বিলম্বে হলেও বাংলাদেশের হিন্দুদের ঘাড় থেকে গান্ধী-নেহেরু পরিবারের ভূত নেমেছে।

আকাশে বাতাসে কান পেতে শুনেছেন কী - তালে*বানদের সমর্থনে কত ভয়ঙ্কর উন্মাদনা চলছে! আফগা*নিস্তানে কিরকম শান্তির ধর্মের সুবাতাস প্রবাহিত হচ্ছে! নিশ্চয় আপনারা সবাই কাবুল এয়ারপোর্টের শান্তির রক্তধারা দেখেছেন। নতুন করে আর বলার কিছু নেই। কিন্তু কেরলের ধর্মনিরপেক্ষ কংগ্রেস ও বামপন্থী সরকারের ছত্রছায়ায় লালিত দুর্ধর্ষ জেহা*দীরা, আফ*গান ধর্ম-যোদ্ধাদের মেন্টর। সারা ভারতে কোটি কোটি ধর্মযোদ্ধা আফ*গান আমিরের দিল্লি বিজ*য়ের অপেক্ষায় অস্ত্রে শান দিচ্ছে। এদের প্রধান লক্ষ‍্য- ভারত রাষ্ট্রটিকে ইস*লামী সালতানাতের অন্তর্ভুক্ত করা।



কিন্তু ভারতের গোমূ*ত্রবাদী ন*পুংসক শাসকরা, চাপাবাজি মেরে যাচ্ছে তো যাচ্ছেই। ভারতীয় শাসকরা অনুদান ও সাহায্যের নামে ভারতীয় দরিদ্র জনগণের কষ্টার্জিত লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা, আফ*গানিস্তানের জলে ফেলে দিয়ে এসেছে। ভারতীয় ধর্মনিরপেক্ষ শাসকদের আসলে লজ্জা-শরম বলতে কিছু নেই। এরা চরম মিথ্যা*বাদী ও চাপা*বাজ। এরা প্রতা*রক, মানুষকে ভুয়া প্রতিশ্রুতি দেয়।

আশি ও নব্বইয়ের দশকে আমি বাংলাদেশের একটি ছোট জেলা শহরে বসবাস করতাম। সেখানে সনাতন ধর্মালম্বী এলিটদের মধ্যে গান্ধী-নেহেরু পরিবারের জনপ্রিয়তা ছিল অকল্পনীয়। বাংলাদেশের এলিট হি*ন্দুরা গান্ধী-নেহেরু পরিবারের সদস্যদের দেবতার মতো ভক্তি-শ্রদ্ধা করতো। ভিন্ন ধর্মের এই পরিবারটিকে বাংলাদেশের হি*ন্দুরা তাদের ত্রাণকর্তা মনে পড়তো। আমি যখন এই পরিবারের অপকর্ম সমূহ তুলে ধরতাম, হিন্দুরা আমাকে 'সাম্প্রদা*য়িক' আখ্যায়িত করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতো।

অবশ্য সেই সমস্ত সেক্যুলার হি*ন্দুরা বাংলাদেশের টিকে থাকতে পারেনি। প্রতিবেশী সম্প্রদায়ের প্রভাবশালীরা রাতের অন্ধকারে সেক্যুলার হি*ন্দুদের দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে, তাদের হাত-পা বেঁধে স্ত্রী-কন্যাদের ধর্ষ*ণ করে, বিষয়-সম্পত্তি সব কেড়ে নিয়ে গেছে। সেক‍্যুলার হি*ন্দুরা সর্বস্ব হারিয়ে চোখের জল ফেলতে ফেলতে পশ্চিমবঙ্গে গিয়ে বামপন্থী ও তৃণমূল হয়েছে।

বিলম্বে হলেও বাংলাদেশের হি*ন্দুদের ঘাড় থেকে গান্ধী-নেহেরু পরিবারের ভূত নেমেছে। বর্তমানে আবার তারা বিজেপি-আর এস এস, নরেন্দ্র মোদি, আদিত্যনাথ ও রামদেব প্রভৃতি নিয়ে স্বপ্ন দেখছে। আমি বাংলাদেশের হি*ন্দুদের বলছি : বিজেপি-আরএসএস হি*ন্দুত্ববাদী সংগঠন নয়, ধর্মনিরপেক্ষ সংগঠন। আমার কথা বিশ্বাস না হলে, ঐ দু'টি সংগঠনের প্রবিধান ইন্টারনেটে ডাউনলোড করে পড়ে দেখুন। বিজেপি সরকারের সংখ্যালঘু তোষণ, কংগ্রেসের চেয়ে কোন অংশে কম নয়। যদিও বিজেপি সংখ্যালঘুদের একটি ভোটও পায়না। আরএসএস হি*ন্দুর কাছ থেকে অনুদান নিয়ে মাদ্রাসা চালায়।

ভারতের গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, ব*র্ণবাদী শাসনতন্ত্র, কন্যা শিশু ভ্রূণ হত্যা, সর্বধর্ম সমন্বয়, গোমূ*ত্র পান, কামিনী কাঞ্চন ত‍্যাগের নামে অর্থ ও যৌনতা পরিহার করা; ইত্যাদি হি*ন্দুজাতির বিলুপ্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। সুতরাং বাংলাদেশের হি*ন্দুরা যদি ভারতকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে, সেটা মস্তবড় ভুল হবে। বাংলাদেশের হি*ন্দুদের উচিত, তাদের নিজের মতো করে বাঁচার চেষ্টা করা। ধর্মগুরু, সমাজপতি ও রাজনৈতিক নেতাদের কোনো ধরনের অনুদান না দেওয়া; এবং অবশ্যই বাংলাদেশে বসবাসকারী সনাতনী নারীদের সম্পত্তির অধিকার দিয়ে তাদের মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা।

ই*তরগুলো বলছে, সম্পত্তির অধিকার পেলে সনাতনী নারীরা ধর্মান্তরিত হয়ে যাবে। কিন্তু সংশোধিত আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, সনাতনী নারীরা ধর্মান্তরিত হলে পিতা কিংবা স্বামীর সম্পত্তির ভাগ পাবে না। এমনকি সম্পত্তি পাওয়ার পরেও যদি ধর্মান্তরিত হয়, তাহলে সম্পত্তির মালিকানা হারাবে। অথচ জা*নোয়ারতুল্য কতিপয় তথাকথিত হি*ন্দু নেতা- যারা ভোটে দাঁড়ালে ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার পর্যন্ত হতে পারে না, তারা সভা-সেমিনার করে হি*ন্দুদের ভুল বুঝাচ্ছে। এরা আসলে সনাতনী নারীদের মানুষ মনে করে না, যৌ*নদাসী বানিয়ে রাখতে চায়।

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted