জঙ্গি মানে কি ৯৬ কেজি বোমা নিয়ে ধরা পড়া কোন মুফতি? জ্বি না ভাই, জঙ্গি তারাও যারা এই সেদিন আফগানিস্থানে তালেবানের সঙ্গে আমেরিকার চুক্তিতে মুসলমানদের বিজয় দেখেছিলো। তুরস্কের এরদোয়ানের বিজয়ে যারা খুশি হয়। ইমরান খানের জাতিসংঘের ভাষণে নানা রকম মহত্ত্ব খুঁজে পায়। জ্ঞান বিজ্ঞানে যারা ‘মুসলিম বিজ্ঞানীদের’ অবদানে গর্বিত তারা কেমন মুসলমান? ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারায়গঞ্জ, সিলেটের তৌহদী জনতাকে শান্ত করতে যখন ভিকটিম হিন্দুকে বলির পাঠা বানানো হয় সেইসব মুসলমানরা তো কেউ আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য হয় না। এই যে সরকার ধর্মানুভূতিতে সদাসর্বদা সতর্ক থাকে সেটা কোন শ্রেণীর মুসলমানের ভয়ে? পারলে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল করে দেখাও তো! যদি গুটি কয়েক ধর্মান্ধ জঙ্গি মুসলমান বাদে বাকীরা উদার মহান মুসলমান হবে তাহলে সেটা সম্ভব নয় কেন?
ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় আনসারীর জানাজার দৃশ্য সারাদেশে দেখার পর পুরো দেশ পাল্টে গেছে! অনেক জায়গায় লকডাউন প্রায় উঠে গেছে। বাঁশ দিয়ে এলাকার গলিগুলো বন্ধ করা হয়েছিল। কালকের পর অনেক জায়গায় বাঁশ তুলে ফেলে দেয়া হয়েছে।
গতকাল সংসদে প্রধানমন্ত্রী যে বক্তৃতা দিয়েছেন তাতে পাবলিকের সাহস আরো বেড়ে গেছে! প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আল্লার ক্ষমতা বুঝার একটা অস্ত্র হচ্ছে করোনা ভাইরাস। তারপর সংসদে যেভাবে করোনা থেকে রেহাই পেতে মুনাজাত হলো সেটা লক্ষ্মিপুরের কথা মনে করিয়ে দিলো। এখন সারাদেশে এরকম গণমুনাজাত চালু হলে অবাক হওয়ার কিছু নেই! আসছে রমজান মাস। পাড়ায় পাড়ায় ইফতার ভাজা হবে। তারাবী হবে। যদি এত মানুষ ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় জানাজা পড়তে পারে তাহলে তারা তারাবী পড়তে চাইলে বাঁধা দিবে কেঠায়?
কালকের ঘটনার পর ইসলামী জোশ এতটাই বেড়ে গেছে যে এখন বাংলাদেশের জন্য একজন গ্রান্ড মুফতি চাইছে যার ক্ষমতা হবে সাংবিধানিক! তিনি ফতোয়া দিবেন আর সেটা রাষ্ট্র মেনে নিবে। বাংলাদেশে অলিখিতিভাবে শরীয়া শাসিত দেশে নেয়ার এই যে প্রসেস সেটা কি বাংলাদেশের মহান সাধারণ মুসলমানরা বিরোধীতা করবে? নেপাল বিশ্বের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের দেশ হওয়ার পরও সংসদ নেপালকে সেক্যুলার রাষ্ট্র ঘোষণা করেছে। অবশ্যই জনগণের সমর্থন এখানে অনুকূল ছিলো বলে রাজনীতিবিদরা সেরকম সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নেপালের গাধিমাই মন্দিরে বলির প্রথা এত সহজে বন্ধ করা গেছে অথচ ওটা ৮১ ভাগ হিন্দুর দেশ!
আমার লেখায় আমি কোন বিদ্বেষ থেকে লিখি না মুসলমান (যার মধ্যে ন্যুনতম ইসলাম বিশ্বাস আছে) মাত্রই সাম্প্রদায়িক ধর্ম জাতীয়তাবাদী। এদের জঙ্গি বলতে না চাইলে যেটা খুশি বলুন। কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়ীয় এদের সমর্থনেই আজকের চেহারায় এসেছে। এরা ধর্ম খায় বলেই রাজনীতিবিদরা ধর্ম খাওয়ায়। সারা দুনিয়াতে এই মুসলমানরাই বলেছে করোনা কাফেরদের উপর প্রতিশোধ নিতে এসেছে। আর কোন ধর্ম সম্প্রদায় এতখানি ঘৃণা ছড়ায়নি। তবু মুসলমানদের জন্য যারা ব্যালেন্স চান তারা আসলে মুসলমানদের ঐ শ্রেণীর যারা বোমা নিয়ে জিহাদ করতে যেয়ে ধৃতদের হয়ে জাস্টিফাই করে। জঙ্গির রক্ত ধোয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় নিয়োজিত যারা ...
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................