আরও ভাস্কর চাই
============
আলেমদের উৎপাত শুরু করে দিয়েছে ! তেঁতুল হুজুর বেঁচে থাকা অবস্থায় উনি বলেছেন হেফাজত কোন রাজনৈতিক সংঘঠন না ! এটা শুধুই ধর্মীয় সংঘঠন !
হুজুরের মৃত্যুর পর নতুন নেতৃত্বে এসেছেন মামুনুল হক আর বাবুনগরী !
বাঙালির অন্যান্য ধর্মকে অস্বীকার করে বাংলাদেশকে মুসলমানদের দেশ দাবী করছে !
মুসলমান ধর্মের জন্য তো আমরা স্বাধীনতার যুদ্ধ করেনি ? বিশ্বের মানচিত্রে বাঙালি জাতির একটা মানচিত্রের জন্য আমরা যুদ্ধ করেছি !
আমাদের বাঙালি জাতিতে মুসলমানদের মতো হিন্দু , বৌদ্ধ , খ্রিষ্টান ধর্মের লোক বসবাস করে ! তাহলে হেফাজতের এই ধর্মের রাজনীতি কেন ?
যারা যে ধর্মেই বিশ্বাসী হোন না কেন এবং যে নামেই আল্লাহকে ডাকেন না কেন, তাদের মনে রাখতে হবে ধর্মকে কেন্দ্র করে আল্লাহ নন, আল্লাহকে কেন্দ্র করে ধর্ম।
যারাই একক আল্লাহয় আস্থাশীল, আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ ও অনুগত এবং তাঁর কাছে জবাবদিহিতায় বিশ্বাসী, তারা সবাই আল্লাহর ধর্মে দীড়্গিত। ঐতিহাসিক পরম্পরায় আল্লাহর বাণী নিয়ে বহু পয়গম্বরের আবির্ভাব হয়েছে আদিকাল থেকে। আল্লাহর বাণীর সর্বশেষ প্রচারক হজরত মুহাম্মদ !
ইসলামের উৎপত্তি সেই বিশ্বাস থেকে।
পবিত্র কোরআনে স্পষ্ট ভাষায় বলা হয়েছে, জানা-অজানা অতীতের সব পয়গম্বরের ওপরই বিশ্বাস রাখতে হবে আল্লাহর প্রেরিত বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে। এক হিসেবে মানুষ মাত্রেই আল্লাহর প্রতিনিধি, যে জন্য মানুষকে বলা হয়েছে, ‘আশরাফুল মাখলুকাত’—সব প্রাণিকুলের মধ্যে ‘শ্রেষ্ঠ জীব’।
মানুষ তার চিন্তা ও কল্পনা শক্তির সীমাবদ্ধতার কারণে পৌত্তলিকতার দিকে ঝুঁকে পড়ে। নিরাকার আল্লাহর উপাসনা করতে গিয়ে তারা বস্তুজগতের প্রতীককে পূজা করে। কোরআনে বলা হয়েছে, ‘চেয়ে দেখ আমার প্রতীক সর্বত্র’। চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, তারা রূপে, রসে-গন্ধে ভরা আমাদের বসুন্ধরা সবই স্রষ্টার অপরিসীম সৃষ্টিশক্তির ও সৌন্দর্য !
সবই স্রষ্টার বেঁধে দেওয়া নিয়মে বাঁধা যে জন্য কক্ষচ্যুত হয়ে এক গ্রহের সঙ্গে আরেক গ্রহের সংঘর্ষ বাধে না, নদী তার আপন গতিতে ধেয়ে চলে যুগ যুগ ধরে। পর্বতরাশি অটুট বন্ধনে সমুন্নত থাকে ধসে পড়ে না—তাও কোরআনের ভাষায় ‘সব কিছু নির্দিষ্ট সময়-কালের জন্য’। এখন বিজ্ঞানই বলে, আমাদের সুন্দর পৃথিবী ও মহাবিশ্বও একদিন ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে কসমিক নিয়মে। কোরআনের কথা অনুযায়ী—জন্ম নেবে নতুন বিশ্বব্রহ্মা্ল’ (সূরা ইব্রাহিম-৪৮)।
মানব জীবন দুই আইনে বাঁধা—মানুষের বেঁধে দেওয়া ‘আইন’ ও ‘ধর্মীয় বিধান’। মানুষের বেঁধে দেওয়া আইন ভঙ্গ করলে বিচারক হয় মানুষ এবং বিচার হয় এই জীবনেই। সাজাও হয় তাক্ষণিক।
আর ধর্মীয় বিধান অমান্য করলে বিচারক হন আল্লাহ এবং বিচার হবে নতুন জন্মে। রাষ্ট্রীয় শাস্তিমূলক আইন দিয়ে ধর্মীয় বিধান মানতে বাধ্য করা ধর্মীয় নীতির বিরোধী। ধর্ম তখন আর ধর্ম থাকে না, হয়ে পড়ে রাষ্ট্রীয় অনুশাসন।
যারা পবিত্র ধর্মকে নোংরা রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যেতে চায় তারা আর যাই হোক, ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়। রাজনীতি এক কথায় ক্ষমতার লড়াই—তা রাজতন্ত্র, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র সব অবস্থাতেই। রাজনীতিতে ছল-চাতুরী, কূটকৌশল, চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র, অর্থবল, পেশিবল, প্রচারবল—অধর্মীয় এসব নানা পন্থা প্রয়োগ করা হয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার জন্য। তাই ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হলে, ধর্মকে কখনো রাজনীতির ডামাডোলে টেনে আনা উচিত নয়।
যারা ধর্মের নামে আইনকে হাতে নিয়েছে , ধর্মীয় উস্কানি দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে , বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর ভেঙে আনন্দ উৎসব করছে , তারা আলেম হউক কিংবা মুফতী তাদের সাথে কোন আলোচনা আমরা মেনে নিবো না ! নিতে পারিনা !
মৃত্যুর পর কবে বিচার হবে জানিনা ! তেঁতুল হুজুর নাস্তিক হত্যার ডাক দিয়ে কবরে চলে গেছে !
এরাও একদিন মানুষের আইনকে ফাঁকি দিয়ে কবরে চলে যাবে !
তার আগে তাদের রাষ্ট্রের আইন ভঙ্গ এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতার কারনে সবাইকে মানুষের বেঁধে দেয়া আইনে বিচার করে জেলে ঢুকাতে হবে !
নয়তো একদিন তারাই রাষ্ট্রের অশনি সংকেত হয়ে দাঁড়াবে ............ হ
তথ্য সংগ্রেহ !
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................