স্বাধীন ভারতে ধর্মনিরপেক্ষতার নামে হিন্দুদের ধর্মশিক্ষা-মতপ্রকাশের স্বাধীনতাসহ বহু মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে গান্ধী-নেহেরু পরিবার।

স্বাধীন ভারতে ধর্মনিরপেক্ষতার নামে হিন্দুদের ধর্মশিক্ষা-মতপ্রকাশের স্বাধীনতাসহ বহু মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে গান্ধী-নেহেরু পরিবার। ঐ বেইমান পরিবারটি, সংখ‍্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের বঞ্চিত করে পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারী সংখ্যালঘুদের একচেটিয়া সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে। গান্ধী-নেহেরু পরিবারের সাময়িক পতনের পর, ভারতের হিন্দুরা সমানাধিকার দাবী করলে, আমির খানদের কাছে সেটা হয় - অসহিষ্ণুতা ও সাম্প্রদায়িকতা। হিন্দুরা যদি মানবিক অধিকার পেয়ে যায়, তাহলে আমির খানদের কাছে ভারত বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে পড়ে। অথচ সেই আমির খানদের কাছে আদর্শ দেশ কোনটি? আদর্শ দেশ হচ্ছে তুরস্ক। যে তুরস্ক পাকিস্তান লালিত ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদকে অন্ধের মতো সমর্থন করে; সারাবিশ্বে পাকিস্তানের সুরে গান ধরে ভারতবিরোধী প্রোপাগান্ডা চালায়। আল কায়েদা,আইএস-এর মতো ধর্মান্ধ জঙ্গিবাদীদের অন‍্যতম প্রধান পৃষ্ঠপোষক এই তুরস্ক।

শুধু তাই নয়, এই তুরস্কের অধিবাসীরা ভারতভূমি জবরদখল করে কোটি কোটি হিন্দুকে হত্যা করেছে, অগণিত হিন্দু নারীর ওপর যথেচ্ছ যৌন নির্যাতন চালিয়েছে। হিন্দু পুরুষদের পুরুষাঙ্গ কর্তন করে ক্রীতদাস হিসাবে বিদেশে রপ্তানি করেছে এবং হিন্দু নারীদের বিদেশে রপ্তানি করেছে যৌনদাসী হিসেবে।
তুর্কিরা অজস্র হিন্দু মন্দির ধ্বংস করেছে।  মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ দিয়ে তৈরি করেছে মসজিদ। তুর্কি দখলদাররাই লিখে রেখে গিয়েছে যে, দিল্লির কুতুব মিনার মসজিদটি ২৭টি মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ দিয়ে তৈরি। তুরস্কের দস্যুরা বারবার ধ্বংস করে দিয়েছে হিন্দুদের ঐতিহ্যের প্রতীক সোমনাথ মন্দির। তুরস্কের ডাকাতরা ভারত থেকে লুণ্ঠন করে নিয়ে গেছে অপরিমিত সম্পদ।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় তুরস্ক, কাফির অধ্যুষিত প্রতিবেশী আর্মেনিয়ার ৮৮% অধিবাসীকে হত্যা করেছে। স্মরণকালে এত বড় গণহত্যা পৃথিবীতে আর দ্বিতীয়টি সংঘটিত হয়নি। সেই তুরস্ক হচ্ছে আমির খানদের কাছে সবচেয়ে পছন্দের জায়গা, প্রিয় জায়গা। সেই তুরস্কের রাজপ্রাসাদে গিয়ে আমির খান পাকিস্তানের পক্ষে সংহতি প্রকাশ করেছে।

ভারতের হিন্দুরা গায়ের রক্ত জল করা অর্থ ব্যয় করে,সিনেমা হলে গিয়ে আমির খানদের সিনেমা দেখেছে বিধায়, আমির খানরা সুপারস্টার হতে পেরেছে, বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পেয়েছে এবং বিশ্বখ্যাতির সুযোগ নিয়ে - ভারতের শত্রুদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারত বিরোধী প্রচারণা চালাতে পারছে। হিন্দুদের বাস্তব বুদ্ধিসম্পন্ন হতে হবে,শত্রু-মিত্র যাচাই করতে হবে যুক্তি দিয়ে। ধর্মনিরপেক্ষতার গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দিলে হিন্দুদের বিলুপ্তি অবধারিত।
কৃত্তিবাস ওঝা
১৮-০৮-২০২০খ্রিঃ

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted