-হুজুর অভিজিত রায়ের খুনিদের মুক্তি চাইলেন আপনারা, অথচ দাবী করেন আপনারা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে। বিষয়টা কি?
-অবশ্যই আমরা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে। কিন্তু রসূলের শানে বেয়াদবী যে করবে তার গর্দান উড়িয়ে দেয়া কোন দোষের কাজ নয়! ইসলামের শত্রুদের কোন ছাড় নাই।
-তার মানে আপনারা জঙ্গিবাদ বিরোধী কিন্তু আনসারুল্লাহ বাংলা টিম সমর্থক?
-এই তো ফ্যাতনা সৃষ্টি করছেন! বিষয়গুলি কুরআন ও সন্নাহর আলোকে বুঝতে হবে। জিহাদ কতলের বিধানের সঙ্গে জঙ্গিবাদকে জড়ানো মুর্খতা!
-হুজুর তাহলে বলতে চাইছেন আইএস, আল কায়দা, বোকো হারাম, জেএমবি তারা জঙ্গি? কিন্তু তারা ইসলামের সমালোচনাকারীদের হত্যা করলে তাদের সমর্থন করা জায়েজ?
-আবার ফ্যাতনা সৃষ্টির চেষ্টা হচ্ছে! বিষয়গুলো বুঝতে হবে! জিহাদ আর জঙ্গিবাদ এক না...
-কিন্তু সাধারণ মানুষ তো্ দেখে বড় বড় আলেমরা এইসব দলের নেতা?
-সমস্যাটা এই জায়গাতেই। যারা এসব করছে তারা জিহাদ কি বুঝে নাই।
-তাহলে তো হুজুর এরাই ইসলামের সবচেয়ে বড় ক্ষতি করছে তাই না? এদের কারণে ইসলামের বদনাম হচ্ছে। তাহলে এদের বিরুদ্ধে আপনারা ব্যবস্থা নেন না কেন? নাস্তিক হত্যাকে ওয়াজিব বলেন, ইহুদীনাসারা ইসলামের শত্রুদের বিরুদ্ধে জিহাদ চালানোর কথা বলেন কিন্তু আজ পর্যন্ত জঙ্গিদের হত্যা ওয়াজিব হয়ে গেছে বলতে শুনলাম না তো? বরং মিছিল করেছেন ‘আমরা সবাই তালেবান বাংলা হবে আফগান’!
-আপনে গুমরাহের দিকে চলে গেছেন। আপনাকে বুঝানো কষ্টকর!
-হুজুরের কাছে আরেকটা প্রশ্ন। গণতন্ত্র সেক্যুলারিজমকে আপনারা কুরআন হাদিসের আলোকে কুফরি মতবাদ বলেন। কিন্তু দেখেন ভারতের ফুরফুরা পীরের ছেলে সেক্যুলারিজমের নাম দিয়ে দল গঠন করে নির্বাচন করছে!
-ভারত হচ্ছে কাফের রাষ্ট্র। সেখানে মুসলমানদের ভালো থাকার জন্য সেক্যুলারিজমের কোন বিকল্প নাই। এ জন্যই সেখানে মুসলমানরা সেক্যুলারিজম চাইবে। যখন ভারতে মুসলমানরা সংখ্যাগুরু হয়ে যাবে তখন সেক্যুলারিজমকে ইয়ের মধ্যে ভরে দেয়া হবে!
-ওরে বাপরে! আপনারা জঙ্গিবাদ বিরোধী কিন্তু জঙ্গিদের সমর্থক! আপনরারা সেক্যুলারিজমকে কুফরি মানেন কিন্তু সংখ্যালঘু হলে সেটার সাপোর্ট করতে বলবেন! এ তো দেখি দিনে দুপুরে ভন্ডামী!
-শালা নাস্তিক তুই মুসলমানদের ভন্ড বললি তোর এতবড় সাহস! তোর গর্দান উড়ায় দিতে হবে!...
#সুষুপ্ত_পাঠক
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................