৯/১১ নিয়ে খুশি হয়নি এমন একজন মুসলমানও পাওয়া যাবে না। সেই মুসলমানদের মধ্যে ক্যাটাগরি ছিলো। আজকে একটি ক্যাগাগরি নিয়ে বলি। সেই মুসলমান যারা ৯/১১ নিয়ে খুশি কিন্তু এই ঘটনার পিছনে ইহুদীদের ষড়যন্ত্র আবিস্কার করে। এরা খুশি টুইন টাওয়ার গুড়িয়ে গেছে কিন্তু মনে করে এটা আমেরিকা নিজে করে মুসলমানদের উপর দোষ চাপিয়েছে! তাহলে ভাই খুশি হলেন কেন?
আল কায়দা ৯/১১ এর দায় স্বীকার করার পরও এই ক্যাটাগরির মুসলমান ত্যানা প্যাঁচাতো লম্বা করে। অভিবাসী মুসলমানরা সবাই খুশি হয়েছিলো। আমেরিকায় থাকে মুসলমানদের অনেকের ঘরে ঘরে তখন চাপা ঈদের খুশি। তবে দ্রুত ঘটনা ঘটে যাবার পর তারা ভীত হয়ে পড়ে এবার না পাছায় লাত্থি দিয়ে দেশে পাঠিয়ে দেয়। তখন তাদের নতুন তাকিয়া শুরু হলো “মাই নেম ইজ খান এন্ড আই এম নট এ টেরোরিস্ট”! বিমানবন্দরগুলিতে শুরু হলো প্যান্ট খুলে জাইঙ্গা খুলে বোমা খোঁজা। ছি: ছি: পড়ে গেলো মুসলিম জাহানে। “মুসলিমফোবিয়া”! বাম মহলে দিস্তে দিস্তে কাগজ ধ্বংস করে ‘পোস্ট ৯/১১’ তত্ত্ব খাড়া করা হলো। ফুকো হেগেলে দিয়ে সাঈদ হয়ে নোয়াম চমেস্কি ধার করে লেখা হলো আমেরিকার সিআইএ এর আগে কোথায় কোথায় নিজেরাই আকাম করে অমুক তমুকের নামে দোষ দিয়েছে। এসব ‘গবেষণাপত্র’ লুফে নিলো আমাদের আলোচ্য ক্যাটাগরির মুসলমানরা। আল কায়দার দায় স্বীকারের পরও লাদেন ও তার বাহিনীকে এভাবেই এরা আড়াল করার সব রকম চেষ্টা করে গেছে। কিন্তু লাদেন সুবিধা করতে পারেনি যখন টুইন টাওয়ার ধ্বংসের পর মিডলইস্ট থেকে বাংলাদেশের শ্রমিকরা দলে দলে ছাঁটাই হয়ে দেশে ফিরে বেকার হতে শুরু করল। বোরখার কাপড় কিনে দেশে বউ মেয়েকে পর্দা করানো মোকলেসও দেশে ফিরে লাদেনের উপর সেই চ্যাত দেখাতে শুরু করায় লাদেনের পোস্টার বাইতুল মোকাররমের ফুটপাথ থেকে অদৃশ্য হতে থাকে বাণিজ্যিকভাবে লস হওয়াতে। কিন্তু আমাদের আলোচ্য ক্যাটাগরির মুসলমানদের কাছে লাদেন ও তার আল কায়দা, তালেবান এসব সন্ত্রাসী গোষ্ঠি যে তাদের প্রিয় ইসলামিক মুজাহিদ বাহিনী সেটি ২০ বছর পর প্রকাশিত হলো যখন আমেরিকা আফগানিস্থান ত্যাগ করে চলে যেতে তালেবানের সঙ্গে চুক্তি করল। কোট প্যান্ট পরা এই ক্যাটাগরির লোকজন আমেরিকার পরাজয় ও আফগানদের অপরাজয় জাতি হিসেবে দেখিয়ে আবার লেকচার ঝারতে শুরু করল। এরপর যদি নেংটা করে আবার চেক করা শুরু হয় তখন শ্লোগান তো করন জহর শিখিয়েই দিয়েছে, “মাই নেম ইজ খান এন্ড আই এম নট এ টেরোরিস্ট”!
আজকে দেখলাম আমেরিকাতে ৯/১১ স্মরণে স্মৃতিসৌধের গায়ে তালেবান লিখে কারা যেন (কারা সেটা সবাই জানে, ঐ যে মাই নেইম ইজ...) দম্ভ প্রকাশ করে গেছে। আপনি হয়ত চিন্তা করছেন এরা কেন নিরাপদ উন্নত জীবন পেয়েও এরকম অশান্তি জারি করে রাখে? কারণ মুসলমানদের এই শিক্ষাটাই দেয়া হয় যে পুরো পৃথিবীটাই তাদের এবং এটা অচিরেই তাদের দখলে এসে যাবে। কাজেই আমেরিকা ইউরোপ হচ্ছে তাদের দেশ। কাফের সাদাদের একদিন তারা দাস বানাবে...। আপনি হয়ত এখন বলবেন যে, আমেরিকা মধ্যপাচ্যে যুদ্ধ বাধিয়ে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করিয়েছে এগুলো হচ্ছে সেই ক্ষোভ।... খুব ভালো যুক্তি। তাহলে সৌদি আরব ইয়েমেনে মাত্র এক বছরে যে হাজার হাজার সাধারণ নিরহ মুসলমানদের হত্যা করে মারল তার প্রতিশোধ নিতে সৌদি আরব গিয়ে মানববোমা হয়ে শহীদ হওয়ার চেষ্টা করছে না কেন তারা?
-সুষুপ্ত পাঠক
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................