অমুসলিমদের দাওয়াত দেওয়া।

অমুসলিমদের দাওয়াত দেওয়া দুই জন হুজুর একদিন রাস্তায় এক রিকশাওয়ালাকে ডাকল ডেকে দর কশাকশি করে তার রিকশায় উঠল । ঐ দুই হুজুরের একটাই সভাব অপরিচিত সবাইকে নাম জিজ্ঞাস করে নাম খানা অমুসলিম হলেই ইসলামের দাওয়াত দেওয়া শুরু করে । ঐ রিকশাওয়ালাকেও জিজ্ঞাস করল নাম রিকশাওয়ালা বলল হুজুর নাম বললে রাগ করবেন । তারা বলল না রাগ করব না বলেন । সে বলল নাম আনিন্দ দাস । তখন এক হুজুর তাকে হাত চেপে ধরে বলল আচ্ছা অন্তর থেকে বল তোমরা যে মূর্তি পূজা কর এতে কি বিশ্বাস জন্মায় তোমাদের উপর কখনো কি মনে হয়েছে এসব মূর্তি তোমাদের মালিক । রিকশাওয়ালা বলল হুজুর আমার এসবে কখনো বিশ্বাস জন্মায় নি আমি এসব মান্য করিও না কেবল পরিবারের দিকে তাকিয়ে এখনো আছি । তখন হুজুর বলল ইসলামে আস বাচবে আর কয়দিন আল্লাহ কে মান্য কর এটাই সত্য । তুমি ইসলামে আসলে তোমার পরিবারও আসবে ধিরে ধিরে তারা পূর্বের কিছু কাহিনী বলল যেখানে পুরুষ ঘরের প্রথমে ইসলামে এসেছে পরে তার আওভানে ঘরের সবাই  ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে । তখন রিকশাওয়ালা কে হুজুল কলেমা পড়িয়ে মুসলিম বানাল । এই ঘটনা ঢাকার আমার কথা অবিশ্বাস মনে হতে পারে আপনাদের । ঢাকার মালিবাগের ঘটনা এটি । ঢাকাতে বসবাস করা এমন কোন দরিদ্র সনাতনী যেমন মুচি , পানের দোকানি নেই যে যার কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌছায় নি ।
প্রশ্ন হচ্ছে এমন কি সমস্যা যেখানে শুধু দরিদ্র হিন্দু নয় অনেক শিক্ষিত হিন্দুদের মাজেও হিন্দু ধর্ম নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়ে আছে । গতকাল যে পোস্ট দিয়েছিলাম সেখানে একজন বলল ইসলামেরত আল্লাহ , কোরান নির্দিষ্ট করা কিন্তু আমাদের কিছুই ঠিক নেই কে ঈশ্বর আর কোনটা একমাত্র ধর্ম গ্রন্থ । এই প্রশ্ন অনেকের মাজেই জাগ্রত এটা সত্য আমরা বিশ্বাস করি আমরা এক ঈশ্বরের পুজারি কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না কে সেই ঈশ্বর তার কারন অবশ্যই রয়েছে । দুর্গা পূজা হয় এখন প্রশ্ন হল মা দুর্গা কি আমাদের ঈশ্বর ? অনেকে বলবে ইনি দেবতা ? মানে দেবতা কি ঈশ্বর ? ইস্কন পূজা করে শ্রী কৃষ্ণের খুব ভাল কথা কিন্তু শ্রী কৃষ্ণকে নিয়ে যে ১৬১০৮ বিবাহের কথা বর্ণিত আছে অনেকে প্রশ্ন করে এত বিবাহ করা বেক্তি ঈশ্বর হয় কিভাবে ? এই প্রশ্ন জাগ্রত হয় বাংলাদেশের ৭০ ভাগ হিন্দুর মধ্যে ? এসব প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় হিন্দুদের এই দেশের মুসলিমদের কাছে প্রতিনিয়ত । কিন্তু এর সমাধান তারা খুজে পায় না । এর সমাধান খুজে পাওয়ার জন্য তারা একে অপরকে প্রশ্ন করে চলে প্রতিনিয়ত নে পেলেই তৈরি হয় ধর্মের মাজে সন্দেহ ও সংকোচ । কিন্তু এর সমাধান খোজার জন্য তারা ধর্ম শাস্র গুলার দ্বারস্থ হয় না ।
ঈশ্বর কে ?
সর্বেন্দ্রিয়গুণাভাসং সর্বেন্দ্রিয়বিবর্জিতম্ । অসক্তং সর্বভৃচৈব নির্গুণং গুণভোক্তৃ চ ॥গিতা ১৩/১৫॥
অনুবাদ ঃ সেই পরমাত্মা সমস্ত ইন্দ্রিয়ের প্রকাশক, তবুও তিনি সমস্ত ইন্দ্রিয় বিবর্জিত। যদিও তিনি সকলের পালক তবুও তিনি সম্পূর্ণ অনাসক্ত। তিনি প্রকৃতির গুণের অতীত, তবুও তিনি সমস্ত গুণের ঈশ্বর।
র্বতঃ পাণিপাদং তৎ সর্বতোহক্ষিশিরোমুখম্ । সর্বতঃ শ্রুতিমৎল্লোকে সর্বমাবৃত্য তিষ্ঠতি ॥গিতা ১৩/১৪॥
অনুবাদ ঃ তাঁর হস্ত, পদ, চক্ষু, মস্তক ও মুখ সর্বত্রই এবং তিনি সর্বত্রই কর্ণযুক্ত৷ জগতে সবকিছুকেই পরিব্যাপ্ত করে তিনি বিরাজমান।
উপরের শ্লোক দুটি থেকে মহাত্মা শ্রী কৃষ্ণ জি সর্বব্যাপী পরমাত্মা কে ঈশ্বর বলেছেন । এই পরমাত্মা সম্পর্কে আর বর্ণিত আছে যজুর্বেদ ৪০ তম অধ্যায়ে ।
পবিত্র বেদে স্পষ্ট উল্লেখ্য আছে এই পরমাত্মার এক নাম শিব , বিষ্ণু । ঋগ্বেদ ১/১৬৪/৪৬ এ স্পষ্ট বলা আছে পরমাত্মাকে কেও শিব , কে্ব বিষ্ণু কেও বা বরুন নামে অভিহিত করে থাকে । বেদের এক মন্ত্রে আছে দুর্গা শব্দ আছে ঐ মন্ত্র অনুসারে পরমাত্মার এক গুন বাচক নাম দুর্গা । এইছারা পরমাত্মা যখন জ্ঞানী তখন তাকে বলে সরস্বতী ।
আর কৃষ্ণের ১৬১০৮ বিয়ে নিয়ে বঙ্কিমচন্দ্র স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়েছেন কৃষ্ণ চরিত্র গ্রন্থে বইটা কেও পড়বেন সাথে থাকলে । সত্য ন্যায় ও ধর্মের এক মূর্তিমান ছিলেন শ্রীকৃষ্ণ তিনি কখনো এই ১৬১০৮ বিয়ে করেন নি । আসল মহাভারতে এর কোন অস্তিত্ত পাওয়া যায় নি ।
আর বাল্যকাল থেকে সবাই পড়ে আসছি আমাদের একমাত্র ধর্ম গ্রন্থ বেদ, বেদের সারাংশ হল গীতা।
অর্থববেদ ১০.৭.৩৮: শুধু মাত্র পরমাত্মাই হলেন শ্রেষ্ট এবং একমাত্র উপাস্য। তিনিই সকল জ্ঞানের ও কার্যাবলীর উৎস

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted