#মহারাজা_হেমচন্দ্র_বিক্রমাদিত্য
চাগাতাই তুর্কিজাত তৃতীয় মোগল বাদশাহ জালালউদ্দিন মহম্মদ আকবরকে সরাসরি "তুর্কি" বলে অভিহিত করে তার সম্মুখে প্রাণ থাকতে কখনও মাথানত না করার শপথ গ্রহণ করা মেবার নরেশ মহারানা প্রতাপ সিংহ একাধিক যুদ্ধে পরাজিত করেছিলেন মোগল বাহিনীকে কিন্তু কখনও মহারানা প্রতাপের ভয়ে শঙ্কিত হয়ে আগ্রার রাজমহল ত্যাগ করে ভারতবর্ষের বাইরে পলায়ন করতে হয়নি বাদশাহ আকবরকে।
কিন্তু ৭য়ই অক্টোবর, ১৫৫৬ সালে দিল্লির তুঘলকাবাদের যুদ্ধে হেমচন্দ্র বিক্রমাদিত্য ওরফে হেমুর দাপটের সম্মুখে ধরাশায়ী হয় আকবর দ্বারা প্রেরিত মোগল সিপাহি সালহার তার্দি বেগ খানের নেতৃত্বাধীন বিশাল মোগল ফৌজ। তুঘলকাবাদের যুদ্ধে পরাজয়ের সংবাদ শুনে আতঙ্কে থরহরি কম্পিত হয়ে নিজের প্রধান পরামর্শদাতা বৈরম খানের সাথে কাপুরুষের ন্যায় দিল্লি আর ভারতবর্ষ পরিত্যাগ করে আফগানিস্থানে চম্পট দিয়ে গাঢাকা দিতে বাধ্য নন আকবর।
কিন্তু ৭য়ই অক্টোবর, ১৫৫৬ সালে দিল্লির তুঘলকাবাদের যুদ্ধে হেমচন্দ্র বিক্রমাদিত্য ওরফে হেমুর দাপটের সম্মুখে ধরাশায়ী হয় আকবর দ্বারা প্রেরিত মোগল সিপাহি সালহার তার্দি বেগ খানের নেতৃত্বাধীন বিশাল মোগল ফৌজ। তুঘলকাবাদের যুদ্ধে পরাজয়ের সংবাদ শুনে আতঙ্কে থরহরি কম্পিত হয়ে নিজের প্রধান পরামর্শদাতা বৈরম খানের সাথে কাপুরুষের ন্যায় দিল্লি আর ভারতবর্ষ পরিত্যাগ করে আফগানিস্থানে চম্পট দিয়ে গাঢাকা দিতে বাধ্য নন আকবর।
আরও একমাস বাদে আকবরের নির্দেশে ১৫,০০০ সেনা সমেত দিল্লির দিকে ধাবিত হয় মোগল ফৌজ। কিন্তু কাপুরুষোচিত মনোভাবের পরিচয় দিয়ে আলি কুলি খান সৈবানি, হুসেন কুলি খান, সিকান্দার খান উজবেক, আবদুল্লা খান উজবেক আর শাহ কুলি মহরমের উপরে মোগল ফৌজের দারভার চাপিয়ে দিয়ে হেমুর ভয়ে শঙ্কিত বাদশাহ আকবর নিজে তার প্রধান পরামর্শদাতা বৈরম খানের সাথে জালালাবাদের নিকট এক অপেক্ষাকৃত সুরক্ষিত স্থানে আত্মগোপন করেন। যুযুধান মোগল ফৌজের সাথে সম্রাট হেমচন্দ্র বিক্রমাদিত্যের হিন্দু আর মোগল বিরোধী তুর্কি আফগানদের সম্মিলিত সেনাবাহিনী মুখোমুখি হয় তরাইনের নিকটবর্তী পানিপথের রনাঙ্গনে। পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধে হেমুর বিজয় যখন প্রায় করতলগত ঠিক সেই সময় এক মোগল তিরন্দাজের দ্বারা নিক্ষিপ্ত তির এসে বিদ্ধ হয় সম্রাট হেমুর বাম চোখে। এই দুর্ভাগ্যের ফলে ভারতবর্ষ আর দিল্লি নগর বঞ্চিত হয় সম্রাট হেমচন্দ্রের ভারতীয় শাসন থেকে আর পুনরায় কায়েম হয় চাগাতাই তুর্কিজাত মোগল বাদশাহ আকবরের সাম্রাজ্য আর বঙ্গের বুকে কায়েম হয় তাজ খান কারানির "কারানি সুলতানত" একদা যাদের সিপাহি সালহার ছিলেন জিহাদি কালাপাহাড়। পরবর্তীকালে বিজয়ী মোগল ঐতিহাসিকরা তাদের লেখনিতে সম্রাট হেমচন্দ্র বিক্রমাদিত্যকে এক ক্রূর আর ক্ষমতালোভী কাফের বিশ্বাসঘাতক হিসেবে ফুটিয়ে তুলে হেমুর চরিত্রহরণ করেছেন। বর্তমানযুগের ইতিহাসের পাতাতেও মহাবীর হেমু রয়ে গিয়েছেন এক শয়তান কুচক্রী হিসেবে আর জালালুদ্দিন আকবর পরিণত হয়েছেন এক মহান সম্রাট হিসেবে। জলদি আসছে তুঘলকাবাদের যুদ্ধ আর পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধের বিস্তারিত বিবরণ
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................