হিন্দুরা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় না।
()-()-()-()-()-()-()-()-()-()-()-()-()
মুসলিমরা এখনো বিশ্বাস করে তারা ভারত আক্রমণ করে হিন্দুদের পরাজিত করে ভারতে ইসলামের খিলাফত প্রতিষ্ঠা করবে এবং ইহুদিদের পরাস্ত করে বাইতুল মোকাদ্দেশ দখল করবে।
এই বিশ্বাসের কারন ইসলামের সহি হাদিসে বলা আছে গাজোয়াতুল হিন্দে জিহাদ করে হিন্দুদের পরাজিত করে ভারতে মুসলিম রাজত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে এবং এই জিহাদে যারা অংশগ্রহণ করে শহীদ হবে তারা বেহেশতে যাবে।কোরান বিশ্বাসী মুসলমানদের কাছে এরচেয়ে বড় সত্য আর কিছু হতে পারেনা।শুধু যে ভারত পাকিস্তান বা বাংলাদেশের মুসলিমদের মধ্যে এই বিশ্বাস সীমাবদ্ধ এমন নয়।এই বিশ্বাস সারা পৃথিবীর মুসলমানদের মধ্যে সমান ভাবে প্রযোজ্য।
এই বিশ্বাসের যে কোন ভিত্তি নেই পৃথিবীর সচেতন মানুষ সবাই জানে।তাই বলে কিন্তু কোন মাদ্রাসায় গাজোয়াতুল হিন্দ সম্পর্কে পাঠদান বন্ধ নেই।গাজোয়াতুল হিন্দের নামে একটি মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে ভারতের প্রতিটি মাদ্রাসায় তরুনদের সন্ত্রাসী করে তোলা হচ্ছে।তাহলে কিভাবে ভারতের মাটিতে প্রতিষ্ঠিত দেওবন্দের মতো ইসলামি প্রতিষ্ঠানে জিহাদের মাধ্যমে হিন্দুদের পরাজিত করে ভারতে মুসলিম রাজত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করা হবে তার শিক্ষা দেয়া হচ্ছে?এই প্রশ্ন কি কেউ কোনদিন করেছে?ভারতের স্বাধীনতার পরে আজ পর্যন্ত কোন রাজনৈতিক দল বা কোন রাজনৈতিক নেতা এই প্রশ্ন উত্থাপন করেনি।কেন করেনি তার উত্তর কি আপনারা কেউ নেতাদের জিজ্ঞেস করেছেন? করেননি কারন এই দীর্ঘ সময়টা আপনারা একটা ঘোরের মধ্যে ছিলেন। কোরানে ভারতকে পরাজিত করে আবার মুসলিম রাজত্ব প্রতিষ্ঠার এই অকাঠ্য হাদিসটি থাকা সত্বেও ভারতের প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীরা ইসলামের পক্ষেই তাদের গুনগান করে গিয়েছেন।সুরা বরাটে(lX--অনুতাপ) আল্লাহ পরিস্কার সকল চুক্তি ছিড়ে ফেলে পৌত্তলিক, ইহুদি ও খৃষ্টানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন -- যদি তারা
ইসলাম গ্রহণ না করেন। "জেহাদ" মুসলমানদের নিকট বাধ্যতামূলক করার জন্য আল্লাহ দুটি বিকল্প রেখেছেন।একটি প্রলোভন অন্যটি শাস্তি।জেহাদে অংশ নিলে বেহেস্তে নারী সঙ্গ সুখ ও উৎকৃষ্ট ভোগ্য পন্যের অফুরন্ত সম্ভার; অন্যথায় দোযখের আগুনে অনন্তকাল ধরে দহন যন্ত্রণা।আল্লাহ বলেছেন যদি তোমরা জেহাদে অংশ না নাও তবে আমি তোমাদের ভয়ংকর যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি দেব এবং তোমাদের পরিবর্তে নিয়ে আসব অন্য জাতিকে।তোমরা আমার কোন ক্ষতি করতে পারবা না।আল্লাহ সর্বশক্তিমান(আয়াত/৯-৩৯)এই হল বিধান।কোরানের এই বানী যারা আকন্ঠ পান করে নিজেকে সপে দিয়েছেন তাদের সন্ত্রাসী না হয়ে কোন উপায় নেই।
সভ্যতার বিবর্তনে ভারত আজ নিজেদের কৃষ্টি সংস্কৃতি পরম্পরা ও অস্তিত্ব রক্ষার তাগিদে অতীতকে ভুলে এগিয়ে যেতে চায় যা স্বাধীনতার ৭০ বছরে আর কোন সরকার চায়নি।ভারত যতই গুনেধরা সভ্যতার বিবর্তন চাচ্ছে ততই সারা পৃথিবী ব্যাপী মুসলমানদের মধ্যে কাপনের সৃষ্টি হচ্ছে।৩৭০ ধারা বিলোপ করে কাশ্মীরকে ভারতীয়ত্ব দেয়া হয়েছে।৩ তালাকের মতো একটি অমানবিক আইন তুলে দেয়া হয়েছে।রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ভারতের সনাতন ঐতিহ্যকে সম্মান দেখানো হয়েছে।দেশটি তথাকথিত ধর্ম নিরপেক্ষ কিন্তু ইসলামি আইন স্বতন্ত্র ধারায় প্রতিষ্ঠিত হবে কেন?দেশ একটি অথচ মুসলমানদের জন্য আলাদা আইন হবে কেন? স্বাধীনতার ৭০ বছরে আর কেউ এই স্বতন্ত্র আইন নিয়ে কথা বলেনি।তাই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি পরবর্তী পদক্ষেপ।ফলে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠায় যারা অঙ্গীকারাবদ্ধ তারাই ভারতে মুসলিম শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠায় ভারতের সনাতনী ঐতিহ্যও সংস্কৃতিকে ধ্বংস করতে চায়।তারপর আসছে জন্ম-নিয়ন্ত্রনে রাশ টানা।চারটি বিয়ে ডজন খানেক সন্তান জন্ম দিয়ে মাদ্রাসায় জেহাদি তৈরির কারখানা বন্ধ করার আইন আসছে।দেশভাগের পর কোন সরকার এই সংখ্যাত্বত্ত নিয়ে মাথা গামায়নি।যার ফলে ৩কোটি এখন ২০ কোটিতে উন্নীত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় আধুনিক পৃথিবীর বহুবিধ সমস্যা সম্পর্কে এক অনুসন্ধান ও গবেষণা করে বলেছেন,কোন দেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে মুসলিম জনসংখ্যা ১৬% হয়ে গেলে সে দেশ ১০০/১৫০ বছরের মধ্যে ইসলামিক দেশে পরিনত হয়ে যায়।পৃথিবী ব্যাপী ইসলামিকরন সম্পর্কিত সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে যা সকলের জানা অত্যন্ত প্রয়োজন।তুরস্ক-সিরিয়া-মিশর এই দেশগুলো আগে খ্রিস্টান দেশ হিসাবে সারা পৃথিবীতে সুপরিচিত ছিল।কিন্তু আজ মুসলিম রাষ্ট্র হিসাবে পরিচিত।ইসলাম ভিন্ন ধর্মের উপর নিজ ধর্মের সংস্কৃতি জোর করে চাপিয়ে দিয়ে সে দেশগুলোকে আমূল পরিবর্তন করে ইসলামি দেশ করে ফেলেছে।ভারতের দিকে তাকালেও ইসলামের সেই রূপেরই বহিঃপ্রকাশ পরিলক্ষিত হয় যা দেশভাগের পরে কোন সরকার পাত্তাই দেয়নি।পাকিস্তান আগে ছিল হিন্দু ভূমি,আফগানিস্তান (গান্ধার)ছিল বৌদ্ধ পূন্যভূমি।স্মরণ করে দেখুন বামিয়ান বুদ্ধ মূর্তি যুগলের কথা ধৃতরাষ্ট্র পত্নী গান্ধারীর কথা। ইরান ছিল জুরাষ্ট্রিয়ান।কিন্তু পৃথিবী আজ এসব রাষ্ট্রকে ইসলামিক দেশ হিসাবেই জানে।
ডঃপিটার হ্যামন্ডের লেখা বই Slavery Terrorism and Islam বইয়ে বলা হয়েছে ইসলাম শুধুমাত্র একটি ধর্ম নয় কোন একটি উপাসনা পদ্ধতিও নয় এটি একটি একশো ভাগ পূর্ন জীবনশৈলী।ইসলামের রয়েছে নিজস্ব প্রতিষ্ঠিত ধর্মীয় আইন রাজনৈতিক আর্থিক সামাজিক এবং সামরিক বৈশিষ্ট্য। তাই পৃথিবীর সমস্ত উদার মুক্ত ও জনগনতান্ত্রিক সমাজ ইসলামি আগ্রাসনের শিকার।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে যে আন্দোলন হয়েছে তার নেপথ্যেও রয়েছে একই বিশ্বাস।এই আন্দোলনের পিছনে যে শুধু ভারতের মুসলিম সম্প্রদায় জড়িত এমন নয় সারা পৃথিবীর মুসলমানদের নৈতিক সমর্থন ও আর্থিক সহযোগিতা,এবং বিভিন্ন জেহাদি সংগঠন একযোগে গাজোয়াতুল হিন্দের বিশ্বাস নিয়ে ভারত দখলের মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছিল।নাগরিকত্ব আইন মুসলমানদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়ার আইন নয়।তারপরও কেন শাহিনবাগ তৈরি হয়েছিল?এটি ছিল তাদের প্রস্তুতি যদি এই আন্দোলন ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে এই সরকারের পতন ঘটানো যায়।
এই আইন নিয়ে সারা দেশে যে ধরনের বিক্ষোভ সমাবেশ ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ এবং সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করা হয়েছে তাতে পরিস্কার এর পিছনে জিহাদিদের বিভিন্ন সংগঠন জড়িয়ে ছিল।সিরিয়ায় আইএস প্রধান আবু বকর আল-বাগদাদির মৃত্যুর পর সারা পৃথিবীর জেহাদিদের পরবর্তী টার্গেট ভারত।এনিয়ে বহু আগে ভারতের বন্ধুপ্রতীম দেশ ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ভারতকে সতর্কবার্তা পাঠিয়ে জানিয়েছিলেন ভারতে জিহাদ করার জন্য একটি ষড়যন্ত্র হচ্ছে।একই ভাবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ভারতকে ইসলামিক জিহাদ থেকে সাবধান হতে বলেছিলেন।ভারতের অপর মিত্র আমেরিকান ইন্টেলিজেন্স জিহাদ থেকে ভারতকে সতর্ক করেছিল।পুরো বিশ্বের গোয়ান্দা সংস্থার রিপোর্ট হল ভারত ইসলামি সন্ত্রাসীদের টার্গেটেড।শাহিনবাগের আন্দোলন ছিল সব ইঙ্গিতেরই ইঙ্গিত বহন করছে।যারা এই আন্দোলনের মুখপাত্র তাদের শ্লোগানই বলে দিচ্ছে তারা ভারতকে টুকরো টুকরো করতে চায়।জওহরলাল নেহেরু ইউনিভার্সিটির ছাত্র নেতা শারজিল ইমাম ভারতকে ইসলামি রাষ্ট্র বানানোর পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছিল।দিল্লি পুলিশের নিকট সে স্বীকারোক্তি করেছে যে সে উত্তর পূর্ব ভারতকে বিচ্ছিন্ন করার কথা সে বলেছিল তবে নাকি ঝোকের মাথায়।শাহিনবাগের শ্লোগান ছিল "ভারত তেরে টুকরো হোঙ্গে,ইনশাল্লা-তাল্লা"।" হিন্দুস্থান মে রহনা হোগা,তো আল্লাহ আকবর কহনা হোগা"।"তুম কিতনে আফজাল মারোগে,ঘরঘর মে আফজল নিকলে গা"।"ভারতীয় সেনা কেবল ধর্ষন করতেই জানে। সার্জিক্যাল স্টাইক ওদের দ্বারা সম্ভব নয়--কানাইয়া কুমার।
মুসলমানদের এই আন্দোলন আত্মঘাতী আন্দোলন ছিল।সময় একদিন এর উত্তর দেবে।বৈচিত্রের এই ভারতে বহুত্ববাদের নামে তোষামোদির দিন শেষ।অদূর ভবিষ্যতে তারাই হবে ভারতের প্রকৃত নাগরিক যারা ভারতীয় সংস্কৃতিকে আপন করে নিতে পারবে।
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................