অযোধ্যা অভিমুখী লংমার্চে বিএনপি সরকারের গুলিতে পত্রিকার ভাষ্যমতে ৫ জন মারা যায়

ছবিটি ১৯৯৩ সালের ৫ জানুয়ারির। 

বি এন পি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তখন প্রধানমন্ত্রী। মামুনুল হকের পিতা আজিজুল হকের নেতৃত্বে অযোধ্যা অভিমুখী লংমার্চে বিএনপি সরকারের গুলিতে পত্রিকার ভাষ্যমতে ৫ জন মারা যায়, শতশত আহত হয়। ঐসময়ের কয়েকদিনের পত্রিকা ঘেটে দখেছি কোন বিএনপি অফিসে হামলা হয় নাই, জিয়াউর রহমান অথবা খালেদা জিয়ার ছবি ভাংচুর হয় নাই।
সেদিন  যখন গুলি হয় তখন প্রধানমন্ত্রী  বেগম খালেদা জিয়া যাত্রা শিল্পীদের অনুষ্ঠান করেছেন, সেটা নিয়েও মওলানা সাহেবদের বিএনপির প্রতি কোন ক্ষোভ ছিলনা। আমরা কোন মানুষের মৃত্যুই কামনা করিনা। মামুনুল গংদের উন্মাদনায় সরকারি  অফিসে আক্রমণ হলো, পুলিশ ফাঁরি ভষ্মিভুত হলো তখন আত্মরক্ষার তাগিদে পুলিশের গুলিতে দুঃখজনক ভাবে কয়েকজনের মৃত্যু হয়। হেফাজতের সাথে বিক্ষোভে সামিল হয় বিএনপি। একসময় যারা আজিজুল হকের মিছিলে হত্যাকান্ড নিয়ে নির্বিকার ছিল। এবার তারা মায়াকান্না করছে। বিশৃঙ্খলাকারীদের হামলার লক্ষ্যবস্তু বঙ্গবন্ধু, ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর বাড়ি, আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের বাড়ি, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের কার্যালয়, মন্দির সহ বিভিন্ন ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক  প্রতিষ্ঠান। কিশোরগঞ্জের মত সম্প্রিতির শহরও তান্ডব থেকে বাদ যায়নি। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশের বিস্ময়কর উন্নয়ন অগ্রগতি অনেকের সহ্য হচ্ছে না। বঙ্গবন্ধু কন্যার অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন দর্শনে দেশ এগিয়ে যাচ্ছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ঐক্যবদ্ধ শক্তির কাছে দেশবিরোধী বিচ্ছিন্ন গোষ্ঠী পরাস্ত হতে বাধ্য। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে, দূরে রাখতে হবে 'সতর্ক শয়তানদের'।

তথ্য ও ছবি ক্রেডিট #TURZO_VAI

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted