নারীদের আত্মসম্মান থাকিলে বেহেশত নামক বেশ্যালয়ের বাসিন্দা হহতে চাইবেনা।

কোনো নারীর মৃত্যু সংবাদ শুনিলে ইসলাম বিশ্বাসী মানুষ যখন বলে 'আল্লাহ তাহাকে বেহেশত নসিব করুন', তখনই আমার বমি পায়। ঘেন্নায় শরীর রিরি করিয়া ওঠে। কোনো সচেতন নারী কি সজ্ঞানে যৌনপুরির বাসিন্দা হইতে চাইতে পারে? একজন পিতা কি তাহার কন্যাকে যৌনপুরিতে পাঠাইতে পারে? কোনো ব্যক্তি কি তাহার মা কে বেশ্যালয়ের বাসিন্দা হওয়ার জন্য দোয়া করিতে পারে? তাহা হইলে বলুন দেখি আপনি কোন জ্ঞানে আপনার মৃত আম্মাকে বেহেশতে পাঠানোর জন্য আল্লাহর কাছে আবেদন করেন? বেহেশত নামক যৌনপুরিতে নারীর অবস্থান কেমন হইবে তাহা কি জানেন? পুরুষরা বেহেসতে হুর আর গেলমান পাইবে! নারীরা সেখানে কি পাইবে অথবা কাহার সঙ্গিনী হইবে? নারীরা কি বেহেশতে গিয়াও পুরুষের দাসী হইবে? তাহারা কি মরণের পরেও পুরুষের মনোরঞ্জনের বস্তু হইবে? নাকি বেহেশতে গিয়া নারীরা পুরাপুরি স্বাধীন হইয়া যাইবে? সেখানে কি তাহাদের সেক্স লাইফ বলিয়া কিছুই থাকিবে না? যাহারা হিজরা, সমকামী বা উভকামী তাহারা বেহেশতে গিয়া কি পাইবে? এই বিষয়গুলা আপনার জানা থাকা দরকার কিনা? 

আমার নিচের কয়েকটি প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেন এমন কোনো আলেম, মাওলানা বা ইসলাম বিশেষজ্ঞ আছেন?

১. নারীরা কি বেহেশতে গিয়া তাহাদের স্বামীকেই যৌন সঙ্গী হিসাবে পাইবে, না পছন্দের কাউকে বাছিয়া নিতে পারিবে? নাকি তাহাদের সেখানে যৌনজীবন বলিয়া কিছুই থাকিবে না? 

২. ধরেন নারীরা বেহেশতে গিয়ে এই ইহজগতের স্বামীকেই সঙ্গি হিসাবে পাইবে। একজন নেককার নারীর স্বামী খারাপ হইলে সেই স্বামীরতো বেহেশতে যাওয়ার কথা নয়। তাহা হহলে ঐ নেককার নারী বেহেশতে গিয়া কাহাকে পাইবে? সেই নারী কি সেখানে সেক্স না করিয়াই থাকিবে? নাকি তাহাকে অন্য কোনো পুরুষ দেওয়া হহবে সেক্স করার জন্য? 

৩. একজন নারী তাহার বর্তমান স্বামীকে ভালবাসেনা। কারণ তাহার স্বামী তাহার উপর খুব অত্যাচার করে। স্বামীকে ঘৃণা করিলেও বাবা, মায়ের চাপে এবং সামাজিক কারণে তাহার সঙ্গেই সে বসবাস করিতেছে। মারা যাওয়ার পর বেহেশতে গিয়া তাহাকে কি ঐ নির্যাতনকারী অপছন্দের স্বামীর সাঙ্গেই থাকিতে হইতে হবে? ইহার নাম কি সুখের বেহেশত? 

৪. পুরুষ মানুষ তার অবস্থান অনুযায়ী সুন্দরী, সুশিক্ষিতা, সংস্কৃতিবান, দক্ষ এবং প্রেমিক নারী কামনা করে। নারীরাও সুন্দর, স্মার্ট, সুশিক্ষিত, মর্যাদাপূর্ণ প্রেমিক পুরুষকে স্বামী হিসাবে পাইতে চায়? কোনো নারীর স্বামী কুৎসিত, মুর্খ এবং অসামাজিক হইলে বেহেশতে যাওয়ার পর সে কি একজন ভাল স্বামী পাওয়ার অধিকার রাখেনা? 

৫. পচার বাপের প্রতি সখিনার মহব্বত আছে। সুখে দু:খে তাহারা একে অপরের সঙ্গি। তবে বিয়ার আগে সখিনার ইচ্ছা ছিল জমিরকে বিয়া করিবে। বাবায় রাজী হয় নাই তাই সে মানিয়া নিয়েছে। কিন্তু জমিরের উপর মনের টান যায় নাই। জমির এখন অনেক টাকা পয়সার মালিক এবং সমাজে তাহার অনেক নামডাক।সখিনা জমিরকে দেখে আর মনে মনে কষ্ট পায়। কিন্তু ফেরিওয়ালা পচার বাপকে ছাড়িতে পারেনা। পচার বাপের উপর তাহার অনেক টান। কিন্তু জমিরকে দেখিলে তাহার মনে হয় তাহার নিজের জিবনটাও এমন হইতে পারিত। সখিনা মারা যাওয়ার পরে সঙ্গি হিসাবে পচার বাপকে পাইবে নাকি জমিরকে পাবে? 

৬. মৃত্যুর পর ইহজগতের কুৎসিত মানুষগুলাকে কি রাখা হইবে না? তাহাদের চেহারা কি বদল করিয়া দেওয়া হইবে এবং সবাইকে অতি সুন্দর ও স্মার্ট করিয়া দেওয়া হবে? এই দুনিয়াতে যাহাদের চেহারা অতীব সুন্দর এবং দেখতে ফিল্মের নায়কের মত, বেহেশতে যাওয়ার পর শুধুমাত্র তাহারাই অরিজিনাল থাকিবে এবং কুৎসিত এবং দুর্বল পুরুষগুলাকে বদল করিয়া দেওয়া হইবে? নারীদের আকাঙ্খা অনুযায়ী পুরুষদের রুপবান করিয়া দেওয়া হইবে? 

৭. ইহজগতে যে নারীর তালাক হইয়া গিয়াছে এবং ভাগ্যের ফেরে দুই অথবা তিনবার তিনজন পুরুষের সহিত শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ হইয়াছে, সেই নারী নেককার হইলে বেহেশতে যাওয়ার পর কত নাম্বার পুরুষটাকে পাইবে? 

৮. বিধবাদের বিবাহে শরিয়তে কোনো বাধা নাই। নেককার বিধবারা মৃত্যুর পর কোন স্বামীকে বেহেশতের সঙ্গি হিসাবে পাইবে? 

৯. ইসলামে দাসীদের সঙ্গে সহবাস করিতে কোনো বাধা নাই। মোহাম্মদ এবং তাহার সাহাবীরা দাসীদের সহিত সেক্স করিতেন। মৃত্যুর পর দাসীরা কাহাকে সঙ্গি হিসাবে পাইবে? তাহাদের এইকালের স্বামীদেরকে বেহেশতে গিয়া সঙ্গি হিসাবে পাইবে নাকি তাহাদের মনিবদেরকে- যাহাদের সঙ্গে তাহারা ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় সেক্স করিতে বাধ্য হইয়াছিল। 

১০. সে সকল দাসীর বিবাহ করার সৌভাগ্য হয়নাই তাহারা বেহেশতে গিয়াও কি তাহাদের মনিবদের সেবায় নিয়োজিত হইবে? তাহারা কি বেহেশতে গিয়াও মুক্ত জীবন পাইবে না? 

১১. যে সকল মেয়ে যৌনস্বাদ লাভ করিবার আগে শিশু অথবা কুমারী অবস্থায় মারা যায় তাহারা কি বেহেশতে গিয়াও যৌনসুখ হইতে বঞ্চিত হবে? নাকি তাহারা বেহেশতে গিয়া কোনো পুরুষের অধিন হইয়া যাবে? কে সেই পুরুষ? 

১৩. বেহেশতে হিজড়াদের কি গতি হইবে? তাহারা কি যৌনসুখ আস্বাদন করিতে পারিবে না? 

নারীদের আত্মসম্মান থাকিলে বেহেশত নামক বেশ্যালয়ের বাসিন্দা হহতে চাইবেনা। কোনো সভ্য পুরুষ মানুষও হুরপুরীর বাসিন্দা হইতে চাইবেনা। বেশ্যালয়ে বাস করা প্রেমহীন, মুর্খ ও নিম্নরুচীর মানুষের কামনা হইতে পারে। নারীদের উচিত বেহেশতকে ঘেন্না করা এবং বেহেশত বয়কটের জন্য আন্দোলন করা।

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted