তালেবানের মিউটেশনগুলোর মধ্যে সব থেকে ডেঞ্জারাস ‘তালেন্দু’।

তালেবানের মিউটেশনগুলোর মধ্যে সব থেকে ডেঞ্জারাস ‘তালেন্দু’ (তালেবান+হিন্দু)! এরা এক দুই পুরুষ আগে পূর্ববঙ্গ থেকে লাত্থি খেয়ে কোলকাতায় এসেছিলো। তারপর থেকে এরা কমিউনিস্ট।
একদা এদের কাকা বাবারা ‘চীনের প্রেসিডেন্ট আমাদের প্রেসিডেন্ট’ বলে চেঁচিয়েছিলো। বলতে গেলে ভারতবর্ষের মুসলিম সমাজে কোন রকম প্রগতিশীল রঙ লাগেনি এই তালেন্দুদের রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে। এদেরকে ‘তালেবাম’ বলা যায় কিন্তু তাতে বাংলাদেশী ‘মুসলিম বাম’ ভ্যারিয়েন্টের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলা হয়। কোলকাতায় তালেন্দুতে একদম গিজগিজ করছে মশাই! এরা এও বলছে, ইসলাম তো নারী শিক্ষা বিরোধী নয়। ইসলাম বরং সাম্যের শিক্ষা দেয়। তালেবানদের বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের মিডিয়াই নাকি মিথ্যা প্রোপাগন্ডা চালাচ্ছে। কোলকাতার তালেন্দুদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলার সময় শুনলাম তারা কুরআন হাদিস খুব পড়ে সব দেখেছে। সেখানে নারীদের প্রতি, বিধর্মীদের জন্য সুন্দর সুন্দর কথা বলা আছে।... যখন তাদের একটু বাজিয়ে দেখতে প্রশ্ন করতে শুরু করলাম দেখলাম কুরআন হাদিস কিছু্ই পড়েনি। এদের দৌড় রাহুল সাংকৃত্যায়নের ‘ইসলাম ধর্মের রূপরেখা’ বই। এক্স মুসলিম নাস্তিকরা রাহুল সাংকৃত্যায়নের এই বই পড়ে হাসে। মার্কসবাদী চোখে ভারতবর্ষের মুসলিমদের নিয়ে কমিউনিস্ট খিলাফত কায়েমের উদ্দেশ্য নিয়ে কারোর পক্ষেই ইসলামের ‘আসল রূপরেখা’ দেখানো সম্ভব নয়। রাহুল সাংকৃত্যায়নের সেই বই থেকে লাইন ধরে ধরে প্রশ্ন তোলা যায়। তালেন্দুদের ইসলাম জানা এইরকম পশ্চিমা নয়ত দেশীয় বামদের বই পড়ে।

এদিকে পশ্চিমবঙ্গের ৩০% ‘সেক্যুলার ভোট’ এখন আফগান তালেবালদের সমর্থন উচ্ছ্বাসে পরিপূর্ণ। এদের এই রকম করে রাখার জন্য তালেন্দুদের ভূমিকার মত অন্যান্য সেক্যুলার দাবীদারদের ভূমিকার কথা না বললে মিথ্যা বলা হবে। পশ্চিমবঙ্গে যখন এই অবস্থা তখন এক বন্ধু বাংলাদেশের অবস্থার কথা বলল এভাবে, তুই যে লিখলি, ‘সব মুসলমালের মধ্যে ঘুমিয়ে আছে তালেবাল’ তাতে সবাই তোকে উগ্র বলছে। কিন্তু ভাই, আমি তো দেখছি কথা মিথ্যা নয়! অফিসে বাজারে মাসে ট্রেনে সবখানে তালেবালদের দখল আর আমেরিকার চলে যাওয়াকে স্রেলিব্রেট করছে! কেউ একবারও তালেবালকে জঙ্গি বলছে না! তাহলে তোর কথা কি করে এড়িয়ে যাই সেকথাই ভাবছি...

একই সময় ম্যাসেজে একটা ছেলে পদবী ‘দাশগুপ্তা’ বলল, আচ্ছা দাদা, আপনি কি সত্যি র’ এর এজেন্ট? বললাম, দলবদল চলছে, এখন আমি ফ্রি এজেন্ট। র, বিজেপি, মোসাদ, আরএসএস যে বেশি টাকা দিবে তাদের হয়েই লিখব...

ছেলেটি বিশ্বাস করেছে মনে হলো! এই ভ্যারিয়েন্টের নাম হতে পারে ‘আবেলেন্দু’ (আবাল + হিন্দু)! যার জন্য করি চুরি সেই বলে চোর! মাথায় টুপি দিয়ে ঝাঁকে মিশে গেলে আমার কি ক্ষতি হবে? তবু নিজের কাঁধে বদনাম নিয়েছি শুধু তাই নয়, জীবনকে করেছি বিপদগ্রস্থ। বাংলাদেশের যে বন্ধু বলল আমার কথা সে মাঠ পর্যায়ে প্রমাণ পেয়েছে, আমার কথা এড়ানো যায় না, এই সত্যটা এতই বাস্তব বলেই আমার লেখায় কেউ ধরে ধরে মিথ্যা প্রমাণ না করে দূর থেকে বিজেপির ভাড়ায় খাটি, আরএসএসের এজেন্ট এইসব বলে গায়ের ঝাল মেটায়। তখন কেউ যদি জিজ্ঞেস করে আমি সত্যি র’ এজেন্ট কিনা কেমন লাগে বলুন তো?

-সুষুপ্ত পাঠক

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted