#হিন্দু_গণহত্যা_পর্ব_১ঃ
🚩১৯৭১ সালে পাকিস্তানপন্থী বাংলাদেশী মুসলিমদের সহযোগিতায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কিভাবে
"হিন্দু হলোকাস্ট" অর্থাৎ হিন্দু গণহত্যা চালিয়েছিল তার ধারাবাহিক অনুসন্ধানমূলক তথ্য উপস্থাপন করবো।
🚩আজকে আলোচনা করবো ঠাকুরগাও সদরের শুখান পুকুরী ইউনিয়নের জাঠিভাঙ্গা গ্রামে পরিচালিত গণহত্যা বিষয়ে। রংপুর বিভাগের একটি জেলা হচ্ছে ঠাকুরগাঁও।
🚩১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ বর্তমান বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান সম্মুখ যুদ্ধ শুরু হলে সারা বাংলাদেশ থেকে নিরস্ত্র হিন্দুরা ভারতে আশ্রয় নেওয়া শুরু করে। এরই প্রেক্ষিতে ১৯৭১ সালের ২২ এপ্রিল রাতে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়া, শুখানপুকুরী, জগন্নাথপুর, চকহলদি, সিংগিয়া, চণ্ডীপুর, বাসুদেবপুর, মিলনপুর, গৌরীপুর, খামার ভোপলা, ভোপলা, দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার পলাশবাড়ী ও পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জের হিন্দুরা পরিবার পরিজন নিয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার উদ্দেশ্যে সবাই জাঠিভাঙ্গায় আশ্রয় নেয়।
🚩কিন্তু স্থানীয় কিছু মুসলিম পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে খবর দেয়।এজন্য ২৩ এপ্রিল ভোরে হাজার হাজার(সরকারি মতে ৩ হাজার বেসরকারিমতে ১০ হাজারের বেশি) হিন্দু পুরুষদের লাইনে দাড় করিয়ে সব গহণা,টাকা কেড়ে নিয়ে ব্রাস ফায়ার করা হয়। যারা গুলিতে মারা যায় নি সেইসব হিন্দু পুরুষদের বেয়নেট দিয়ে খুচিয়ে খুচিয়ে হত্যা করা হয়।ফেলে দেওয়া হয় নদীতে।হিন্দু নারীদের করা হয় ধর্ষণ। মৃতদেহের স্তুপে জাঠিভাঙ্গার নদীপথ বন্ধ হয়ে যায়।এখনো সেখানকার মাটি খুড়লে হাড়গোড় পাওয়া যায়।স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পরেও সেইখানে নদীপথ এখনো বন্ধ হয়ে আছে।
🚩সংখ্যাগরিষ্ঠ বালিয়া,শুখানপুকুরী,জগন্নাথপুর,
সিংগিয়া,চন্ডিপুর, বাসুদেবপুর,গৌরিপুর,মিলনপুর,
ভোপলা,খামার ভোপলা,পলাশবাড়ী, দেবীগঞ্জ এখন সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়েছে।জাঠিভাঙ্গা, শুখানপুকুরী,চক হলদি,চন্ডিপুর প্রায় হিন্দু শুণ্য হয়ে গেছে। চক হলদি,চন্ডিপুরে হিন্দুদের হাজার হাজার একর জমি খাস জমি হয়ে গেছে এবং স্থানীয় মুসলমানরা দখল করেছেন। এই ইতিহাস নিজে জানতে হবে এবং আমাদের প্রজন্মকেও জানাতে হবে।
🚩ঠাকুরগাও জেলা এজন্য ২৩ এপ্রিল ঠাকুর গাও গণহত্যা দিবস পালন করেন। প্রকৃতপক্ষে হবে ঠাকুর গাও জেলা হিন্দু গণহত্যা দিবস। জাঠিভাঙ্গা গণহত্যা হচ্ছে ঠাকুরগাঁও জেলার প্রথম এবং সবচেয়ে বড় গণহত্যা।
🚩বিভিন্ন সাংবাদিকসহ ঠাকুরগাঁও জেলার ইতিহাসবিদ,সরকারি তথ্য সবাই স্বীকার করেছেন জাঠিভাঙ্গায় নিহত সবাই হিন্দু ছিলেন। এতকিছু প্রমাণ থাকার পরও কেন ২৩ এপ্রিল ঠাকুরগাও জেলা হিন্দু গণহত্যা দিবস হিসেবে পালিত হবে না??
🚩আপনারা কি ভাবতে পারছেন কেন ১৯৭১ সালে নিরস্ত্র হিন্দুদের গণহত্যা চালানো হয়েছিল??
কেন শুধু হিন্দুদের গহণা,টাকা লুট করা হয়েছিল??
কেন সকল রাজাকার,আলবদররা শুধু মুসলিম??
🚩অনেক মুসলিম ভাই প্রশ্ন করতে পারেন তাহলে কি বাংলাদেশী মুসলিমদের পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা হত্যা করেননি সব কি শুধু হিন্দু ছিল??
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী সেই সব মুসলমানদের হত্যা করেছিলেন যারা অস্ত্র নিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল, সরাসরি মুক্তি বাহিনীকে সহায়তা করেছিল এবং বুদ্ধিজীবী ছিল কিন্তু নিরস্ত্র মুসলমানদের উপর কখনোই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গণহত্যা চালায়নি।
🚩১ম ছবিঃ জাঠিভাঙ্গা গণহত্যা স্মৃতিসৌধ্য
২য় ছবিঃ বর্তমানে জীবীত সেইসব হতভাগী হিন্দু বিধবারা যারা ২৩ এপ্রিল তাদের স্বামীকে হারিয়েছেন,সাথে হারিয়েছে নিজ সতিত্ব।
৩য় ছবিঃ ঠাকুর গাও জেলায় অবস্থিত অপরাজেয় ৭১ এর সামনে রাজাকারদের ফাসির দাবিতে হিন্দু বিধবাদের মানববন্ধন।
🚩বাংলাদেশের ১ নম্বর জাতীয় পত্রিকা প্রথম আলোর লিংকঃ
https://www.prothomalo.com/bangladesh/district/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%8B-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%87-%E0%A6%B6%E0%A6%B9%E0%A7%80%E0%A6%A6%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................