মডারেট মুসলমানের মানবিকতা এবং জিহাদ

মডারেট মুসলমানের মানবিকতা এবং জিহাদ 
--------------------------------------------------------------
বিশ্বের যে যে দেশ মুসলিম শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে সেই সমস্ত দেশগুলোর অভিজ্ঞতা খুব একটা সুখের না । ইসলামিস্ট আন্দোলনের আশংকা এবং ভীতি সারা বিশ্বকেই কমবেশী আক্রান্ত করেছে । ২০১৭ তে, রোহিঙ্গারা যখন ভারতে প্রবেশ করলো তখন ভারতেও হৈ চৈ পরেছিলো । 


ভারতের মাটিতে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় নেওয়াতে ভারতের মাটিতে জঙ্গী কর্মকান্ডের বৃদ্ধি পাওয়ার একটা প্রবল আশংকা আছে, এটা বিশ্ব পরিস্থিতি সম্মন্ধে ওয়াকিবহল মানুষের বুঝতে অসুবিধে হওয়ার কথা নয় । রাখাইন প্রদেশকে মিয়ানমার থেকে বিচ্ছিন্ন করে সেখানে ইসলামি রাষ্ট্র বানাতে বারবার জিহাদি হামলা চালিয়েছে মিয়ানমার রাষ্ট্র ও অসামরিক নাগরিকদের ওপর, এই রোহিঙ্গারা । মাদক পাচার-সহ নানা প্রকার অসামাজিক কাজের সাথে যুক্ত হওয়ার প্রমাণও মিলেছে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের একাংশের, তাই ভারতের আইন-শৃংখলা ও সামাজিক সংকট সৃষ্টির আশংকা উড়িয়ে দেওয়া যায়না । শরণার্থী শিবিরগুলো ভবিষ্যতে মুসলিম জঙ্গী সংগঠনগুলোর আশ্রয়দাতা কিংবা ডেরা হয়ে উঠবে না, এমন গ্যারান্টি নেই । এই ফ্যাক্টরগুলো মাথায় রেখে, ভারত সরকারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে হৈ চৈ করা কি নিতান্তই হিন্দু রাষ্ট্রের ভাবনা থেকে ? উপমহাদেশের মডারেট চুতিয়া মুসলমান অবশ্য এমনটাই প্রমানের চেষ্টায় সোশ্যাল মিডিয়াতে এতটাই সক্রিয় যে, তাদের প্রচেষ্টায় বাদ পরছেনা ফটোশপ করা নানা সংবেদনশীল ছবিও । চলুন পাঠক, এবাংলার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাপারটা একটু তলিয়ে দেখি :

গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সরকারের কোন সিদ্ধান্তে আপত্তি দেখা দিলে তা প্রত্যাহারের দাবিতে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন করে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করা যেতে পারে, কিন্তু সরকারি আদেশকে সরাসরি অমান্য করা যায় না ! অতএব, পশ্চিমবঙ্গে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে আসা ও তাদের জন্যে শিবির খোলাটা পুরোমাত্রায় একটা অসাংবিধানিক কাজ । ২০১৭,ডিসেম্বর থেকে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার বারুইপুরের হাড়দহ গ্রামে প্রথমে একটা রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির করা হয়, তারপর বারুইপুর ও জীবনতলা থানায় আরও কিছু জায়গায় কয়েকটি শিবির খোলা হয়েছে এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে । ‘সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেশারেশন’ - এর শাখা ‘দেশ বাঁচাও সামাজিক কমিটি’ এই শিবিরগুলো চালাচ্ছে । সভাপতি হোসেন গাজী বলেছে : ৪০ টারও বেশী মুসলিম সংগঠন এর পেছনে আছে যার মধ্যে একটা প্রধানতম হলো 'বিশ্বমানব কল্যাণ ইসলামিক ট্রাস্ট' । পাঠক, এবারে প্রশ্ন : রোহিঙ্গারা কি নিজেরাই পশ্চিমবঙ্গে এসে ঢুকলো ? একেবারেই না পাঠক । সংগঠিত উদ্যোগ নিয়ে তাদের নিয়ে আসা হয়েছে হরিয়ানা, দিল্লি এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন শিবির থেকে, অথচ সভাপতি হোসেন গাজীকে এবিষয়ে প্রশ্ন করলে সে একেক সময় একেক রকমের উত্তর দেয় ! ২০১৭ র জানুয়ারি মাসে ইণ্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে সে জানিয়েছিল যে, বাংলাদেশের সঙ্গে সমন্বয় রেখে তারা কাজ করছে । (http://indianexpress.com/…/kulari-south-24-parganas-eight-…/ )। সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ কামরুজ্জামানের কথা অনুযায়ী বারুইপুর থানায় মাত্র এক দেড়শ রোহিঙ্গা শরণার্থী এসেছে ! এতেই থেমে থাকেনি হোসেন গাজী, স্পষ্ট করে রোহিঙ্গাদের ভারতের নাগরিকত্ব চেয়েছে সে । (http://indianexpress.com/…/kulari-south-24-parganas-eight-…/) । মহম্মদ কামরুজ্জামান, পুলিশ প্রশাসন ও রাজ্য সরকার এমনকি এবাংলার মুখ্যমন্ত্রীকেও হুমকি দিয়ে ভিডিওতে বলেছিলো : রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সমস্ত তৎপরতা বন্ধ করতে হবে। তা না করলে তারা গোটা বাংলা স্তব্ধ করে দেবে, রাজ্য সরকারের পুলিশ যদি একজন রোহিঙ্গারও লোম স্পর্শ করে তবে মুখ্যমন্ত্রীর সরকার নিজের কবর নিজেই খুঁড়বে ! এটা কি মানবতার নামে সরকারকে চ্যালেঞ্জ, না ইসলামী প্রসারে বাধাদানের বিরুদ্ধে ফতেয়া ?

পাঠক, মুসলিম সংগঠনগুলো রোহিঙ্গাদের দাবার বোড়ে হিসেবে ব্যবহার করে পাশে দাঁড়িয়েছে তাদের ইমানি দায়িত্ব পালন করার জন্য, মানবতাটা হলো মুখোশ ! সরাসরি জিহাদে অংশ না নিয়েও জিহাদি কর্তব্য পালন করার ইসলামি বিধান, জিহাদ করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ওয়াজিব । ভারতে মুসলিম সংগঠনগুলি আড়ালে থেকে জিহাদীদের সহায়তা দেয়, তার প্রমান আমরা আগে বহুবার পেয়েছি । রোহিঙ্গা শরণার্থীদের শিবির খোলার পেছনেও এটাই মুখ্য কারণ । মুসলিম সংগঠনগুলোর দাপাদাপি এবং মুসলিম জঙ্গীদের আশ্রয় দেওয়া, মদত দেওয়া কিন্তু হিন্দুদের ক্ষুব্দ করে তুলছে আর তাই এই বাংলায় বাড়ছে বাদুরিয়া-বসিরহাটের মত ঘটনা । পাঠক, খাগড়াগড় ভুলে গেছেন নাকি ? বলুন তো এখন এবাংলায় কটা খাগড়াগড়ের হাতকাটা নাসিরুল্লাহ(জেএমবি) আছে ?

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted