দুগ্গা পুজোর ঢাক: আল্লাহ নাখোশ
---------------------------------------------------
২০১৮ সালে দূর্গা পূজার সময় এক ফেসবুক বন্ধুর পোস্টে জানতে পেরেছিলাম, এ বাংলার এক জেলার এক মসজিদের হোতা পুলিশ স্টেশনে আবেদন করেছে দূর্গা পূজার ঢাকের শব্দ ও আনুসাঙ্গিক শব্দ বন্ধ করার ।
নাহ ! পাঠক, আমি খুব একটা অবাক হইনি কারণ একটু পড়াশোনা করলে, একটু চোখ কান খোলা রাখলে মসজিদের হোতার এই অভিব্যক্তি বহিঃপ্রকাশের উৎসে পৌঁছোনো যায় । কি ভাবছেন ? ভাবছেন তো, এই আবার শুরু করলো ! ঠিক আছে পাঠক, তাহলে শুরুই করি, আপনারা শুনুন :
নাহ ! পাঠক, আমি খুব একটা অবাক হইনি কারণ একটু পড়াশোনা করলে, একটু চোখ কান খোলা রাখলে মসজিদের হোতার এই অভিব্যক্তি বহিঃপ্রকাশের উৎসে পৌঁছোনো যায় । কি ভাবছেন ? ভাবছেন তো, এই আবার শুরু করলো ! ঠিক আছে পাঠক, তাহলে শুরুই করি, আপনারা শুনুন :
Brigitte Gabriel-They Must Be Stopped বইতে লিখেছেন :'প্রায় ১৪০০ বছর ধরে ইসলামিক জেহাদে ২৭ কোটি মানুষ নিহত হয় ;আফ্রিকান ১২ কোটি, খ্রীষ্টান ৬ কোটি, হিন্দু ৮ কোটি*, বৌদ্ধ ১ কোটি (By 1905 the west had liberated its territory previously conquered and savaged by Islam, and declared an economic and military victory, thus marking the end of 1,400 years of Islamic rule and jihad. During this period, Muslims had killed 270 million people across the globe; 120 million Africans, 60 million Christians, 80 million Hindus, and 10 million Buddhists.)।' Gabriel ইসলামকে বলেছেন Islamofascism বা ইসলামি ফ্যাসিবাদ। জিহাদ আল্লার অলঙ্ঘ বিধান । তথাকথিত মডারেট মুসলমান জেহাদী সন্ত্রাসবাদী কাজের সঙ্গে সহমত পােষণ না করলেও, জেহাদীদের গভীর ভাবাবেগ ও অঙ্গীকারের প্রতি নিঃশব্দ সমর্থন রাখে । লেখকের বক্তব্য অনুযায়ী ১৩০০ বছর ধরে হিন্দুস্থান ইসলামের পৈশাচিক তাণ্ডবে রক্তাক্ত বিধ্বস্ত আর এই সন্ত্রাসে নিহত হিন্দুর সংখ্যা ৮ কোটি । পাঠক, এখানে আমার লেখকের হিসেবে নিয়ে প্রশ্ন আছে । ১৯৩৯ সালে ভারতের হিন্দুর সংখ্যা ছিল মাত্র ২৬ কোটি, তাহলে ২০০ বৎসর পূর্বে যখন ইংরেজের হাতে পরাজিত হয়ে ভারতে মুসলিম সাম্রাজ্যের অবসান হয় তখন হিন্দু কত ছিল ? তারও ১০০০ বৎসর পূর্বে যখন একহাতে তরবারি ও অন্য হাতে কোরান নিয়ে এদেশে ইসলামের আবির্ভাব ঘটে তখন হিন্দুর সংখ্যা কত হতে পারে? কত হিন্দু ১২০০ বৎসরে বেড়ে হয় ২৬ কোটি ? এই প্রশ্নের উত্তরে স্বামীজীর লেখা থেকে তুলে ধরি : 'When the Mohammedans first came, we are said I think on the authority of Ferista, the oldest Mohammedan historian to have been six hundred millions of Hindus,. Now we are about two hundred millions—The complete works of Swami Vivekananda-Vol.5, p. 233 । পাঠক, কান খুলে শুনে রাখুন :ইসলাম অনুযায়ী পৃথিবী দুই শিবিরে বিভক্ত-দার-উল-ইসলাম (abode of Peace-মুসলিম শাসিত) আর দার-উল-হারব (abode of war অ-মুসলমান শাসিত)। মুসলমান মাত্রেরই কর্তব্য ইসলামের সম্প্রসারণ ঘটানো, যুদ্ধ করে দার-উল-হারব কে দার-উল-ইসলামে পরিণত করা পর্যন্ত । ইসলামের বিধান অনুসারে কোন মুসলমান অ-মুসলমানের অধীনে থাকিতে পারে না। (রেফ : Sir J.N. Sarkar -History Of Aurangazib ) । মুসলমানের কোরান হলো সেই দিব্যবাণীর সংকলন, যেখানে বলা হয়েছে : ইসলাম হল একমাত্র সত্য ধর্ম, অন্য সকল ধর্ম মিথ্যা এবং আল্লাহ হলো এই বিশ্ব জাহানের একমাত্র মালিক আর তার কোনো অংশীদার নেই। যারা আল্লাহ ও মহম্মদে বিশ্বাস করে না, তারা হল অবিশ্বাসী, সত্য প্রত্যাখ্যানকারী। আল্লাহ বিশ্বাসী মুসলমানদের প্রতি অনন্ত করুণাময়, কিন্তু অবিশ্বাসী, অ-মুসলমানদের প্রতি ভয়ানক নির্দয় !
ভারতীয় উপমহাদেশে আগ্রাসী, আক্রমণকারী সুলতান মামুদ ও বাবর ছিলেন তাতার, তৈমুরলঙ মােঙ্গল, মহম্মদ ঘােরী, নাদির শাহ ও আহম্মদ শাহ আবদালি ছিলেন আফগান। এই আত্মঘাতী বিরােধ সত্ত্বেও তাদের মূল উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য ছিল এক ও অভিন্ন—আর তা হল হিন্দুধর্মকে নির্মূল করা । স্বাধীন ভারতের কাশ্মীরে মুসলমান সংখ্যাগুরু । মাসুদ আজাহার প্রতিষ্ঠিত জৈশ-ই-মহম্মদের মুখপাত্র রাণা ফারুক বলেছিল :“আমরা কাশ্মীরের মুসলমানদের জন্য সংগ্রাম করছি; এবং এই সংগ্রাম থামবে না। আল্লাহর নির্দেশেই এই জেহাদ। তা আগেও থামেনি, ভবিষ্যতেও থেমে থাকবে না ।"(আনন্দবাজার পত্রিকা ১০.১০.২০০১) । পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যার ৩১% এখন মুসলমান । এই ৩১% তেই আবেদন জমা পরছে অ-মুসলিমদের ধর্মানুষ্ঠানের অনুসাঙ্গিকতায় (কখনোই শব্দ অত্যাচার সাপোর্ট করছি না ), এবং যারা করছে সেই মুসলমান মজলিশে,ওয়াজে পাবলিকে মাইকে অ-মুসলিমদের মুণ্ডুপাত করে ।
পাঠক, এই বাংলায় যৌনবিলাসী মুসলমান যখন জনসংখ্যার ৪৫-৫০% হবে, তখন অ-মুসলিমদের ধর্ম পালন কোন বাজারে ঠোঁটে লিপস্টিক মেখে দাঁড়াবে ?
Additional ref : Dr.B.R. Ambedkar- Writings and Speeches
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................