হেফাজতিদের বাবাদের ধর্মীয় অনুভুতিতে নাকি সুড়সুড়ি লেগেছে,

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব এরা মানবে কেন? এরা তো স্বাধীনতার পক্ষের লোক নয়। এদের বাপ-দাদাও স্বাধীনতার পক্ষের লোক ছিল না। স্বাধীনতার বিরুদ্ধে তারা একাত্তরে অস্ত্র হাতে নিয়েছিল।  তারা  তো সেই লোক, যারা শত্রুসেনাকে সহযোগিতা করেছে,বাংলার লাখো মানুষকে খুন করেছে, মেয়েদের নির্বিচারে ধর্ষণ করেছে। তারা  তো সেই বর্বর  দেশদ্রোহী গোষ্ঠী। তারা  বাংলাদেশের   লাল সবুজ পতাকাকে অপমান করতো।  আজ এরাও সেই পতাকাকে অপমান করছে।   পতাকা হাতে নিয়ে দেশ জুড়ে সন্ত্রাস করছে।   স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে স্বাধীনতাকেই পায়ে মাড়িয়ে যাচ্ছে।   যেখানে    যত   স্বাধীনতার প্রতীক পেয়েছে, সবকিছুতে   আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। পুড়িয়ে দিয়েছে জাতির পিতার ছবি। জ্ঞানের আলো ছড়ায় যে পাঠাগার, সেই পাঠাগারে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলেছে।  সভ্যতাকে  পুড়িয়ে দিয়েছে, এরা এভাবেই   পুড়িয়ে দেবে  বাংলার  সব গৌরব। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষ মাত্র। 

ভারতের মুসলিমদের প্রতি সহানুভূতিও উপলক্ষ মাত্র। আজ ভারতের ষোলো কোটি মুসলমানের কাউকে  যদি সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশ বা পাকিস্তানে বাস করতে বলা হয়, সে কি রাজি হবে? কেউই কিন্তু  রাজি হবে না। বাস্তবতা হলো, বাংলাদেশ থেকে হিন্দুরা শুধু নয়, প্রচুর মুসলমানও বর্ডার পেরিয়ে রাতের অন্ধকারে চলে যায়  ভারতে। বাস্তবতা হলো, মুসলিম রাষ্ট্রেও, একশ’ ভাগ মুসলমানের দেশেও,   মুসলমানের নিরাপত্তা নেই। সে কারণে ইউরোপ-আমেরিকার অমুসলিম রাষ্ট্রগুলোয় পাকাপাকিভাবে বাস করার স্বপ্ন  সারা বিশ্বের মুসলমানের।  

নরেন্দ্র মোদী সাম্প্রদায়িক। কিন্তু যারা মোদীর বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছে তারা কি অসাম্প্রদায়িক? সকলেই জানে তারা চরম সাম্প্রদায়িক। এই চরম সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী   মুসলমানের দুঃখে কাঁদে বটে, তবে সব মুসলমানের দুঃখে কাঁদে না। ইয়েমেনের মুসলমানদের যে সৌদি আরবের সরকার হত্যা করছে, সৌদি আরবের বিরুদ্ধে কোনও আস্ফালন তো দেখি না!  চীনের সরকার যে উইঘুরের মুসলমানদের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে, কোনও চীনবিরোধী মিছিল তো দেখি না। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান যে কুর্দী মুসলমানদের মারছে,  এরদোয়ান বিরোধী আন্দোলন কোথায়?    তাহলে এই ক্রন্দনটা সত্যিকারের ক্রন্দন নয়। এই ক্রন্দন নিতান্তই রাজনৈতিক। ব্যক্তি নরেন্দ্র মোদী  যে আদর্শেই বিশ্বাস করুন না কেন, তিনি একজন নির্বাচিত গণপ্রতিনিধি। তিনি  বাংলাদেশে ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এসেছেন, যে ভারতবর্ষের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক রাখা যত না ভারতবর্ষের   প্রয়োজন, তার চেয়ে বেশি প্রয়োজন বাংলাদেশের। 

মগজধোলাই হওয়া মাদ্রাসার মূর্খ লোকেরা যে দেশে একদিন আগুন জ্বালাবে; গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা,বাকস্বাধীনতা, শিল্প-সংস্কৃতির যৎসামান্য যেটুকু  পড়ে আছে, তা যে একদিন  পুড়িয়ে ছাই করে দেবে, তা তো আমরা আগেই জানতাম। এত বড় রাজনীতিবিদ হয়ে শেখ হাসিনা কেন জানতেন না সেটাই আশ্চর্যের। তিনি যখন মাদ্রাসার আমীর  আহমদ শফিকে আলিঙ্গন   করলেন, তাঁর দানে দক্ষিণায়, আদরে আহ্লাদে মাদ্রাসাগুলো যে ফুলে ফেঁপে স্বাধীনতাবিরোধী সন্ত্রাসীদের  কারখানা হয়ে উঠবে,   তা তো আমরা সাধারণ মানুষেরা জানতাম।  এত বড় রাজনীতিবিদ হয়ে শেখ হাসিনা কেন জানতেন না সেটাই আশ্চর্যের। তিনি যখন   সিলেবাসের খৎনা করলেন, মদিনা সনদে দেশ পরিচালনার প্রতিশ্রুতি দিলেন, যখন মাদ্রাসার ডিগ্রিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রির সমমানের করে দিলেন, যখন তিনি ‘কওমী মাতা’র  সম্মান অর্জন করলেন, তখন তো আমরা জানিই দেশের ধর্মনিরপেক্ষতাকে আনুষ্ঠানিকভাবে  জবাই করা হয়ে গেল, তখন তো জানিই ধর্মান্ধ অপশক্তির হাতে ক্ষমতার মসনদে ওঠার সিঁড়ি দেওয়া হয়ে গেল।  এরাই যে একদিন এদের কওমী মাতার বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে নেবে, জানতাম।   এত বড় রাজনীতিবিদ হয়ে শেখ হাসিনা কেন জানতেন না সেটাই আশ্চর্যের।  মুশকিল হলো, এক মুজিবরের    থেকে লক্ষ মুজিব জন্ম না নিলেও, এক   সন্ত্রাসী থেকে লক্ষ   সন্ত্রাসী জন্ম নেয়। গুলিতে এরা মরবে না, বরং শহীদ হয়ে জান্নাতে যাওয়ার লোভে বন্দুকের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়াবে। এরা মগজে হিংসে বিদ্বেষ ঘৃণা পুরে দেওয়া রোবটের মতো, এরা মাদ্রাসা নামক কারখানায় তৈরি হওয়া   রোবট। এখনও সময় আছে এদের মানুষ হতে সাহায্য করুন। এখনও মাদ্রাসা নামক কারখানা বন্ধ করে মানবতা সহিষ্ণুতা উদারতার পাঠশালা খুলুন।

দেশ জুড়ে হেফাজতিদের সন্ত্রাস দেখে মনে পড়ছে ১৯৯৩/১৯৯৪ সালে হেফাজতিদের বাবারা কী করে সন্ত্রাস করেছিল, সেসব কথা। ফতোয়া জারি হয়েছিল আমার বিরুদ্ধে, মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল। এর আগে দেশের কোনও লেখকের মাথার দাম ঘোষণা হয়নি। পরিস্থিতি  ছিল বিষম আশংকাজনক। ওদিকে তো আমাকে ফাঁসি দেওয়ার দাবি জানিয়ে মিছিল চলছেই, মিছিল দিন দিন দীর্ঘ হচ্ছে। ২৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার, ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ, ১ লাখ থেকে ৩ লাখ লোক 'ফাঁসি চাই, দিতে হবে' বলে প্রতিদিন চেঁচিয়েই যাচ্ছে। সরকারের ওপর ভরসা করতে পারছে না, তখন আমাকে যে করেই হোক হাতের কাছে পেতে চাইছে তারা, নিজেরাই আমাকে ফাঁসিতে ঝোলাবে। হরতাল ডাকছে, বাস ট্রাক ভেঙে চুরে সর্বনাশ করছে। ভয়ংকর তাণ্ডব চালাচ্ছে। গাড়ি ঘোড়া বন্ধ,   ট্রেন চলাচল বন্ধ, দোকান পাট বন্ধ, অফিস আদালত বন্ধ, ইস্কুল কলেজ বন্ধ। গোটা দেশ তখন তাদের নিয়ন্ত্রণে।   হেফাজতিদের বাবাদের বিরুদ্ধে তখনকার সরকার কিছুই করেনি, বরং আমার বিরুদ্ধে উল্টে মামলা করলো। হেফাজতিদের বাবাদের ধর্মীয় অনুভুতিতে নাকি সুড়সুড়ি লেগেছে, সুড়সুড়ি কেন লাগলো, সেই জন্য আমার বিরুদ্ধে জারি হলো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। আজ ২৭ বছর আমাকে নির্বাসন দণ্ড দিয়ে রেখেছে খালেদা-হাসিনা সরকার। শুধু তাই নয়, হেফাজতিদের বাবাদের  জনপ্রিয়তা দেখে রাজনৈতিক দলগুলো  নিজেদের দলে টানতে লাগলো তাদের।  কে কার দলে  ফতোয়াবাজ মোল্লাদের ঢোকাবে এ নিয়ে রীতিমত কাড়াকাড়ি পড়ে গেল। বিজ্ঞ রাজনীতিকরা সেই সন্ত্রাসীদের সংসদ-সদস্য পর্যন্ত বানিয়েছিলেন। রাজনীতিকদের অন্যায়ের ফল ভোগ করবে না দেশ? এই তো ভোগ করছে। আগুন জ্বলছে দেশে। 

অপরাধীদের শাস্তি না দিয়ে নিরপরাধ এক লেখককে শাস্তি দিয়েছে দেশ। অপরাধীরা অপরাধী পয়দা করেছে। জঙ্গিতে  আজ দেশ ছেয়ে গেছে। মুশকিল হলো, রাজনীতিকরা কর্মফল ভোগ করেন না, তাঁরা আরামে আয়েশেই জীবন যাপন করেন। দেশ রসাতলে গেলে দুর্ভোগ কেবল জনগণের। ভাবছি ২৭/ ২৮ বছর আগে যখন মৌলবাদিদের উত্থান হয়েছিল, তখন যদি তাদের বোরাকের  ডানাটা কেটে দেওয়া হতো, তাহলে তারা  কল্পনার  আসমান জুড়ে এত উড়তে পারতো না। মাটির পৃথিবীতে পা রেখে চললে এত কুলাঙ্গারকেও  জন্ম দিত না।

ভুল হয়েছিল  এদের বাপ দাদার জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা ।  গত ৫০ বছরে প্রতিটি রাজনৈতিক দল ভুল করেছে  ধর্মান্ধদের দলে টেনে, ওদের রাজনীতিকের সম্মান দিয়ে।    মূর্খের সংখ্যা বেশি হলেই মূর্খের গুরুর  সামনে হাঁটু গেড়ে বসতে হয় না। মূর্খ তোমাকে শেষ অবধি বাঁচাবে না, তোমাকে এবং তোমার দেশকে বরং একদিন না একদিন পাঁকে ডুবিয়ে মারবে।   

প্রায়ই শুনি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের কোনও অর্থ নেই যদি জাতির নৈতিক উন্নয়নই  না হয়। আর সেই নৈতিক  উন্নয়নটি অর্থ করে দেয় না, সেই উন্নয়ন করে দেয় সুশিক্ষা। যদি অর্থ দিয়ে কুশিক্ষা কিনে বিতরণ করা হয়, তবে কুশিক্ষিত এবং অশিক্ষিত জনগণে দেশ উপচে পড়বে, তারা না হয় গদিতে বসে ননীটা ছানাটা খাবে। যতই খাক,  এ   দেশের সত্যিকার উন্নয়ন নয়। সত্যিকার উন্নয়ন তখনই হয় যখন সমতার সমাজ গড়ে ওঠে, যখন   সমানাধিকার পায় নারী, যখন কারও  মানবাধিকার লংঘন হয় না, যখন মানুষের মত প্রকাশের অধিকার থাকে, যখন মানুষ সত্যিকার সভ্য শিক্ষিত হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের সমাজ তো দিন দিন পেছনে  দৌড়োচ্ছে,   আধুনিকতাকে অস্বীকার করে  জীর্ণ পুরাতনকে আঁকড়ে ধরেছে। এই অর্থনৈতিক উন্নয়নের কোনও মূল্য নেই।   কিছু লোক টাকার পাহাড় গড়ে তোলে , অতঃপর  দেশত্যাগ করে। যারা দরিদ্র, তারা   দরিদ্রই থেকে যায়। এর নাম আর যা কিছুই হোক, উন্নয়ন নয়। দেশটিকে মানুষের  বাসযোগ্য করতে হবে। তা না হলে বুদ্ধিদীপ্ত জ্ঞানী গুণী মেধাবী কেউ দেশে বাস করতে চাইবে না। দেশ দিন দিন শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় চলে যাচ্ছে।   রাস্তায় লাঠি সোটা,রামদা, তলোয়ার নিয়ে দাপিয়ে বেড়িয়েছে স্বাধীনতার শত্রুরা।    সাংবাদিক, রাজনীতিক—যাকে হাতের কাছে  পেয়েছে     আহত করেছে। আজ যদি ধর্মান্ধরা রাজনীতি করতে নেমে পড়ে, তবে রাজনীতিকে তো এরা নষ্ট করবেই, ধর্মকেও নষ্ট করবে। ১৪০০ বছর আগে ধর্মই ছিল রাজনীতি, এখন নয়। এখন ধর্ম ব্যক্তিগত বিশ্বাসের ব্যাপার। রাজনীতি রাষ্ট্র পরিচালনার নিয়ম-নীতি। দুটো সম্পূর্ণ   আলাদা।  সভ্য হওয়ার প্রথম শর্ত ধর্মকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখা।  

হেফাজতি  তান্ডবের দিন  এক জি*হাদি  ঘোড়ায় চড়ে দেশ দখলের কায়দায় হাতে অস্ত্র হাতে  নিয়ে রাজপথে  চক্কর দিয়েছে। এরা কল্পনার জগতে বাস করে। এরা অতীতে বাস করে, বর্তমানে নয়। মাদ্রাসায় যদি গণতন্ত্র কাকে বলে, বাক স্বাধীনতার মূল্য কী, নারীর সমানাধিকার কেন জরুরি, কেন সন্ত্রাস নিষিদ্ধ  – এই শিক্ষা না দেওয়া হয়, তবে মাদ্রাসা থেকে চিরকাল এমন দেশদ্রোহী জি*হাদিই বেরোবে। 

শত শত শিশুর হাতে জ্ঞানপাপীরা অস্ত্র দিয়েছে।    দেশের বিরুদ্ধে  ধ্বংসাত্মক কাজ করার জন্য লেলিয়ে দিয়েছে। দেশের  ভবিষ্যত গড়ার জন্য  কী নাগরিক এরা তৈরি করছে , ভাবলে গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে। শিশুরা  মাদ্রাসার ভেতর বর্বর শিক্ষক দ্বারা বলাৎকারের শিকার হয়।   মানবিকতা, উদারতা, সহিষ্ণুতার কোনও শিক্ষা শিশুরা পায় না ।   রাস্তায় এদের কীর্তি কলাপ দেখে অনুমান করা যায়,   বর্বরতা আর  বিদ্বেষ এদের জীবনের মূল চালিকাশক্তি। একটি রুগ্ন সমাজ তৈরি হচ্ছে। একটি ভয়াবহ রুগ্ন সমাজই আজ বাংলাদেশের ভবিষ্যত। 

আজ যদি প্রতিটি সন্ত্রাসী শাস্তি না পায়,সন্ত্রাসকাণ্ডের  নেপথ্যে যে সন্ত্রাসী  গুরুরা ছিল, তাদের সবার  যদি বিচার না হয়, যদি  আগের মতো এদের  ক্ষমা করে দেওয়া হয়, অথবা সেই ১৯৯৪ সালের মতো অপরাধীকে আলিঙ্গন করে নিরপরাধকে শাস্তি দেওয়া হয়, তবে এরা এতই শক্তিমান হয়ে উঠবে যে  একদিন দেশের ক্ষমতা এরাই  ছিনিয়ে নেবে। বাংলাদেশকে আমূলে ধ্বংস করতে এটুকুই হয়তো বাকি।  তাই, যত রাজনৈতিক দল আছে, সকলে আলোচনায় বসে  দেশে সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করুন।  দেশে অরাজকতা দেখলে  অরাজনৈতিক সংগঠনও  শতগুণ অরাজকতা সৃষ্টি করতে মরিয়া হয়ে ওঠে। রাজনৈতিক অঙ্গন খালি পড়ে আছে বলেই ধর্মের কিতাব মুখস্ত করা   মাদ্রাসার শিশু কিশোররা আল্লাহর আইন কায়েম করার জন্য  এক একেকজন রাজনৈতিক নেতা হয়ে ওঠে।  এদের বাড় বেড়েছে  সরকারের প্রশ্রয়ে। এই লজ্জার কথাটি সকলেই জানে। 

আমি মাঝে মাঝে ভাবি, আজ যদি রাজনৈতিক নেতারা ডাক দেন  জনসমাবেশের, আর যদি হেফাজতিরা ডাক দেয় জনসমাবেশের, তাহলে কাদের সমাবেশে লোক বেশি হবে? আমরা সকলেই  এই প্রশ্নের  উত্তরটি  জানি, বেশি লোক হবে হেফাজতির সমাবেশে। রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য এর চেয়ে বড় লজ্জা আর কী আছে!  মুশকিল হলো, লজ্জা আমাদের মতো সাধারণ মানুষের হয়, রাজনীতিকদের লজ্জা হয় না। তাঁরা  বরাবরই বড় নির্লজ