ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামে ধর্মান্তর : ক্রীতদাসকরণ ২

ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামে ধর্মান্তর : ক্রীতদাসকরণ ২
------------------------------------------------------------------------------

ক্রীতদাস যৌনদাসীদের মাধ্যমে বংশবিস্তার (ক) :

কোরান তথা নবীর আদেশ অনুযায়ী নারী-বন্দীরা তাদের মুসলিম মালিক বা প্রভুদের যৌনদাসী । অতএব তারা দাসীরূপে ধৃত মুসলিম হয়ে সরাসরি মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি তো করেই, তার সাথে মুসলিমদের জন্য সন্তান উৎপাদনের যন্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। সন্তান উৎপাদনে সক্ষম হিন্দু নারীদেরকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর ভয়ে পালিয়ে যাওয়া হিন্দুরা ঘরে ফিরে এসে দেখতো যে, তাদের নারী ও সন্তানরা নেই!! ফলে হিন্দুরা সন্তানা জন্ম দেওয়ার জন্য যথেষ্ট সাথী পায় নি। যেখানেই মুসলিমরা সফল আক্রমণ করেছে সেখানেই হিন্দুদের বংশবৃদ্ধি থমকে গেছে! অপরদিকে মুহাম্মদ বিন কাসিমের সঙ্গে যে কয়েক হাজার মুসলিম যোদ্ধা ভারতে এসেছিল, তারা পর্যাপ্ত সংখ্যায় যৌনসঙ্গী পেয়েছিল ও সর্বোচ্চ হারে বংশ বৃদ্ধি করেছিল। আকবরের হারেমে ৫,০০০ সুন্দরী মহিলা ছিল!

পরাজিত হিন্দুদেরকে ব্যাপকহারে ক্রীতদাসকরণ - বিশেষ করে নারীদেরকে, যারা মুসলিম সন্তান উৎপাদনে সক্ষম- মুসলিম জনসংখ্যার দ্রুত বৃদ্ধিতে সাহায্য করেছিল।(Milton G (2004) White Gold, Hodder & Stoughton, London, p. 120) । মুসলিমরা ভারতের যেখানেই সার্থক আক্রমণ করেছে, সেখানেই হিন্দু পুরুষদের গণহারে হত্যা ও তাদের নারী-শিশুদেরকে বন্দী করে হিন্দু জনসংখ্যা কমিয়েছে। অপরদিকে হিন্দু পরিবারগুলোর নারীরা পরবর্তীকালে মুসলিম সন্তান জন্মদানের যন্ত্রে পরিণত হয়, অর্থাৎ- গণহারে ক্রীতদাসকরণের চূড়ান্ত ফলাফল দাঁড়ায়: হিন্দু জনসংখ্যার দ্রুত হ্রাস ও মুসলিম জনসংখ্যার দ্রুত বৃদ্ধি! দ্রুত বর্ধিত মুসলিম জনসংখ্যার রক্ষণাবেক্ষণ হতো পরাজিত হিন্দু বা অমুসলিমদের উপর আরোপ করা করের মাধ্যমে। 

ইতিহাসের কি নিদারুন পুনরাবৃত্তি! একই আচরণ নবী মুহাম্মদ বানু কুরাইজা ও খাইবারের ইহুদীদের উপর প্রয়োগ করেছিল ।
এই উপমহাদেশে ইসলাম বিস্তার লাভের এক প্রধান কারণ হলো ধর্মান্তকরণ এবং শত চেষ্টাতেও তা অস্বীকার করার উপায় নেই! এর অঙ্গ হিসেবে ক্রীতদাস নারীকে ব্যবহার করে অতি কৌশলে বংশবৃদ্ধির মাধ্যমে বিস্তার লাভ করেছিল ইসলাম।

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted