এখন থেকে ফিফা হাফ প্যান্ট না পরিয়ে ফুলপ্যান্ট পরিয়ে ফুটবল খেলাটা বাধ্যতামূলক করুক!

এই পৃথিবীতে মুস লিম গোঁড়ামীকে উত্সাহিত করতে ও সাম্প্রদায়িক বিভেদ চর্চা করার সুযোগ দেয়ার জন্য পশ্চিমা লিবারালরাই ইতিহাসের কাছে দায়ী থাকবে। যুক্তরাজ্য খেলাধূলা জগতে ‘মুস লিম অ্যাথলিট চার্টার’ নামে একটি সংস্থা গঠিত হয়েছে যারা ইউরোপীয়ান বিভিন্ন ক্লাবে খেলা ‘মুস লিম খেলোয়াড়দের’ গোঁড়া মুস লমানিত্ব রক্ষার জন্য কাজ করবে। কি তাদের কাজ? সংস্থাটি যারা মাথা থেকে এসেছে সেই এবাদুর রহমান বিবিসি স্পোর্টকে বলেছেন, “চার্টারে সব মিলিয়ে ১০টি পয়েন্ট রয়েছে, যার মধ্যে অ্যালকোহল পরিহার এমনকি উদযাপনের সময়েও, প্রার্থনার জন্য উপযোগী স্থানের ব্যবস্থা করা, হালাল খাবার এবং রমজান মাসে রোজা রাখার অনুমতি দেয়া। আমি খেলাধুলার জগতে কাজ করার সুবাদে জানি যে এখানে আমার ধর্ম মেনে চলা কতটা কঠিন।"

এই সুখবরে একজন ‘মুস লিম খেলোয়াড় যার নাম আসাল তিনি বলেছেন, “মুসলমানদের জীবনযাপন কিছুটা ভিন্ন। দিনে পাঁচবার প্রার্থনা করার মত কিছু দায়িত্ব আপনাকে পালন করতে হয়। আর মদ পান করার মত কিছু বিষয় আছে, যা আপনি চাইলেও করতে পারেন না। এই চার্টারটি মুসলিম ফুটবলারদের জন্য বেশ সাহায্যের হবে, কারণ এটি তাদের অধিকার নিশ্চিত করবে। তারা হালাল খাবার পাবেন, ক্যান্টিনে যাওয়ার ক্ষেত্রে দু'বার ভাবতে হবে না। ভাবতে হবে না কোনটা খাবো, কোনটা খাবো না - এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ধর্ম আমাদের কাছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ, এটা আমরা যে পৃথিবীতে বাস করি তার চেয়েও বড় ব্যাপার।"

তাহলে আর কি! এখন থেকে ফিফা হাফ প্যান্ট না পরিয়ে ফুলপ্যান্ট পরিয়ে ফুটবল খেলাটা বাধ্যতামূলক করুক! কারণ হাফ প্যান্ট পরলে মুস লিমদের 'ছতর' ঢাকা হয় না। মুস লিম খেলোয়াড়দের জন্য যদি ক্যান্টিনে ‘শু কোর’ রাখা বাদ যায় বা তাদের কথিত ‘হা লাল খাবার’ ছাড়া অন্য কিছু না ঢোকে তাহলে অন্য ধর্মীয় খেলোয়াড়রা আবদার করা শুরু করলে কি ধর্মীয় একটা বিবাদ শুরু হবে না? এটা ফুটবল ক্লাব, মাদ্রাসা তো নয়! এখানে খেলতে এসেছে, ধর্ম চর্চা করতে নয়। ইস লাম ধর্ম কোন রকম খেলোধূলার চর্চাকে অনুমতি দেয় না। বিবিসি বলছে ইউরোপের বিভিন্ন ক্লাবে ২৫০ জন মুস লিম খেলোয়াড় খেলছেন। তাদের ধর্মীয় ‘সুরক্ষার’ জন্য এরকম চার্টার যদি খুলতে হয় তাহলে কর্তৃপক্ষে কি আগে খুঁজে দেখা উচিত নয়- তাদের সেই ধর্মে ফুটবল খেলাকে জায়েজ করা হয়েছে কিনা? ইউরোপ কোন যুক্তিতে কেমন করে ধর্মীয় গোঁড়ামীতে লিপ্ত হতে চাওয়া কিছু ধর্মান্ধ মুস লিমের আবদারের কাছে মাথানত করতে চায়? এখানে ঠিক কি পলিসি কাজ করে? এটা কি লিবারালদের ব্যক্তি স্বাধীনতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন থেকে? কিন্তু 'এখানে আমি খাবো না' 'এখানে শু করের মাংস রান্না হয়েছে', 'ওখানে মদের ছবি দেয়া আছে', 'এখান নামাজের সময় মাঠেই নামাজ পড়ে ফেলব'- এগুলো কি ব্যক্তি স্বাধীনতা? নাকি অন্যের খাদ্য ও সংস্কৃতিকে প্রকাশ্য অবজ্ঞা? এরকম চলতে থাকলে অচিরেই ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে খেলা চলাকালেই দেখব মাঠে নামাজে দাঁড়িয়ে গেছে কেউ কেউ! হয়ত দাবী উঠবে নামাজের সময় খেলা বন্ধ রাখতে হবে! পশ্চিমের লিবারালদের কি কোন মতলব আছে? নাকি তারা মনোবৈকল্যে ভুগছেন?

#সুষুপ্তপাঠক
#susuptopathok

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted