামের কথা আগামী ১০ বছর স্থগিত রাখতে হবে। আগে অন্যকে মানে মুসলিমদেরকে নিয়ন্ত্রণ করে দেখান। তারপর আত্মনিয়ন্ত্রণ, আত্মশুদ্ধি, মোক্ষ, ইত্যাদির কথা ভাববেন। ব্যস, আর মাত্র ১০ বছর সময় হাতে আছে। এর মধ্যে হয় সারা ভারতে হিন্দুর মালিকানা ownership, titlesuit স্থাপিত হবে। অথবা পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুরা কাশ্মীরি হিন্দুদের মত রিফিউজি হবে, অথবা ইসলামধর্ম গ্রহণ করে একটি নতুন মুসলিম রাষ্ট্রের বা বর্ধিত বাংলাদেশের বাসিন্দা হবে। জপ তপ ধ্যান যোগ প্রাণায়াম সব বন্ধ রাখুন আগামী দশ বছর। আগে এই পশ্চিমবঙ্গের মাটির উপর নিজের মালিকানা নিশ্চিত করুন। 
জপ তপ ধ্যান করলে মানুষ অন্তর্মুখী হয়। তখন বাইরে কী ঘটছে তার আর নজরে থাকে না। তাই আজ আপনারা ভণ্ড গুরুদের পাল্লায় পড়ে জানতে পারছেন না, বুঝতে পারছেন না যে আপনার পাশের বাড়ির পাশের এলাকার মুসলমানরা কী ভাবছে। তারা ভাবছে, ১৭৫৭ সালে ইংরেজরা ছল চাতুরী ও বিশ্বাসঘাতকতার দ্বারা এই দেশ মুসলমানের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিল। তাই ১৯৪৭ সালে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় ইংরেজদের উচিত ছিল এই দেশকে মুসলমানের হাতে তুলে দেওয়া। তা না করে ইংরেজরা অন্যায়ভাবে ভারতবর্ষকে হিন্দুর হাতে তুলে দিয়ে গেছে মুসলমানকে বঞ্চিত করে, ঠগিয়ে। তারা ভাবে, তাদের পূর্বপুরুষরা শক্তি দিয়ে এই দেশকে জয় করেছিল। তাই ইংরেজ চলে যাওয়ার পর এদেশের ন্যায্য মালিক ও দাবীদার তারাই। সেই দাবীকে পূরণ করার জন্য ওদের প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। আমরা এখনই এর মোকাবিলা না করতে পারলে ওইসব ভণ্ড গুরু, গুরুর চেলা সহ আমাদের সবার কপালে আছে অনেক দুর্যোগ। কেউ বাদ যাবে না। ওইসব ভণ্ড গুরু, গুরুবংশ আর গুরুভজা প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্তাব্যক্তিরা জানে না ১৯৪৬-৪৭ এর মত কী প্রলয় এগিয়ে আসছে হিন্দুর জীবনে। তাই এখন বাঙালি হিন্দুর জীবনে জরুরী অবস্থা। এই অবস্থায় সমাজে ধ্যান জপ তপ বন্ধ করে ওগুলো শুধু মন্দির ও আশ্রমে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। আর গোটা সমাজে করতে হবে এক সার্বিক যুদ্ধের প্রস্তুতি। এ যুদ্ধ বাঁচার যুদ্ধ, নিজের অস্তিত্ব রক্ষার যুদ্ধ, নিজের ধর্ম রক্ষার যুদ্ধ, মা বোনের সম্ভ্রম রক্ষার যুদ্ধ। সর্বোপরি এই মাটির উপর মালিকানা establish করার যুদ্ধ। 
আর একটা সাবধানবাণী: এই যুদ্ধ মোদীজী লড়ে দেবেন না। এমনকি মোদীজী-র নেতৃত্বেও হবে না। এটা Civilizational war. তাই কোন রাজনৈতিক নেতার দ্বারা এই যুদ্ধ পরিচালিত হবে না। নিশ্চিতভাবে এই যুদ্ধ হবে কোন ধার্মিক বা সামাজিক নেতার নেতৃত্বে। যেমন মায়ানমারে এই যুদ্ধের নেতৃত্ব বরেণ্য নেত্রী সু চি দিচ্ছেন না, যেহেতু তিনি রাজনৈতিক নেত্রী ও রাষ্ট্রনায়ক। মায়ানমারে এই যুদ্ধের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বৌদ্ধ সন্ন্যাসী আশিন উইরাথু। 
মোদীজী-র ভূমিকা থাকবে কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে শ্রীকৃষ্ণের মত। শ্রীকৃষ্ণ যেমন কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ করেন নি। তিনি ওই যুদ্ধটাকে সম্ভব করে তুলেছিলেন। তিনি না হলে ওই যুদ্ধটাই হত না। ঠিক সেইরকম এখনও আমাদের শত্রুপক্ষের এজেন্ট যারা আছে তাদের চেষ্টা হল এই ধর্মযুদ্ধটা না হতে দেওয়া, এবং আরো কিছুটা দেরী করে (২০ বছর) এমন পরিস্থিতি তৈরী হতে সাহায্য করা যখন মুসলমানরা বিনা যুদ্ধে এই মাটির দখল নিতে পারে। ঠিক যেমন কাশ্মীরের মাটির দখল নিতে ওদেরকে যুদ্ধ করতে হয় নি। এক হুমকিতেই কাজ হয়ে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ ও আসামেও তারা তাই চায়। এখানেই হবে মোদীজী র ভূমিকা। উনি এটা হতে দেবেন না। উনি মুসলিমের সঙ্গে লড়াই করবেন না। উনি শুধু Battle line টা draw করতে সাহায্য করবেন এবং ওই যুদ্ধটাকে facilitate করবেন। এগিয়ে আনবেন। যুদ্ধটা করতে হবে সমাজকেই। কারণ সেনার সঙ্গে সেনা লড়ে। কোন একটা সমাজের সঙ্গে সমাজকেই লড়তে হবে। সুতরাং গোটা হিন্দু সমাজকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে হবে আমাদের Civilization কে রক্ষা করার জন্য। এই দেশ যাতে তালিবানের আফগানিস্তান অথবা আইসিস এর সিরিয়া না হয়ে যায় সেজন্য।

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted