উপমহাদেশের ইসলামিস্টরা, এই ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামের বিস্তারের এক প্রধান কারণ হিসেবে, ইসলামের শান্তিপূর্ণ, মানবপ্রেমী সুফিবাদের গ্রহণযোগ্যতাকে তুলে ধরেন। আদতেই কি সেটা সত্য? সুফি কারা জানেন ? আসুন একটু খুঁটিয়ে দেখি :
সুফিবাদের শুরুতে সুফিরা, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান পাদ্রিদের মতো বাস্তবিক কামনা-বাসনাহীন জীবনকে বেছে নিয়েছিল। ইসলামের কট্টর আচার পালন করতো না সুফিরা আর কট্টরবাদী ইসলামিস্টরা তাই তাদের মতবাদকে বলতো ইসলাম বিচ্যুত কুফরি মতবাদ।
সময়কাল যত এগোলো ততই বহু সুফি বাস্তবিক বন্ধন থেকে থেকে মুক্তিলাভের পথ থেকে সরে এসে ইসলামের জেহাদি পথ ধরলো এবং অমুসলমানদের বিরুদ্ধে সরাসরি সংঘর্ষে লিপ্ত হলো । সেই কারণেই অস্বীকার করার উপায় নেই যে, ইসলাম ধর্মের প্রচার ও প্রসারে সুফিদের অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
জিহাদে অংশ নিলে তো বেহেশত কনফার্মড । বেহেশতের লোভে, সুফিরাও হয়ে উঠলো জিহাদী যোদ্ধা। এক বিখ্যাত সুফি নিজামুদ্দিন আউলিয়ার কথাই ধরা যাক। নিজামুদ্দিন (১২৩৮ থেকে ১৩২৫ খ্রিস্টাব্দ) । দিল্লিতে বিখ্যাত নিজামুদ্দিন আউলিয়ার মাজার। হিন্দু,মুসলমান নির্বিশেষে সবাই যায়। নিজামুদ্দিন মনে করত, ইসলামে অবিশ্বাসীদের বিরুদ্ধে আল্লাহ’র আইন প্রতিষ্ঠিত করা হলো একজন সাচ্চা মুসলমানের প্রধান দায়িত্ব। সেই সময়ের ভারতভূমির মূলতানে, সুলতান নাসিরউদ্দিন কুবাচের এক জিহাদে সরাসরি অংশ নিয়েছিল নিজামুদ্দিন আউলিয়া।
সুলতান আলাউদ্দিন খিলজিও তার জিহাদথেকে পাওয়া লুঠের মালের (গণিমতের মাল ) একটা বড়ো অংশ নিয়মিত উপহার দিতো নিজামুদ্দিনকে। নিজামুদ্দিন উপহারগুলো তার “খানকাহ”-তে সকলকে দেখাতো । “খানকাহ” কি ?
এর উৎস জানতে আমাদের আরবভূমিতে যেতে হবে।…
আরব ব্যবসায়ীরা ভারতবর্ষে ব্যবসা-বাণিজ্য করার জন্য খলিফা ওমরের কাছে আবেদন জানালো । খলিফা ওমর ভারতে ইসলাম বিস্তারের পেয়ে গেলো । ভাবলো , এই ব্যবসায়ীদের সাথে যদি কিছু ইসলাম প্রচারক পাঠিয়ে দিই, ইসলাম বিস্তার লাভ করবে। ব্যবসায়ীদের বললেন, তোমাদের সঙ্গে কিছু লোক যাবে, যারা ওখানে ধর্মপ্রচার করবে, বদলে তোমাদের ট্যাক্স মকুব ! আরব ব্যবসায়ীদের সঙ্গে খলিফা ওমরের লোকজন ভারতে এসে এখানে গড়ে তুললো “খানকাহ"। দরবেশরা “খানকাহ"তে থাকতো এবং ইসলাম প্রচার করতো। ধর্মের প্রচারের জন্য তারা জেহাদও করতো আর জেহাদে জয়ের শেষে খানকাতে আসতো “গণিমতের মাল” অমুসলিম সুন্দরী মহিলারা । সুন্দরী মহিলাদের ভোগে রাত নামতো খানকায়। জন্ম হতো হতভাগ্য শিশুদের, আর তাদের ইসলামীকরণ করা হতো । খানকায় যে অমুসলিম নারীদের ভোগের শিকার হতে হতো, তারা সমাজের চোখে হয়ে যেতো “খানকি।”
'খানকির বাচ্চা', 'খানকির পোলা' গালি দেন না ? আমিও দিই, কিন্তু আমরা জানি কি, এর নেপথ্যে আছে বহু অসহায় নারীর না বলা নির্যাতনের কাহিনী ?
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................