ধর্ম নিরপেক্ষতার ফুলের তােড়া:
--------------------------------------------------
১৬ই ডিসেম্বর, ১৯৭১ ঢাকায় ৯৩ হাজার পাক সৈন্যের আত্মসমর্পণ করলো জেনারেল অরোরার সামনে । ১৯৭২ সালের এপ্রিলে পাক রাষ্ট্রপতি জনৈক কুলাঙ্গার জনাব জুলফিকার আলি সকন্যা এল ভারতে। পাঠক, এই ভুট্টোই হলো সেই কুলাঙ্গার যে,পরমাণু বিজ্ঞানী কাদের খান ও চীনের সহায়তায় গােপনে আণবিক বােমা তৈরীর প্রকল্প মঞ্জুর করেছিল, রাষ্ট্রপুঞ্জের অধিবেশনে ভারতের বিরুদ্ধে হাজার বৎসর যুদ্ধ করার হুমকি দিয়েছিল ।
সেই কুলাঙ্গার ভুট্টোকে সিমলায় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী রাজকীয় অভ্যর্থনা জানালো । পাঠক, এবারে আসুন সেই সময়ে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ চিত্রটি জেনে নি । পাকিস্তান তখন দ্বি-খণ্ডিত আর পশ্চিম পাকিস্তানের ৫০০০ বর্গ কিমি জমি ভারতের দখলে । ৯৩,০০০ পাক সৈন্য ইসলামের সংজ্ঞা অনুযায়ী বিধর্মী দেশের হাতে বন্দী, এক অগ্নিগর্ভ অবস্থা ! সেই সময়ে পাকিস্তানে যে কোন দিন হতে পারে সামরিক অভ্যুত্থান এবং কুলাঙ্গার ভূট্টোর প্রাণ বিপন্ন । সেদিন পাকিস্তানের ওই টালমাটাল অবস্থায় ইন্দিরা গান্ধী যদি একখানি সাদা কাগজে ভুট্টোকে বলত: 'স্বাক্ষর করুন শর্ত পরে জানিয়ে দেব', ভূট্রো ইন্দিরাকে তিনবার ‘আম্মা’ বলে সেলাম করে তাতেই স্বাক্ষর করে সীলমােহর দিয়ে দিত । 'মেরা ভারত মহান',ভারতের হৃদয় হলো নদী আর পাছা যেন বিশাল সমুদ্র, তাই এই পাকিস্তানকামীরা সেই থেকেই ভারতের পাছায় আরামসে বাঁশ.............!! পাক ভূ-খণ্ডের ৫০০০ বর্গ কিমি ভূমি ভারত ফিরিয়ে দিল, ৯৩,০০০ বন্দী যুদ্ধ অপরাধী পাক সৈন্যকে ফুলের তােড়া ও মিষ্টির প্যাকেট হাতে দিয়ে পাকিস্তানে সসম্মানে ফেরৎ পাঠানাে হলো । পৃথিবীর যুদ্ধের ইতিহাসে এই প্রথম একটি বিজিত দেশ শান্তি বৈঠক শেষে বিজয়ী বীরের ন্যায় সগৌরবে সব নিয়ে ফিরে গেল; আর বিজয়ী দেশটি পেল এক শূন্যগর্ভ আশ্বাস :“অতঃপর সিমলা চুক্তির আধারে সকল পাক-ভারত সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে।” এই হল বিখ্যাত (কুখ্যাত?) সিমলা চুক্তি, যার মাহাত্মে এদেশের সেকুলাঙ্গাররা সকল সময়ে ভাবে গদগদ আপ্লুত । আসলে ১৯৭১ এ বিশ্বের মানচিত্রে, এক রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্ম, ভারতের ৮০% মুসলমানের কাছে ছিল এক লজ্জাজনক পরাজয় । আপেক্ষিক স্বচ্ছলতার জন্য দেশভাগের পরেও ভারতে মাটি কামড়ে পরে থাকলেও, ভারতের শতকরা ৮০ ভাগ মুসলমানের পাকিস্তান অভিভাবক ও রক্ষক ! জানি পাঠক, খারাপ লাগছে এই তিতা সত্যগুলো পড়তে, কিন্তু কি করবো বেয়াদপ মানুষের কলম এভাবেই অকপটে তিতা সত্য লিখে চলে যে ! এই ৮০ শতাংশ হৃদয়ে 'পাকিস্তান' লালন করা সংখ্যালঘু মুসলমানের ভোট লাভের জন্যই ভারত বারবার রণক্ষেত্রে জয়ী হলেও প্রতিবারই শান্তি বৈঠকে পরাজয় মেনে নেয় শাসকগোষ্ঠীর সমগ্র ভারতবাসীকে প্রতারণার কারণে ।
সেই কুলাঙ্গার ভুট্টোকে সিমলায় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী রাজকীয় অভ্যর্থনা জানালো । পাঠক, এবারে আসুন সেই সময়ে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ চিত্রটি জেনে নি । পাকিস্তান তখন দ্বি-খণ্ডিত আর পশ্চিম পাকিস্তানের ৫০০০ বর্গ কিমি জমি ভারতের দখলে । ৯৩,০০০ পাক সৈন্য ইসলামের সংজ্ঞা অনুযায়ী বিধর্মী দেশের হাতে বন্দী, এক অগ্নিগর্ভ অবস্থা ! সেই সময়ে পাকিস্তানে যে কোন দিন হতে পারে সামরিক অভ্যুত্থান এবং কুলাঙ্গার ভূট্টোর প্রাণ বিপন্ন । সেদিন পাকিস্তানের ওই টালমাটাল অবস্থায় ইন্দিরা গান্ধী যদি একখানি সাদা কাগজে ভুট্টোকে বলত: 'স্বাক্ষর করুন শর্ত পরে জানিয়ে দেব', ভূট্রো ইন্দিরাকে তিনবার ‘আম্মা’ বলে সেলাম করে তাতেই স্বাক্ষর করে সীলমােহর দিয়ে দিত । 'মেরা ভারত মহান',ভারতের হৃদয় হলো নদী আর পাছা যেন বিশাল সমুদ্র, তাই এই পাকিস্তানকামীরা সেই থেকেই ভারতের পাছায় আরামসে বাঁশ.............!! পাক ভূ-খণ্ডের ৫০০০ বর্গ কিমি ভূমি ভারত ফিরিয়ে দিল, ৯৩,০০০ বন্দী যুদ্ধ অপরাধী পাক সৈন্যকে ফুলের তােড়া ও মিষ্টির প্যাকেট হাতে দিয়ে পাকিস্তানে সসম্মানে ফেরৎ পাঠানাে হলো । পৃথিবীর যুদ্ধের ইতিহাসে এই প্রথম একটি বিজিত দেশ শান্তি বৈঠক শেষে বিজয়ী বীরের ন্যায় সগৌরবে সব নিয়ে ফিরে গেল; আর বিজয়ী দেশটি পেল এক শূন্যগর্ভ আশ্বাস :“অতঃপর সিমলা চুক্তির আধারে সকল পাক-ভারত সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে।” এই হল বিখ্যাত (কুখ্যাত?) সিমলা চুক্তি, যার মাহাত্মে এদেশের সেকুলাঙ্গাররা সকল সময়ে ভাবে গদগদ আপ্লুত । আসলে ১৯৭১ এ বিশ্বের মানচিত্রে, এক রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্ম, ভারতের ৮০% মুসলমানের কাছে ছিল এক লজ্জাজনক পরাজয় । আপেক্ষিক স্বচ্ছলতার জন্য দেশভাগের পরেও ভারতে মাটি কামড়ে পরে থাকলেও, ভারতের শতকরা ৮০ ভাগ মুসলমানের পাকিস্তান অভিভাবক ও রক্ষক ! জানি পাঠক, খারাপ লাগছে এই তিতা সত্যগুলো পড়তে, কিন্তু কি করবো বেয়াদপ মানুষের কলম এভাবেই অকপটে তিতা সত্য লিখে চলে যে ! এই ৮০ শতাংশ হৃদয়ে 'পাকিস্তান' লালন করা সংখ্যালঘু মুসলমানের ভোট লাভের জন্যই ভারত বারবার রণক্ষেত্রে জয়ী হলেও প্রতিবারই শান্তি বৈঠকে পরাজয় মেনে নেয় শাসকগোষ্ঠীর সমগ্র ভারতবাসীকে প্রতারণার কারণে ।
২৬/১১ মুম্বাইয়ে পাকিস্তানী কুলাঙ্গারদের জেহাদী আক্রমণের পর স্বদেশে বিদেশে এরকম ধারণা হয়েছিল যে, ভারত হয়তাে পাকিস্তানে Surgical Strike করবে । একই আশঙ্কা ছিল পাকিস্তানেরও, মহান ভারতের সেই সময়ের বিদেশমন্ত্রী প্রণব মুখার্জী, পাকিস্তানকে আশ্বস্ত করে বললেন : 'যুদ্ধ কোন সমাধান নয়' । বিশ্বের মিডিয়াতে প্রচারিত হল যে পাকিস্তানও আণবিক শক্তিধর ! পারমাণবিক সংঘর্ষ এড়াতে আক্রমণ নয় । পাঠক, এগুলো হলো সস্তা ভাওঁতা, আসল কারণ অন্য । পাঠক, আপনারা কি অস্বীকার করতে পারেন যে আয়তনে পাকিস্তান অপেক্ষা ভারত তিন গুণ বড়, যাকে বলা হয় Strategic depth এবং এটা পাকিস্তানের নেই । পাকিস্তান যদি ভারতে বােমাবর্ষণ করে ভারতের অবশ্যই ক্ষতি হবে, কিন্তু ভারতের পাল্টা আক্রমণে তাে পাকিস্তানের চিহ্নমাত্র থাকবে না ! আনবিক বোমার ফ্যাক্টর বিশ্বের কাছে তুলে ধরাটা ছিল অছিলা, আসল অন্তরায় ছিল ভারতের সেই অন্তরে 'পাকিস্তান' লালন করা ৮০% সংখ্যালঘু মুসলমান । বাপ-দাদার ইসলামী আদর্শের দেশ পাকিস্তানের বিপর্যয়ে ভারতের সংখ্যালঘু মুসলমান রুষ্ট হবে যে, ভোটব্যাংকে টান পরবে ! এই ৮০% কুলাঙ্গার সংখ্যালঘু মুসলমানের ভোটের আশায় লালায়িত ভারতের শাসকগোষ্ঠী, আন্তর্জাতিক মঞ্চে ইজরায়েলের বিরােধিতা করতেও ছাড়েনা, যেই ইজরায়েল ভারতকে সাহায্যের জন্য সব সময় হাত বাড়িয়ে রয়েছে । ছিঃ,লজ্জা হওয়া উচিত এই ভারতের শাসকগোষ্ঠীদের !
পাঠক, শেষ করার আগে বলি, ইসলামের বিধানের জন্যই উপরোক্ত ভারতের ৮০% সংখ্যালঘু মুসলমান ভারতকে স্বদেশ মনে করে না, সকল ধর্মের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বিশ্বাস রাখেনা । এ পি জে কালাম স্যারকে দিয়ে ভারতের সংখ্যালঘু মুসলমানের মূল্যায়ন মূর্খামি মাত্র ! অমুসলমানদের হত্যা করে ভারতসহ সারা পৃথিবীতে দার-উল-ইসলামের প্রতিষ্ঠাই তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠের উদ্দেশ্য । আজকের ভারতে তাই 'ধর্ম নিরপেক্ষতা'কে এই বাস্তবতার নিরিখেই বিচার করতে হবে ।
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................