লক্ষণসেনের বংশধরদের সন্ধানে হিমালয়

লক্ষণসেনের_বংশধরদের_সন্ধানে_হিমালয়

গৌড়বঙ্গের শেষ হিন্দু রাজা লক্ষণসেন রাজধানী নবদ্বীপ থেকে পালিয়ে গিয়ে পূর্ববঙ্গে আশ্রয় নেন এবং কিছুদিন সেখানে রাজত্ব করার পর সম্ভবত ১২০৬ খৃষ্টাব্দে পরলোক গমন করেন । এ পর্যন্ত আমরা সবাই ইতিহাসের পাতায় পড়েছি। যদিও এক পরাক্রমশালী নৃপতি, যাঁর রাজত্ব সমগ্র গৌড়বঙ্গ, কলিঙ্গ, কামরূপ থেকে পশ্চিমে বারানসী, প্রয়াগ পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল, কোন মন্ত্রবলে সপ্তদশ অশ্বারোহী নিয়ে বখ্তিয়ার খিলজি তাকে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে রাজধানী ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছিল, সে নিয়ে কিছু ধোঁয়াশা আছে । মানছি লক্ষণসেন তখন বৃদ্ধ ... তবুও মনে হয় ইতিহাস তার সব গুপ্ত কথা বোধহয় আমাদের কাছে প্রকাশ করেনি । যাই হোক, আমাদের আলোচ্য বিষয় অন্য ।
          
  লক্ষণসেনের মৃত্যুর পর পূর্ব  বঙ্গে তাঁর বংশধর বিশ্বরূপসেন, কেশবসেন ইত্যাদি প্রায় পঞ্চাশ বছর মুসলমান আক্রমণ প্রতিহত করে রাজত্ব করেছেন এবং নিজেদের গৌড়েশ্বর উপাধিতে ভূষিত করেছেন যদিও গৌড় তাঁদের অধিকার ভুক্ত ছিল না। পূর্ব বাংলার ভৌগলিক অবস্থান কিছুটা তাঁদের সহায়ক ছিল । কিন্তু ইতিহাস বলছে শেষ পর্যন্ত তাঁদের পতন হয়েছিল । 
 লক্ষণসেনের এক বংশধর সুরসেন ( সম্ভবত সূর্যসেন) পূর্ব বাংলায় আশ্রয় না নিয়ে পশ্চিমে প্রয়াগে  ( এলাহাবাদ)  চলে যান এবং সেখানে অসুস্থ হয়ে ইহজগত ছেড়ে যান। তাঁর পুত্র রূপসেন আরও উত্তর পশ্চিমে গিয়ে পাঞ্জাবে শতদ্রু নদীর তীরে রোপড় পৌঁছান। সম্ভবত তাঁর অর্থবল এবং জনবল দুইই ছিল, কারন তিনি স্থানীয় মুসলমান শাসকদের যুদ্ধে হারিয়ে সেখানে রাজত্ব  এবং একটি দূর্গ স্থাপন করেন । রাজধানীর নাম রাখেন রূপনগর । ওই জায়গার আধুনিক নাম রোপড়, রূপনগর থেকে এসেছে কিনা আমরা জানি না । 
               কিন্তু রূপসেন শান্তিতে রাজত্ব করতে পারেন নি । আশেপাশের মুসলমান শাসকদের সঙ্গে তাঁর ক্রমাগত যুদ্ধ হতে থাকে এবং এক যুদ্ধে রূপসেন নিহত হন। 
                            রূপসেনের তিন পুত্র বীরসেন,  গিরিসেন এবং হামীরসেন আরও উত্তর পশ্চিমে হিমালয়ের গভীরে অপেক্ষাকৃত নিরাপদ জায়গায় চলে যান এবং কালক্রমে নিজেদের রাজত্ব স্থাপন করেন । বড়ভাই  বীরসেন সুকেতের রাজা হন । মেজ গিরিসেন কেউন্থল ও হামীরসেন কিস্তোয়ারের  ( জম্মু)  রাজা হন। এর কিছু বছর পর সুকেতের রাজবংশের এক শাখা মান্ডিতে পৃথক রাজ্য স্থাপন করে। প্রথম রাজার নাম সম্ভবত বহুসেন । 
                          আশ্চর্য ব্যাপার হল বাঙালি ঐতিহাসিকরা এ বিষয়ে বিশেষ কিছু উল্লেখ করেন নি। শুধু ডঃ রমেশচন্দ্র মজুমদার তাঁর 'বাঙ্গলা দেশের ইতিহাস,  প্রাচীন যুগ' গ্রন্থে লিখেছেন  " পঞ্জাবের অন্তর্গত সূকেত,  কেউন্থল, কিশ্তওয়ার এবং মান্ডি প্রভৃতি ক্ষুদ্র পার্বত্য রাজাদের মধ্যে একটি প্রাচীন প্রবাদ প্রচলিত আছে যে তাঁহাদের পূর্বপুরুষ গণ গৌড়ের রাজা ছিলেন । এই সকল রাজাদের সেন উপাধি হইতে কেহ কেহ অনুমান করেন যে ইঁহারা বাঙ্গলার সেন রাজাদের বংশধর"।
                       কিন্তু হিমাচলে এবং উত্তর ভারতের অন্যান্য জায়গায় এই বিশ্বাস খুবই প্রচলিত এবং বিভিন্ন রাজবংশের বংশাবলী দ্বারা সমর্থিত ।   
                   এই সব রাজবংশিয়দের সঙ্গে গৌড় থেকে যান রাজপুরোহিত,  রাজ বৈদ্য এবং অন্য ব্রাহ্মণ পন্ডিতরা। সঙ্গে নিয়ে যান সংস্কৃত ও বাংলায় লেখা প্রচুর পুঁথি । কালক্রমে এঁদের বংশধররা স্থানীয়দের সঙ্গে বিবাহসুত্রে আবদ্ধ হন এবং কয়েক পুরুষের মধ্যে বাংলা ভুলে যান। এঁদের বংশধরদের এখনও গৌড় ব্রাহ্মণ বলা হয়। এঁদের অনেকের পরিবারে প্রাচীন জরাজীর্ণ বাংলা পুঁথি পাওয়া গেছে । বাংলা পুঁথি পাওয়া গেছে রাজ পরিবারের ব্যক্তিগত সংগ্রহেও। 
প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যায়  এই হিমাচলি রাজারা সবাই নিজেদের চন্দ্রবংশীয় রাজপুত বলে থাকেন। গৌড়বঙ্গের সেন রাজাদের ইতিহাসে আছে চন্দ্রবংশীয় ক্ষত্রিয় বীরসেন তাঁদের পূর্বপুরুষ ।
                                 L H Griffin এর Rajahs of Panjab (1873 London) গ্রন্থে এবং উত্তর ভারতের অনেক ঐতিহাসিকদের লেখায় এই রাজবংশগুলির পূর্বপুরুষরা যে বাংলা থেকে এসেছেন তার সমর্থন পাওয়া যায় । গৌড়বঙ্গের সঙ্গে উত্তর ভারতের যোগাযোগ খুব হয়তো আকস্মিক নয়। কাশ্মীরের রাজা জয়াপীড়ের এক রানি ছিলেন  গৌড়ের রাজকন্যা। ললিতাদিত্য মুক্তাপীড়ও এসেছেন বাংলায়, অন্যায়ভাবে হত্যা করেছেন রাজাকে, যার প্রতিশোধ নিতে মুষ্টিমেয় রাজভক্ত সৈন্য কাশ্মীর গিয়ে ধ্বংস করেছে রাজার প্রিয় দেবমন্দির , প্রাণ দিয়েছে বীরের মত যুদ্ধ করে। তাদের প্রশংসায় কল্হন পঞ্চমুখ। 
                          
সেন বংশীয় রাজাদের পূর্বপুরুষরা ঠিক কোন সময় বাংলায় এসেছিলেন সে বিষয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতৈক্য নেই । তবে তাঁরা যে দক্ষিণ ভারতীয় ছিলেন সে ব্যাপারে বেশীরভাগ পন্ডিত একমত ।  রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন ... "  সমস্ত খোদিতলিপিতেই দেখিতে পাওয়া যায় যে, তাঁহারা চন্দ্র-বংশীয় কর্নাটদেশ বাসী ক্ষত্রিয় ছিলেন" 
 তাঁরা কি ভাবে বাংলায় এসে পৌঁছালেন সে বিষয়েও নানা মুনির নানা মত । অনেক ঐতিহাসিক মনে করেন, পালবংশের রাজত্বের শেষ দিকে চালুক্য (পঃ)  রাজকুমার ষষ্ঠ বিক্রমাদিত্য যখন বাংলা এবং কামরূপ আক্রমণ করেন তখন তাঁর সেনাবাহিনীর একজন সেনানায়ক হিসেবে সামন্তসেন আসেন এবং রাঢ় অঞ্চলে বসবাস করতে থাকেন। আবার কেউ মনে করেন এই কর্নাট ক্ষত্রিয়রা রাজেন্দ্র চোলের সেনাবাহিনীর সঙ্গে এসেছিলেন । তবে এঁরা যে দক্ষিণ ভারতীয় ছিলেন তাতে সন্দেহ নেই। বল্লাল সেনের সঙ্গে চালুক্য ( পঃ) রাজকন্যা রামাদেবীর বিয়ে হয়েছিল । মিথিলার রাজা নানাদেব বা নান্যদেবও  কর্নাটক ক্ষত্রিয় ছিলেন। 
  উত্তর ভারতের সেন রাজাদের যে সমস্ত 'ইতিহাস' পাওয়া যায় সেখানে কিন্তু এই দাক্ষিণাত্য connection এর কোন উল্লেখ নেই।  সেখানে লেখা ' প্রাচীনকালে ইন্দ্রপ্রস্থে ক্ষেমরাজ নামে এক রাজা ছিলেন।
  মন্ত্রী বীষর্প’র   বিশ্বাসঘাতকতার কারনে তিনি রাজ্য ছাড়তে বাধ্য হন এবং সপরিবারে বাংলায় চলে আসেন। তাঁর তের জন বংশধর ৩৫০ বছর বাংলায় থাকার পর পাঞ্জাবে পালিয়ে আসতে বাধ্য হন' (Brief history of Mandi district , 2006)...এর পরের ঘটনা আমি আগে লিখেছি। 
  কেউন্থল রাজ্যের ইতিহাসেও লিখছে '"founded by Girisen, younger brother of Vira Sen, founder of Suket in 765 AD' ( www.indiarajputs.com) । গোল বাঁধছে এখানেও । 765 খৃষ্টাব্দ তো সেন বংশের অনেক আগে। 
আরেকটি সুত্রে একই কথা লিখছে " Suket and Mandi kingdoms were established in 765 AD" 
              অবশ্য এই ধরনের তথ্যসূত্র ঐতিহাসিক গবেষণার জন্য কতদূর নির্ভরযোগ্য তাতে সন্দেহ আছে। প্রাচীনত্ব ও মাহাত্ম্য আরোপ করার জন্য অতিকথন সারা পৃথিবীতে দেখা যায়। ইরানের শেষ সম্রাট রেজা শাহ্ রাজবংশীয় না হয়েও নিজেকে ২৫০০ বছরের প্রাচীন রাজবংশের উত্তরাধিকারী ঘোষণা করেছিলেন। ভারতেও বেশীরভাগ রাজবংশ নিজেদের সূর্যবংশী বা চন্দ্রবংশী বলে দাবি করে, নিজেদের পৌরানিক / দৈব উৎস প্রমাণ করতে ।
                                      তাহলে প্রয়াগে  সুরসেন ( রূপসেনের পিতা) গিয়েছিলেন কোন সময়ে ? লক্ষণসেনের বারানসী ও প্রয়াগ জয়ের সময় হতে পারে শাসনকার্য্য চালানোর জন্য সুরসেন ( বা সূর্যসেন) প্রয়াগে থেকে গিয়েছিলেন। তাহলে সুরসেন ১২০০ খৃষ্টাব্দের আগেই প্রয়াগে আসেন ।  তাঁরই বংশের বীরসেন , গিরিসেন ও হামীরসেন পরে উত্তর ভারতে ছোট ছোট রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। 

 শ্রী মধুসূদন মুখোপাধ্যায় অবশ্য অন্য একটি সম্ভাবনার কথা লিখেছেন সেনযুগের কিছু তাম্রশাসনের ভিত্তিতে । সূর্যসেন সম্ভবত লক্ষনসেনের নাতি। লক্ষনসেনের পূর্ব বাংলায় মৃত্যুর  ( আনু : ১২০৬ খৃ) পর রাজা হন পুত্র  বিশ্বরূপসেন । তাঁর পুত্র সূর্যসেন পিতার অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে সিংহাসন দখল করার চেষ্টা করায় নির্বাসিত হন। ইনি সম্ভবত প্রয়াগে চলে যান । সেক্ষেত্রে সূর্যসেন ও সুরসেন অভিন্ন ব্যক্তি । উত্তর ভারতের উচ্চারণে সূর্য -সূরিয়- সুর হওয়া খুবই সম্ভব । সেক্ষেত্রে তাঁর প্রয়াগে যাবার সময় আনুমানিক ১২১৫-১২২৫ খৃষ্টাব্দ। 
 যাইহোক, এক সময়ে যে বাংলার সেনবংশ উত্তর ভারতে ছড়িয়ে পড়েছিল তার প্রমাণ আছে। আশা করব এ বিষয়ে গবেষণা হবে এবং আরও অনেক তথ্য জানা যাবে। 

একই রকম  লোককথা / ইতিহাস পাওয়া যায় নেপাল তরাই অঞ্চলে।  সোজাসুজি ইতিহাস লিখতে দ্বিধা বোধ করছি কারণ অনেক খুঁজেও গবেষণা ভিত্তিক বিশেষ কোন লেখা আমার হাতে আসে নি। নেপালে যাঁরা এই বিষয়ে খোঁজখবর করেছেন এবং লিখেছেন তাঁরা অনেকটা স্থানীয় জনজাতির প্রচলিত লোককাহিনীর ওপর ভরসা করেছেন। তবে নেপালি ইতিহাসবিদদের বিশ্বাস দক্ষিণ  পূর্ব নেপালের তরাই অঞ্চলে ত্রয়োদশ থেকে অষ্টাদশ শতাব্দী পর্যন্ত যে সেন বংশীয় রাজারা রাজত্ব করেছেন তাঁরা এসেছেন বাংলা থেকে এবং  সেন বংশেরই শাখা প্রশাখা। একটা আশ্চর্য মিল পাচ্ছি সেন বংশের উত্তর ভারতীয় শাখা আর নেপালের শাখাটির মধ্যে। দক্ষিণ পূর্ব নেপালের যে জায়গায় প্রথম সেন বংশীয় মুকুন্দ সেন এসে বসবাস শুরু করেন তার নামও রূপনগর। এই মুকুন্দ সেন কি ভাবে লক্ষণসেনের বংশধর সে সুত্রটি খুঁজে পাই নি। কিন্তু স্থানীয় ঐতিহাসিকদের মত তাঁরা উত্তরবঙ্গের দিক দিয়ে নেপালে আসেন। ভৌগলিক নৈকট্য দেখলে সেটা সম্ভব মনে হয়। রুপনগর বর্তমানে নেপালের সাগরমাথা অঞ্চলের সপ্তারি জেলার একটি ছোট গ্রাম। এখান থেকে সেন রাজারা রাজত্ব বাড়াতে থাকেন এবং এক বিস্তীর্ণ অঞ্চল তাদের অধীনে আসে। পরে তাঁরা মাকোয়ানপুর অঞ্চলে তাদের রাজধানী স্থাপন করেন। উত্তর বিহারের মধুবনী পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল তাঁদের রাজপাট। এখনকার  মাকোয়ানপুরের কাছে কনকপত্তি গ্রামে এবং চন্দ্রভোগা ( চন্দ্রভাগা নয়) জঙ্গলের মধ্যে সেন রাজাদের প্রাসাদ ও মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ আছে, সম্পূর্ণ অসংরক্ষিত অবস্থায়। ধীরে ধীরে সবই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বা চুরি হয়ে যাচ্ছে।  ১৯৯৭ সালে প্রবল বৃষ্টির পর মাটি ধুয়ে যাওয়ায় ঐ জায়গায় একটি কারুকার্য করা ইঁটের একটি প্রাচীরের অংশ দৃশ্যমান হয়। অংশটি প্রায় ৩২ ফুট দীর্ঘ এবং ১০ ফুট উঁচু।   ২০০৫ সালে ঐ অঞ্চলে কিছু প্রত্নতাত্ত্বিক উৎখনন হয় যাতে মাটির বাসনপত্রের টুকরো, পোড়ামাটির পশুমূর্তি,  পোড়ামাটির নারায়ন মূর্তির মাথা ইত্যাদি পাওয়া যায়।   

মাকোয়ানপুরে একটি সিংহবাহিনী ভগবতী মূর্তি এখনও পুজো হয় এবং ছাগবলি হয়। মূর্তিটি সেন রাজাদের সময়ের বলে অনুমান করা হয়। চন্দ্রভোগা জঙ্গলের মধ্যে এক ধ্বংসাবশেষকে স্থানীয় মানুষরা বলে ‘চন্দ্রভোগা গড়হি’ অর্থাৎ দূর্গ।  কিংবদন্তি অনুযায়ী রাজা চন্দ্র সেন এই দূর্গ তৈরি করেন।  
মুকুন্দ সেনের পর রাজাদের নাম খুঁজে পেলাম না ।  সপ্তদশ শতাব্দীর শেষে সম্ভবত সেন রাজ্য দু ভাগে ভাগ হয়ে যায়।  এক অংশের রাজধানী থেকে যায় মাকোয়ানপুর,  অপর অংশ রাজধানী স্থাপন করে বিজয়পুরে। এই সময়  থেকে যাদের নাম পাওয়া যাচ্ছে তাঁরা হলেন মানিক সেন, মহিপতি সেন, বিশ্বান্তর সেন (১৭৫১ -৫৬), কামদত্ত সেন (১৭৫৬-৬৯), রঘুনাথ সেন। এঁরা সবাই মাকোয়ানপুর থেকে রাজত্ব করতেন। অপর দিকে হেমকর্ণ সেন, জগত সেন (১৭৩০), চতুর্থ মুকুন্দ সেন (১৭৫৩), বিক্রম সেন এবং শেষ রাজা কর্ণ সেন বিজয়পুর থেকে রাজত্ব চালাতেন।  এই সময় রাজা পৃথ্বী নারায়ন শাহ্ ধীরে ধীরে নেপালের ছোট ছোট রাজ্যগুলিকে জয় করে এক সংগঠিত নেপাল রাজ্য গঠন করেন। তাঁর গোর্খালি সৈন্যদের আক্রমণ প্রতিহত না করতে পেরে রাজা কর্ণ সেন, মন্ত্রী বুদ্ধিকর্ণ রাইএর সঙ্গে ১৭৭৪ সালের জুলাই মাসে প্রথমে সিকিম ও পরে কলকাতা পলায়ন করেন।
তথ্য সুত্র:
* Ancientindia.co.in
* History of Gaur Rajputs
* Sens of Himachal Pradesh
* পশ্চিম হিমালয়ে সেন-রাজবংশ । মধুসুদন মুখোপাধ্যায়  ( দেশ ১৪০১)
 * রাজতরঙ্গিনী । কল্হন 
  *Himachal Guru  
  * বাঙালার ইতিহাস । রাখাল দাস বন্দ্যোপাধ্যায়
  * নেপালকো সংক্ষিপ্ত বৃত্তান্ত  । বাবুরাম আচার্য  
  * The Sena Dynasty ; From Bengal to Nepal,  by Basudevlal Das 
 শ্যামল ঘোষ

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted