"পারলে কুরআন থেকে মূর্তি ভাস্কর্য ভেঙ্গে ফেলার দলিল দেখান" বলে এক শ্রেণীর লিবারাল সেক্যুলার মুসলমান যেমন ভাঁওতাবাজী করে তেমনি বেকায়দায় পড়লে জঙ্গি মুমিনও কুরআন থেকে দেখানোর কথা বলে হাদিসকে এড়াতে চায়। অর্থ্যাৎ এরা জানে কুরআনে সব বলা নেই।
কুরআনের আয়াতের অর্থ বুঝতে তাফসির ও হাদিস প্রয়োজন। কুরআনের সাড়ে চারশো জিহাদের আয়াতের প্রতিটির পিছনে প্রেক্ষাপট আছে। কিন্তু কুরআনে কোন চরিত্রের নাম বলা নেই। মুসলমানরা রোজ ধর্মীয় কর্তব্য পালন করে এমন ৯৯ ভাগ জিনিসই কুরআনে নেই। এগুলোর উৎস হাদিস। যেমন আজান। আজানে যা বলা হয় তা কুরআনের কোথাও সেটা নেই। অজু। অজুর নিয়ম সেটা কুরআনের কোথাও বলা নেই। নামাজের যে শারীরিক কৎসরত সেটাও কুরআনে নেই। নামাজ যে ৫ ওয়াক্ত সেটাও কুরআনে নেই। কুরআন পড়লে মনে হয় নামাজ ৩ ওয়াক্ত! যে কারণে শিয়াদের কিছু গোত্র ৩ ওয়াক্ত পড়ে থাকে। তাদের মসজিদ থেকে দিনে ৩ বার আজান হয়। এসব কারণে মুসলমানদের বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে নামাজের ওয়াক্ত, রাকাত, নিয়ম নিয়ে ভিন্নতা দেখা যায়। কুরআনের কোথাও কি নবী মুহাম্মদের কোন একটি স্ত্রীর নামও পাওয়া যায়? হযরত আয়েশাকে নিয়ে যে সুরা নূর লেখা হয়েছিলো আর আহযাব যে জয়নবকে নিয়ে সেটা তাফসির ও হাদিস না পড়লে জানা যাবে কিভাবে? হাদিস যদি আপনাদের জন্য এখন সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় তাহলে আজান নামাজ অজু হজ জাকাত আর পেয়ারা নবীর জীবনকাহিনী কুরআন থেকে বের করে দেখান!
কুরআন হচ্ছে গদ্য রীতিতে লেখা শ্লোক। এগুলোর ব্যাখ্যা করেন পন্ডিতরা। বিগত বারোশ বছর ধরে মুসলমানরা এইসব ব্যাখ্যা হাদিস ও তাফসির থেকে গ্রহণ করে এসেছে। কোন প্রশ্ন তখন উঠেনি। কিন্তু যখনই ইসলামী খিলাফতের পতন হলো এবং সেটা পুণরুত্থানের জন্য যখন মুসলমানরা আবার জিহাদ শুরু করল তখনই ইসলামের কাটাকুটি ও বিধর্মীদের প্রতি তীব্র ঘৃণার দলিল প্রকাশিত হয়ে পড়তে থাকল। তখনই সাধারণ মুসলমানদের কাছে ইসলাম যেন খারাপভাবে উপস্থাপন হতে না পারে তাই নানা রকম মডারেট ব্যাখ্যার উদয় হলো। এই চেষ্টা থেকেই ‘অনলি কুরআন’ তত্ত্ববাদীদের জন্ম। এরা বেকায়দায় পড়লে চিল্লায় বলবে, কুরআন থেকে দেখান! কুরআন থেকে দেখান!!
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................