এ বছর বাংলাদেশের মেডিক্যাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় কৃতকার্য হওয়াদের মধ্যে ৫৪ শতাংশই ছাত্রী! মানে এ বছর মেয়েরা ডাক্তার হতে যাচ্ছে ছেলেদের চাইতে বেশি। এটাকে কি বাংলাদেশের নারী অগ্রগতি বলা যাবে? প্রথম আলোতে একটা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে যেখানে উচ্ছ্বাসিত হয়ে বেগম রোকেয়ার নারী শিক্ষা আন্দোলনের হাত ধরে আজকের এই ফলাফল সমাজকে আলোকিত করবে বলে আশাবাদ করা হয়েছে। আমার লেখার সঙ্গের ছবি দুটি কিছুদিন আগে এক বন্ধু ইনবক্সে দিয়েছিলেন।
এই ভবিষ্যতের ডাক্তার নারীদের দেখে কি আমাদের কাছে মনে হয় তারা সমাজকে আলোকিত করতে পারবে? সমাজে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার অধ্যাপকদের সংখ্যা বেড়ে গেলেই কি সে সমাজ আলোকিত? ইরানের পরামানু বিজ্ঞানীরা কি আলোকিত মানুষ? একজন হিজাব পড়া ইসলামিক নারী শিক্ষিত হয়ে বিসিএস দিয়ে ডিসি এসপি হলেই কি সেটা সমাজকে প্রগতিশীল করে তোলে? তোলে না। ইরানের মত ইসলামিক শাসনের দেশ নারীদের হিজাব পরে খেলতে দেয় বলে কি ইরান নারী স্বাধীনতার দেশ? টেলিভিশনে মহিলা ইসলামিক স্কলাররা এসে যখন পুরুষদের চারটি বিয়ের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে, জিহাদের সময় যৌনদাসী যে কতখানি আধুনিক কনসেপ্ট- এসব এসে যখন তারা বলে তখন তাদের টেলিভিশনে এসে কথা বলার স্বাধীনতা, কিংবা সেই অনুষ্ঠানের নারী প্রডিউসার হলেই বা কি? কিছুদিন আগে দুজন পর্দানশীন ইসলামিক নারী ক্যামেরার সামনে ইসলামিক সওয়াল জবাবে বলছিলো হিন্দুদের সালামের জবাবে মুসলমানদের ইসলামিক নির্দেশনা হচ্ছে তাদের উপর গজব বর্ষিত হওয়ার দোয়া করা! এরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেটধারী শিক্ষিত। রোকেয়ার নারী শিক্ষা আন্দোলনের হাত ধরেই আজকের যুগের লিঙ্গ বৈষম্যহীন শিক্ষার সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু তাতে কি তারা সমাজকে আলোকিত করে তুলছে?
এই ভবিষ্যতের ডাক্তার নারীদের দেখে কি আমাদের কাছে মনে হয় তারা সমাজকে আলোকিত করতে পারবে? সমাজে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার অধ্যাপকদের সংখ্যা বেড়ে গেলেই কি সে সমাজ আলোকিত? ইরানের পরামানু বিজ্ঞানীরা কি আলোকিত মানুষ? একজন হিজাব পড়া ইসলামিক নারী শিক্ষিত হয়ে বিসিএস দিয়ে ডিসি এসপি হলেই কি সেটা সমাজকে প্রগতিশীল করে তোলে? তোলে না। ইরানের মত ইসলামিক শাসনের দেশ নারীদের হিজাব পরে খেলতে দেয় বলে কি ইরান নারী স্বাধীনতার দেশ? টেলিভিশনে মহিলা ইসলামিক স্কলাররা এসে যখন পুরুষদের চারটি বিয়ের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে, জিহাদের সময় যৌনদাসী যে কতখানি আধুনিক কনসেপ্ট- এসব এসে যখন তারা বলে তখন তাদের টেলিভিশনে এসে কথা বলার স্বাধীনতা, কিংবা সেই অনুষ্ঠানের নারী প্রডিউসার হলেই বা কি? কিছুদিন আগে দুজন পর্দানশীন ইসলামিক নারী ক্যামেরার সামনে ইসলামিক সওয়াল জবাবে বলছিলো হিন্দুদের সালামের জবাবে মুসলমানদের ইসলামিক নির্দেশনা হচ্ছে তাদের উপর গজব বর্ষিত হওয়ার দোয়া করা! এরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেটধারী শিক্ষিত। রোকেয়ার নারী শিক্ষা আন্দোলনের হাত ধরেই আজকের যুগের লিঙ্গ বৈষম্যহীন শিক্ষার সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু তাতে কি তারা সমাজকে আলোকিত করে তুলছে?
‘মুসলিম ডাক্তার’ বলে যে দুনিয়াতে বিশেষ কিছু আছে সেটি মুসলমানরা না থাকলে বিশ্ববাসী জানতেই পারত না! "মুসলিম ডাক্তারদের" ছবিটি দেখে এখন কারো সাম্প্রদায়িক মুসলিমবাদ মনে হয় না? হিন্দুত্ববাদের উত্থানে যাদের রাতে ঘুম হয় না তারা এই ‘মুসলিম ডাক্তার’ দেখে কি ফ্যাসিবাদের শব্দ পান না? এইসব মেডিক্যাল ছাত্রী ও এইসব "মুসলিম ডাক্তার" সমাজকে আলোকিত করবেন না, বরং কুশিক্ষিত মা একজন করে কুশিক্ষিত সন্তানই জন্ম দিবে।
#সুষুপ্ত_পাঠক
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................