লাভ জিহাদ নিয়ে অমর্ত্য সেনের উকালতি।

লাভ জিহাদ নিয়ে অমর্ত্য সেনের উকালতি। 
💘💘💘💘💘💘💘💘💘💘💘💘

স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন,"একজন হিন্দু ধর্মত্যাগ করে মুসলিম হলে শুধু যে হিন্দুর একজন কমে তা নয়,হিন্দুর শত্রুও একজন বাড়ে"।

ভালবেসে কেউ বহু বিবাহ করে না।যারা করে তাদের মধ্যে বেশীর ভাগ করে ধর্মীয় কারনে।ইসলাম ধর্মে জেহাদ হল-Exertion in the path of God.আল্লাহর পথে সংগ্রাম।যারা কাফেরদের বিরুদ্ধে ধর্মযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন বেহেস্তে আল্লাহ তাদের দেন সর্বশ্রেষ্ঠ পুরস্কার।লাভ জেহাদ তারই একটি অংশ।জেহাদের প্রত্যক্ষ সংগ্রামে অংশগ্রহণ এখন বেশ কঠিন।তাই ঘুর পথে লাভ জেহাদের নামে অমুসলিমদের ধর্মান্তরিত করে আল্লাহর নির্দেশ পালনই হচ্ছে লাভ জেহাদের মূল লক্ষ।

কোরানের সুরা বাকারা অধ্যায়-২ আয়াত-২১১তে বলা আছে,"তোমরা মুশরিক(অমুসলিম) নারীদের বিয়ে করো না যতক্ষণ না তারা ঈমান আনে এবং মুমিন একজন ক্রীতদাসী মুশরিক নারীর চেয়ে নিশ্চয় উত্তম যদিও সে তোমাদেরকে মুগ্ধ করে"।লাভ জেহাদে মেয়েরাই  বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ধর্ম পরিবর্তন করে ছেলেরা নয়।এর পিছনে থাকে মুসলিমদের ধর্মীয় বিধানের বাধ্যবাধকতা।একজন বিধর্মীকে নিজ ধর্মে ধর্মান্তরিত করতে পারলে তারজন্য জান্নাত বা স্বর্গপ্রাপ্তি নিশ্চিত।হিন্দু মেয়েরা বিভিন্ন প্রলোভন এবং মোহে পড়ে ধর্মান্তরিত হয়।কিন্তু মোহ ভঙ্গ হলে বুঝতে পারে তারা কি ভুল করেছে তখন তাদের আর ফেরার পথ থাকেনা করতে হয় আত্মহত্যা নয় সতীনের সংসার অথবা মুখ বুঝে সহ্য করতে হয় নির্যাতন নিপীড়ন অবশেষে স্থান হয় পতিতা পল্লীতে।

মুঘল আমল থেকেই ধর্মান্তকরন শুরু যা আজও অব্যাহত আছে।কখনো তলোয়ারের সামনে কখনো অপহরন করে,কখনো বন্দী করে নির্যাতন করে প্রলোভন দেখিয়ে এই প্রক্রিয়া চলছে নিরন্তর।দেশভাগের আগে নোয়াখালী দাঙ্গার সময় শুধু ত্রিপুরাতে ৯৮৯৫টি ধর্মান্তকরনের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছিল আর নোয়াখালীতে যার সংখ্যা ছিল অগনিত।১৯৪৭ সালের পর থেকে জনবিন্যাসের যে পরিসংখ্যান তাতে দেখা যাচ্ছে খৃস্টান বেড়েছে ৫গুন আর মুসলিম বেড়েছে ৮গুন যা আতংকের।মুসলমানরা ভারতকে দারুল ইসলাম বানাতে চায় যা তারা হারিয়েছে।এজন্য এরা গরীব পিছিয়ে পড়া গোষ্ঠীগুলোকে নিশানা করে হিন্দু মেয়েদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ধর্মান্তকরন করছে।এক পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে শেষ পনের বছরে ভারতে ৫লাখ হিন্দু মহিলাকে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে।এই তথ্যটি জন জাগৃতি কর্তৃক প্রকাশিত লাভ জিহাদ নামে একটি বইয়ে উল্লেখ রয়েছে।দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে শেষ ৫বছরে গুজরাটে ১৮৯৫জন ধর্মান্তকরনের জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেছে এরমধ্যে ৯৪%হিন্দু ৪%মুসলিম আর ১%খৃস্টান।

দিন যতই যাচ্ছে ধর্মান্তকরনের মাত্রা ততই বাড়ছে।এতদিন যারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিলেন তাদের কাছে ধর্মান্তকরন ছিল সংবিধানের আড়ালে তোষামোদির এক মরন খেলা।লাভ জিহাদের নামে সামাজিকভাবে  ভারতের শ্বাশত পরম্পরাকে দুর্বল করা হচ্ছিল।ধর্মীয় বিধানকে আইনের মর্যাদা দিচ্ছিল।ইতিমধ্যে  ভারতের ৪টি রাজ্যে লাভ জিহাদের বিরুদ্ধে আইন পাশ করা হয়েছে।এ নিয়ে নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন এই আইনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বলেছেন,এটি অসাংবিধানিক যেকোন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষই তার নিজের ধর্ম বদলে অন্য ধর্ম গ্রহণ করতে পারে।লাভ বা প্রেমের মধ্যে কোন জেহাদ থাকতে পারেনা।অতীতে আমরা দেখেছি মাইকেল মধুসূদন দত্ত,সঙ্গীতশিল্পী ফিরোজা বেগম,ক্রিকেটার মনসুর আলী খাঁন ভালবেসে ভিন্ন ধর্মে বিয়ে করেছিলেন।এরমধ্যে জিহাদ ছিল বলে কেউ শোনেনি।যিনি এই নীতিবাক্য গুলো বলেছেন তিনি তিন ধর্মে ৩টি বিয়ে করেছেন।তিনি যাদের উপমা দিয়েছেন তিনি কি জানেন এদের অনেকের কি দুর্বিষহ কষ্টের মধ্যে শেষ জীবন কাটাতে হয়েছে।ফিরোজা বেগম ভালবেসে কমল দাসগুপ্ত কে বিয়ে করেছিলেন।ভালবাসা কমল দাসগুপ্তকে ভিখারি করেছিল।৮০০ গানের কিংবদন্তী সুরকার শেষ জীবনে দেশ ছেড়ে ঢাকায় গিয়ে মুদির দোকান খুলেছিলেন।এটি ছিল লাভ জিহাদের স্বার্থক রূপায়ন।শেষ জীবনে অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক মধুকবি মধুসূদন দত্ত  ভিনজাতে বিয়ে করে অর্ধাহারে অনাহারে বিনা চিকিৎসায় ধুকেধুকে মৃত্যুবরণ করেছিলেন।গীতার ৩৫নং অধ্যায়ে বলা আছে,"স্বধর্মে নিধনং শ্রেয়ঃপর ধর্মো ভয়াবহঃ অর্থাৎ স্বধর্ম সাধনে যদি মৃত্যু হয় তাও মঙ্গলজনক,কিন্তু অন্যের ধর্মের অনুষ্ঠান করা বিপদজনক।এই শিক্ষা যাদের আছে তাদের জন্য দুঃশ্চিতার কোন কারন নেই।কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য ভারতের একটি চিন্থিত মহল ইচ্ছাকৃত ভাবে নিজের ধর্ম অন্য ধর্মের নিকট বন্ধক রেখে নিজেদের অস্তিত্ব বিপন্ন করে তুলেছে।মান্যবর অমর্ত্য সেন কি ধর্মান্তর নিয়ে কোরানে যা উল্লেখ রয়েছে তার বিরোধিতা করতে পারবেন?পারবেন না।কারন তিনি তোষামোদকারীদের দলের লোক।

পঃবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৯ সালে মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা ডায়মন্ড হারবারে এক জনসভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে বলেছিলেন,"আমি লিভারেল ভাইয়ের বউকে বলেছিলাম প্রেম করার ইচ্ছে হলে করে নিস"।দিনশেষে এই উৎসাহ তার পরিবারই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

প্রেম করে বিয়ে করার মধ্যে কোন অন্যায় নেই।কিন্তু সেই জন্য ধর্মান্তরিত হতে হবে কেন।ব্যক্তি স্বাধীনতা আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়ে ধর্মান্তরিত হওয়ার মধ্যে যে যন্ত্রণা তার বিপরীদ একটি দিক রয়েছে যারা প্রগতিশীলতার কথা বলেন তাদেরর বলি * বিয়ের  আগে বা পরে হিন্দু প্রেমিকা ইসলামে ধর্মান্তরিত হবে না।সারা জীবন সে হিন্দু হিসাবে কাটাবে।* বিয়ের পর হিন্দু নাম অপরিবর্তিত থাকবে।*বিয়ের পর স্বামীর বাড়িতে হিন্দু ধর্মের রীতিনীতি পালন করবে এবং সেই কাজে কেউ বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।*সে কোন দিন বোরখা পড়বে না এবং তাকে বোরখা পড়তে বাধ্য করা যাবেনা।*স্ত্রী জীবিত থাকা অবস্থায় তার স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারবে না।*বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা তালাক দিলে চলবে না আইনি পথে ডিভোর্স দিতে হবে।এই শর্তগুলো নিকাহনামায় উল্লেখ করতে হবে এবং সামাজিক রীতিনীতি মেনে বিয়ে করতে হবে।

এই শর্তগুলো নিয়ে ভারতে ইসলামী শিক্ষার প্রতিষ্ঠান দারুল উলুম দেওবন্দ জানিয়েছে ইসলামের শর্তানুযায়ী এই শর্তগুলো অবৈধ।এই শর্তে ইসলামকে অমর্যাদা করা হয়েছে।এই শর্ত মেনে বিয়ে ইসলাম বিরোধী।প্রেমিকার শর্তগুলো কোনোভাবেই নিকাহনামায় উল্লেখ করা যাবেনা।

যদি উল্লেখিত শর্তগুলো না মানা হয় তাহলে প্রমান হচ্ছে লাভ জিহাদ একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনার অংশ।এবং সেই জন্য লাভ জিহাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ কি অন্যায়? মতামত জানান।লাভ জিহাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।

একজন অভিনেত্রী প্রীতির লাভ জেহাদের আগে ও পরের ছবি।দ্বিতীয়টি বিশ্বপ্রেমিক অমর্ত্য সেনের ৩বিয়ের ছবি।

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted