বেঙ্গালুরুতে একজন ডাক্তার গ্রেফতার হয়েছে তার নাম আব্দুর রহমান। সে একজন আইএস জঙ্গি। আইএসের জন্য সে একটি মেডিক্যাল এ্যাপ তৈরি করছিল। একই সময় কাশ্মীরের দুজন স্বামী স্ত্রী জে এস ওয়ানি ও তাঁর স্ত্রী হিনা বশির ওয়ানিকে গ্রেফতার করা হয়েছে আইএস সদস্য হিসেবে। তারা আইএসের জন্য একটি শিক্ষনীয় মডিউল তৈরী করেছিলেন। এখানেই শেষ নয়, পুনে থেকে সাদিয়া আনোয়ার শেখ ও নাবিল সিদ্দিক খাতরি নামের দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে কারণ তারা আইএসের হয়ে ভারতে হামলার পরিকল্পনা করছিল।
সবিনয়ে জানতে চাই এদের সকলেই মুসলিম কেন? উত্তর হতে পারে, যেমন করে বজরং আরএসএস হয় হিন্দুরা। তেমন করে জঙ্গি হবে মুসলমানরাই। তাহলে মুসলমানদের জঙ্গি কানেকশন মানতে চান না কেন?
ভারতের এক হিন্দু ভদ্রলোক ফেইসবুকে লিখেছেন, তিনি কয়েকশো মুসলমানকে চেনেন তাদের বাড়িতে তিনি থেকেছেন খেয়েছেন তারা কেউ জঙ্গি নয়। তসলিমা নাসরিন লিখেছিলেন কুরআনে কাফেরদের পিছন থেকে হাত পা কেটে দেয়ার শিক্ষা মুসলমানরা কুরআন থেকে পায়। ভদ্রলোক টিপ্পনী কেটে মন্তব্য করেছেন যে তার হাত পা সবই আস্ত থেকেছে।
এরকম কথা তো হিন্দুদের বেলাতেও বলা যায়। তাই বলে কি আরএসএস বজরং করা হিন্দু বলতে কিছু নেই? ভারতে গজাওয়াতুল হিন্দ বা হিন্দুদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র জিহাদের সহি হাদীসে বিশ্বাস করা মুসলমানের সংখ্যা কত সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। নিশ্চিত করেই সব মুসলমান সশস্ত্র জিহাদ করতে চায় না। সমর্থনও করে না।
কিন্তু বাংলাদেশে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল হতে পারেনি সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান ক্ষ্যাপে যাবে বলে! পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের সঙ্গে ঐ হিন্দু ভদ্রলোকের কয়েকশো মুসলমানদের পার্সেন্ট কত দাঁড়াবে?
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................