মানব অধিকার দিবস "
ডা:পাগোবি: বিশ্বে একটি বিশেষ এবং প্রচলিত শব্দ হচ্ছে " মানবাধিকার"। বিশ্বের প্রতিটি মানুষ জন্মগত ভাবে স্বাধীন - সমান সন্মান এবং মর্যাদার অধিকারী। সব জায়গায় সবার জন্য সমান ভাবে প্রযোজ্য - সহজাত এবং আইনগত অধিকার।
বিশেষজ্ঞদের মতে " সাইরাস সিলিন্ডার" বিশ্বের প্রথম মানবাধিকার সনদ। যা তৈরী হয়েছিল ৫৩৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দে। প্যারিসের রাজা " সাইরাস সিলিন্ডার" ব্যবিলন আক্রমণ করেন এবং ব্যবিলনীয়দের দ্বারা নির্যাতিত দাস জনগোষ্ঠীকে মুক্ত করে নিজ নিজ দেশে পাঠাবার ব্যবস্থা করেন। যা সাইরাস দ্য গ্রেট নামে পরিচিত। এরপর সাইরাসের নির্দেশে সাম্রাজ্য জুড়ে ধর্মীয় স্বাধীনতা - সহিষ্ণুতা এবং মানবাধিকার রক্ষা সনদ তৈরী হয়। যা " সাইরাস সিলিন্ডার" নামে পরিচিত।
৬২২ খ্রিস্টাব্দে মহানবী " মদীনা সনদ" ঘোষণায় উল্লেখযোগ্য মানবাধিকার বিষয়গুলো হচ্ছে স্বাক্ষরকারী সকল সম্প্রদায় মিলে একটি সাধারণ জাতি গঠন করবে এবং সব সম্প্রদায় সমান অধিকার ভোগ করবে। সকল নাগরিক পূর্ন ধর্মীয় স্বাধীনতা ভোগ করবে, কেউ কারো ধর্মে হস্তক্ষেপ করবে না, নাগরিকদের অধিকার ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাষ্ট্রা করবে। সকাল প্রকার হত্যা ও ধর্ষণ নিষিদ্ধ। কোনো ব্যাক্তি অপরাধ করলে, তা ব্যাক্তিগত অপরাধ বলে গণ্য হবে এবং সেই কারণে অপরাধীর সম্প্রদায়কে দায়ী করা যাবে না। দুর্বল ও অসহায়দের সর্বত্রভাবে সাহায্য ও সহযোগিতা করতে হবে।
১২১৫ সালে ইংল্যান্ড এর রাজা জন এবং ধনী বিত্তশালী ব্যরন এর মধ্যে একটি মানবাধিকার চুক্তি সম্পাদিত হয়। যার নাম " ম্যাগনা কার্টা" । এই চুক্তিতে নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছিল যে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি কাউন্সিলের পূর্ব অনুমতি ছাড়া খামখেয়ালি ভাবে জনগনের উপর কর আরোপ করা যাবেনা। রাজ-কর্মকর্তারা যথেচ্ছভাবে জনগণের ভূসম্পত্তি অধিগ্রহণ করতে পারবেনা। ম্যাগনা কার্টা চুক্তিতেই সর্বপ্রথম ঘোষণা করা হয়- সকলেই আইনের অধীন কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।
১৬০০ শতকে ব্রিটিশ জনগণের আন্দোলনের ফলে তৈরী হয় পিটিশন অব রাইটস । ১৬২৮ সালে সংসদে আইনাকারে গৃহীত হয়।
প্রতিটি মানুষের জন্মগত - জাতি - বর্ণ - গোত্র - ভাষা - শিক্ষা - ধর্ম - লিঙ্গ নির্বিশেষে সকল মানুষের কোনোরকম বৈষম্য ছাড়া ভোগ করার অধিকারকেই মানবাধিকার বলা হয়। মানবাধিকার আন্তর্জাতিক আইন দ্বারা স্বীকৃত ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ফ্রাঙ্কলিন - ডি - রুশভেল্ট দ্বারা রচিত জাতিসংঘ নামটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪২ সালে ১ লা জানুয়ারি জাতিসংঘের ঘোষণা পত্রে প্রথম ব্যবহৃত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সানফ্রানসিস্কোতে ৫১ টি দেশ সম্বলিত ভাবে জাতিসংঘ নামে একটি নতুন সংস্থা তৈরী করে। জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক শান্তি - সুরক্ষা বজায় রেখে উন্নয়নের প্রচার এবং অভাবীদের মানবিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক আইনকে সমর্থন করে মানবাধিকার রক্ষা - গণতন্ত্রকে প্রচার করে । সদস্য দেশগুলি - জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে এবং আরো ভালো বিশ্ব গড়তে একত্রে লড়াই করছে। এর প্রধান অঙ্গ সাধারণ পরিষদ - সুরক্ষা কাউন্সিল - অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাউন্সিল - ট্রাস্টিশিপ কাউন্সিল - আন্তর্জাতিক ন্যায় বিচার আদালত এবং জাতিসংঘ সচিবালয়।
সকল মানুষের মানবাধিকার নিশ্চিত করতে প্যারিসে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ১৯৪৮ সালের ১০ ই ডিসেম্বর মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্র ঘোষিত, এবং বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালন করা হয়। প্রতি ৫ বছর অন্তর জাতিসংঘের মানবধিকার ক্ষেত্র পুরুস্কার করা হয়। নোবেল শান্তি পুরুস্কার প্রদান কার্যক্রমও ঐদিনেই হয়ে থাকে। বিশ্বের সর্বত্র ১০ ই ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবস পালন হলেও দক্ষিণ আফ্রিকায় শার্পেভিল গণহত্যাকে স্মরণ করে ২১ মানবাধিকার কর্মী হিসাবে।" মানব অধিকার দিবস "
ডা:পাগোবি: বিশ্বে একটি বিশেষ এবং প্রচলিত শব্দ হচ্ছে " মানবাধিকার"। বিশ্বের প্রতিটি মানুষ জন্মগত ভাবে স্বাধীন - সমান সন্মান এবং মর্যাদার অধিকারী। সব জায়গায় সবার জন্য সমান ভাবে প্রযোজ্য - সহজাত এবং আইনগত অধিকার।
বিশেষজ্ঞদের মতে " সাইরাস সিলিন্ডার" বিশ্বের প্রথম মানবাধিকার সনদ। যা তৈরী হয়েছিল ৫৩৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দে। প্যারিসের রাজা " সাইরাস সিলিন্ডার" ব্যবিলন আক্রমণ করেন এবং ব্যবিলনীয়দের দ্বারা নির্যাতিত দাস জনগোষ্ঠীকে মুক্ত করে নিজ নিজ দেশে পাঠাবার ব্যবস্থা করেন। যা সাইরাস দ্য গ্রেট নামে পরিচিত। এরপর সাইরাসের নির্দেশে সাম্রাজ্য জুড়ে ধর্মীয় স্বাধীনতা - সহিষ্ণুতা এবং মানবাধিকার রক্ষা সনদ তৈরী হয়। যা " সাইরাস সিলিন্ডার" নামে পরিচিত।
৬২২ খ্রিস্টাব্দে মহানবী " মদীনা সনদ" ঘোষণায় উল্লেখযোগ্য মানবাধিকার বিষয়গুলো হচ্ছে স্বাক্ষরকারী সকল সম্প্রদায় মিলে একটি সাধারণ জাতি গঠন করবে এবং সব সম্প্রদায় সমান অধিকার ভোগ করবে। সকল নাগরিক পূর্ন ধর্মীয় স্বাধীনতা ভোগ করবে, কেউ কারো ধর্মে হস্তক্ষেপ করবে না, নাগরিকদের অধিকার ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাষ্ট্রা করবে। সকাল প্রকার হত্যা ও ধর্ষণ নিষিদ্ধ। কোনো ব্যাক্তি অপরাধ করলে, তা ব্যাক্তিগত অপরাধ বলে গণ্য হবে এবং সেই কারণে অপরাধীর সম্প্রদায়কে দায়ী করা যাবে না। দুর্বল ও অসহায়দের সর্বত্রভাবে সাহায্য ও সহযোগিতা করতে হবে।
১২১৫ সালে ইংল্যান্ড এর রাজা জন এবং ধনী বিত্তশালী ব্যরন এর মধ্যে একটি মানবাধিকার চুক্তি সম্পাদিত হয়। যার নাম " ম্যাগনা কার্টা" । এই চুক্তিতে নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছিল যে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি কাউন্সিলের পূর্ব অনুমতি ছাড়া খামখেয়ালি ভাবে জনগনের উপর কর আরোপ করা যাবেনা। রাজ-কর্মকর্তারা যথেচ্ছভাবে জনগণের ভূসম্পত্তি অধিগ্রহণ করতে পারবেনা। ম্যাগনা কার্টা চুক্তিতেই সর্বপ্রথম ঘোষণা করা হয়- সকলেই আইনের অধীন কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।
১৬০০ শতকে ব্রিটিশ জনগণের আন্দোলনের ফলে তৈরী হয় পিটিশন অব রাইটস । ১৬২৮ সালে সংসদে আইনাকারে গৃহীত হয়।
প্রতিটি মানুষের জন্মগত - জাতি - বর্ণ - গোত্র - ভাষা - শিক্ষা - ধর্ম - লিঙ্গ নির্বিশেষে সকল মানুষের কোনোরকম বৈষম্য ছাড়া ভোগ করার অধিকারকেই মানবাধিকার বলা হয়। মানবাধিকার আন্তর্জাতিক আইন দ্বারা স্বীকৃত ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ফ্রাঙ্কলিন - ডি - রুশভেল্ট দ্বারা রচিত জাতিসংঘ নামটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪২ সালে ১ লা জানুয়ারি জাতিসংঘের ঘোষণা পত্রে প্রথম ব্যবহৃত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সানফ্রানসিস্কোতে ৫১ টি দেশ সম্বলিত ভাবে জাতিসংঘ নামে একটি নতুন সংস্থা তৈরী করে। জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক শান্তি - সুরক্ষা বজায় রেখে উন্নয়নের প্রচার এবং অভাবীদের মানবিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক আইনকে সমর্থন করে মানবাধিকার রক্ষা - গণতন্ত্রকে প্রচার করে । সদস্য দেশগুলি - জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে এবং আরো ভালো বিশ্ব গড়তে একত্রে লড়াই করছে। এর প্রধান অঙ্গ সাধারণ পরিষদ - সুরক্ষা কাউন্সিল - অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাউন্সিল - ট্রাস্টিশিপ কাউন্সিল - আন্তর্জাতিক ন্যায় বিচার আদালত এবং জাতিসংঘ সচিবালয়।
সকল মানুষের মানবাধিকার নিশ্চিত করতে প্যারিসে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ১৯৪৮ সালের ১০ ই ডিসেম্বর মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্র ঘোষিত, এবং বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালন করা হয়। প্রতি ৫ বছর অন্তর জাতিসংঘের মানবধিকার ক্ষেত্র পুরুস্কার করা হয়। নোবেল শান্তি পুরুস্কার প্রদান কার্যক্রমও ঐদিনেই হয়ে থাকে। বিশ্বের সর্বত্র ১০ ই ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবস পালন হলেও দক্ষিণ আফ্রিকায় শার্পেভিল গণহত্যাকে স্মরণ করে ২১ শে মার্চ,
মানবাধিকার আন্দোলনের নামে কিছু ব্যবসায়ী নিজের স্বার্থে মানবাধিকার সংগঠন গঠন করে তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিত্রাথ্য করতে চাইছে এত করে মানবাধিকার আন্দোলন ক্ষতি হচ্ছে
কি কেন্দ্রীয় সরকার বা কি রাজ্য সরকার সর্বক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের মানবাধিকার লূঠ করে চলেছে সেই বিষয়ে ব্যবসায়ীদের গঠিত মানবাধিকার নীরব দর্শক
কারন প্রতিবাদ করার মানসিকতা এদের নেই কারণ প্রতিবাদ করতে গিয়ে যদি তাদের ব্যবসার ক্ষতি হয় সেইজন্য মানবাধিকার আন্দোলন ভারতে গড়ে তোলা সেই ভাবে যাই নি ,
যারা পথে মাঠে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে থেকে সরকার বিরোধী আন্দোলন করেছেন,
যারা কিছু পাওয়ার জন্য রাজনীতি করেন নি, যারা রাজনৈতিক মর্যাদা পাচ্ছেন না সেই সব মানুষদের এনে সত্যিকারের মানবাধিকার আন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব, তবে তাদের রাজনৈতিক সম্পর্ক ত্যাগ করতে হবে,
সব রাজনৈতিক দলের মধ্যেই এধরনের প্রচুর প্রণম্য মানুষ আছেন,
তারাই পারবে সত্যিকারের মানবাধিকার আন্দোলন সংগঠিত করতে,
তা না হলে মানবাধিকার আন্দোলন নামে world Human rights Day পালন অর্থহীন।
স্বপন ব্যানার্জি, সুবীর বর্মন ও
আন্তর্জতিক মানবাধিকার কমিশনের সভ্য ও সদস্য বৃন্দ।
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................