পিনাকী আর কবির সুমন:চোরে চোরে মাসতুতো ভাই।

পিনাকী আর কবির সুমন:চোরে চোরে মাসতুতো ভাই:
------------------------------------------------------------
পিনাকী আর কবির সুমন পয়সার এপিঠ আর ওপিঠ! ভট্টাচার্য মশাই 'বাংলাদেশ' স্রষ্টা রূপে জিন্নাহ কে দেখেন আর তিন কুড়ি পেরিয়ে কবির সুমন আজকাল বড্ড নস্টালজিক!! কথায় কথায় উঠে আসছে ’৭১ সাল, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, শেখ মুজিবুর রহমান...।


আবেগতাড়িত হয়ে কখনো কখনো তিনি এপার বাংলার মানুষের প্রতি ক্ষোভে ফেটে পরছেন:'এরা একটা গান তৈরি করলো না বাংলাদেশ নিয়ে?! ধিককার!'

সত্যি, পশ্চিমবঙ্গবাসী বড়ই অকৃতজ্ঞ , কিন্তু সেটা বলতে ইতিহাস বিকৃতির প্রয়োজন পড়ে কি? একটু খুলেই বলা যাক। কবির সুমনের দাবী : বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের ওপর একটা গোটা গান শ্রী অংশুমান রায় বাদে এপার বাংলায় আর কেউ গায় নি। পশ্চিমবঙ্গবাসীর এই আচরণে ক্ষুব্ধও ! আজকাল সুমন যেখানেই যায়, সেখানেই এটা বলে। এযুগের আঁতেল থেকে সে-যুগের জ্ঞানী-গুণী বোদ্ধারা এর বিরুদ্ধে চুপ, মুখ খোলেন না। আসলে বুদ্ধিজীবী এমনিই তো ছোট্ট গোষ্ঠী, এর পিঠে খুজলি হলে ও চুলকে দেয়। সেখানে চাঁইদের চুলকে লাভ আছে?

শো তে টিঁকে থাকতে আর কত মিথ্যাচার করবেন পিনাকী, সুমনরা? শ্রী অংশুমান রায়ের “শোনো একটি মুজিবরের থেকে লক্ষ্য মুজিবরের...” গান খানা বাদ দিয়েও আরও দুটো গান আছে যেগুলো কেবলমাত্র বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের ওপরেই লেখা। গানের কথা শ্রী সৌম্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের (রবি ঠাকুরের নাতি এবং আরসিপিআই নেতা), সুরারোপ ও কণ্ঠ শ্রী দেবব্রত বিশ্বাসের। হিন্দুস্থান রেকর্ডিং কোম্পানি থেকে প্রকাশিত রেকর্ডের এক পিঠে ছিল “ঐ তারা চলে দলে দলে মুক্তি পতাকাতলে”, অন্য পিঠে “শোনো বাংলার জনসমুদ্রে জোয়ারের হুংকার”। গান দুটো যথেষ্ট পরিমাণে মানুষের কাছে পৌঁছেছিল। দেবব্রত বিশ্বাসের কথায়: “সৌম্যদার গানের রেকর্ড যথাসময়েই প্রকাশিত হয়েছিল এবং বেশ কিছু সংখ্যা বিক্রিও হয়েছিল।”

কবির সুমন এই দুটো গানের কথা জানে না, এমনটা নয়, কিন্তু বেমালুম সেটা চেপে যায়! সুমন-ঘনিষ্ঠরা বলাবলি করে, দেবব্রত বিশ্বাসকে মোটেই পছন্দ না সুমনের! তাই যারে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা হতে বাধ্য। অবশ্য বাংলায় দাড়িয়ে দেবব্রত বিশ্বাসকে গালাগাল করার মতো ধক সুমনের নেই| অতএব 'কন্সপিরেসি অব সাইলেন্স'। বার বার বল অংশুমান রায় বাদে আর কেও নেই নেই নেই...। অপছন্দের ইতিহাস হারিয়ে যাক।

সুমন হামেশাই বলে : "আধুনিকতা জিনিষটা আজকের আবিষ্কার নয়, তার বয়স ১০০/১৫০ বছরেরও বেশী।" ঠিকই তবে শ্রী পঙ্কজকুমার মল্লিক কি শ্রী সলিল চৌধুরীর উত্তরাধিকার যেমন সে বহন করে চলেছে, তেমনই বয়ে নিয়ে চলেছে গণনাট্যসহ অরুনেন্দু দাস, গৌতম চট্টোপাধ্যায়দের ঋণ। দ্বিতীয় দলের ঋণ সুমন কোনোদিন স্বীকার করে নি।

‘হ্যামেলিনের বাঁশীওলা' আর কলকাতার ‘গানওলা’র অদ্ভুত মিল, তাই না?

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted