ইসলামের নবীকে নিয়ে কটুক্তির মামলায় বাংলাদেশের আদালত সুজন দে নামের একজন দর্জি শ্রমিককে সাত বছরের জেল দিয়েছে। বিবিসি বলছে এটি ইসলাম অবমাননার ঘটনায় দ্বিতীয় রায় যেখানে সাত বছরের জেল হলো।
এবার অন্য দুটি সংবাদ শুনুন। রামুতে বৌদ্ধদের উপর ইসলাম অবমানরার ভুয়া অভিযোগে তাদের মন্দির, বসবাড়িতে আগুন দেয়ার আট বছর পূর্তি হয়েছে গত ২৯ সেপ্টেম্বর। সেই মামলায় কোন অগ্রগতি নেই। একটি লোকেরও জেলা জরিমানা হয়নি। যারা গৌতম বুদ্ধের মূর্তি দা শাবল দিয়ে ভেঙ্গেছিলো তারা এলাকায় গায়ে ফু দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। দ্বিতীয় ঘটনাটি হচ্ছে, সাগর রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন জমা দেয়ার সময় রেকর্ড ৭৫ বার পেছালো এ মাসেই! কিন্তু ইসলাম অবমাননার মামলাগুলোতে পুলিশ এত তৎপর কেন? এত দ্রুত মামলা জেল জরিমানা হয়ে যায় কি করে?
পক্ষান্তরে দেখুন, একজন মাদ্রাসা হুজুরকে রেপ করার জন্য জেল দেয়া হয়েছে শুনেছেন? শিশু নিপীড়নকারীকে সভ্য সমাজে সবচেয়ে জঘন্য ক্রিমিনাল হিসেবে দেখা হয়। যেসব সভ্য দেশে ফাঁসি নেই সেখানে এইসব অপরাধীদের যাবদজ্জীবন দেয়া হয়। অথচ বাংলাদেশে ভুক্তভুগী অভিভাবকের মামলায় এইসব হুজুররা জেলে গিয়ে অন্যান্য অপরাধীদের নামাজের ইমামতি করেন! হুজুরের অজুর পানি, গোসলের পানি টেনে আনে অন্য অপরাধীরা। জেলের পুলিশরাও এইসব বলৎকারকারীদের নেকনজরে দেখে। এটা আমাদের সমাজচিত্র। কেন সামান্য নবীকে নিয়ে দুচার লাইন লেখায় সাতটি বছর একজনকে জেল খাটতে হবে সেখানে যারা শিশুদের মাদ্রাসায় বলৎকার করছে তাদের প্রতি সমাজের সেই ঘৃণা নেই! ধর্ম মানেই যেন ইসলাম! রামুতে যারা গৌতম বুদ্ধের মূর্তি ভাঙ্গল তাদের বিচার করতে এই দেশ অক্ষম নাকি অনিচ্ছুক?
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................