দেওবন্দের অমানবিক ফতোয়া!!

দেওবন্দের অমানবিক ফতোয়াঃ

দেওবন্দের দেও- অমানবিকতার হাত থেকে মানবতা কবে রক্ষা পাবে ? প্রায় দুই শ ষাট বছর আগে ভারতের উত্তর প্রদেশে স্থাপিত এই (অপ) ‘জ্ঞানের দ্বার’ (দারুল উলুম) উপমহাদেশের মুসলমানদের অপরিমেয় ক্ষতি করেছে। এদের ফতোয়ায় ভারতবর্ষের মুসলমানদের ইংরেজি শিক্ষা, উদীয়মান পাশ্চত্য জ্ঞানের দ্বার বন্ধ হয়ে যায়। ফলশ্রুতিতে আজ মুসলমান মুচি মেথর ঝাড়ুদারের চাকরি করে বেড়াচ্ছে দুনিয়াব্যাপী। আরবদেশগুলোর পথেঘাট টয়লেট এদেশের মুসলমান সাপছুতরো করছে। মালয়েশিয়া সিঙ্গাপুর ব্রুনেই—সর্বত্র এক চিত্র। পাশাপাশি ভারতীয় হিন্দুরা আরবদের অফিস চালায়, ব্যাবসার হিসাব রাখে, পরিচালনা করে। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার তারা বেশি। তারা দেশে মোটা রেমিটেন্স পাঠায়, আমরা পাই আনিটা সিকিটা। এখানে শিক্ষা নিয়ে আলেমরা পাড়ায় পাডায় মাদ্রাসা খোলে, আর জান্নাতের লোভ দেখিয়ে অশিক্ষিত মাতাপিতার শিশুদের হরণ করে। তাদের শৈশব-কৈশোর চুরি করে, সৃজনশীলতা নষ্ট করে, দেহে-মনে এবিউস করে। আরো মাদ্রসা-মক্তব না খুললে বড়ো হয়ে এদের পেট চলে না। পুরো জীবন দান খয়রাত নির্ভর হয়।

ওদের কাছে ইংরেজি শিক্ষা হারাম, আবার আধুনিক বিজ্ঞানের সব আশীর্বাদই পরম বরণীয়। ইউ টিউব তারাই বেশি ব্যবহার করে যত নারী বিরোধী ওয়াজ প্রচার করতে। এখন দেওবন্দ ফতোয়ার ওয়েবসাইট চালু করে মানবকাবিরোধী ফতোয়া মারে। সম্প্রতি শিশুদের প্রতি বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলার ফতোয়ায় আতঙ্কিত হতে ভারতের ‘শিশু সুরক্ষা কমিশন’ এই ওয়েবসাইট বন্ধের জন্য চিঠি দিয়েছে। সে চিঠি একজন মুসলিম দিয়েছেন।


ওরা কী ফতোয়া দেয়, দেখুন একটি :
পালকপুত্র বয়সন্ধিতে এলে পালক-মাতাকে পরদা করে তার সামনে আসতে হবে। পালকপুত্র পালক-পিতার সম্পক্তি পাবে না।
চিন্তুা করুণ, একটা মা কেন পুত্র পালক নেন ? পুত্রস্নেহের অভাব ঘুচাতেই তো ? সেই গেদা অবস্থায় পরম মমতায় তিনি একটি মানবশিশুকে নিজের শিশু করে বুকে তুলে নেন। তাকে দুগ্ধ দান থেকে হাত ধরে স্কুলে নেওয়া, মেলায় উৎসবে নেওয়া, রোগব্যধিতে সেবা শশ্রুষা করা, সবই মা করেন পুত্রজ্ঞানে। তৈরি হয় মমতার এক পবিত্র বন্ধন। কিন্তু শিশু বয়োসন্ধিতে এলে তার সামনে মা-কে পরদা করতে হবে !!! কী ভয়ঙ্কর ! ওরা কি সারাক্ষণ কেবল যৌন চিন্তা করে? এ চিন্তা আসলো কেন? পালককন্যার পিতার জন্যও এ সব নিয়ম। মানবচেতনা কেমনে এত যোনীমুখী হয়? পালক পুত্রকন্যা পিতামাতার সম্পদ থেকে কেন বঞ্চিত হবে ?—এ কোন মানবতা ? তা হলে পালক নেওয়া কেন? ওই পুত্র-কন্যা বড়ো হলে কি ভিক্ষা করে খাবে, না দ্বারে দ্বারে পুটু মারা খাবে?—উল্লেখ্য ভারতের প্রচলিত আইনের সাথে এটা সংঘর্ষিক।
একবিংশ শতাব্দীতে মানুষের চিন্তার রথ ছুটছে আলোর পানে, দেওবন্দের দানবীয়তা টেনে নিচ্ছে অন্ধকারে।
বুঝি, পালকপুত্র-পুত্রবধু বা কন্যা নিয়ে আল্লার ভিন্ন নির্দেশ আছে। নবি করিমের নিজ পুত্র ছিল না বলে, জায়েদকে নিজপুত্ররূপে বরণ করে নিজের বাড়িতেই বিবাহ দিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু জায়েদের বিবাহিতা স্ত্রী জয়নবের অসামান্য রূপ শেষে জায়েদের তালাক, তখন আল্লাহপাক তাঁর প্রিয় হাবিবকে জায়েদাকে বিবাহের নির্দেশ দান করে আয়াত নাজিল করেন। সুবাহানআল্লাহ !
  আল্লাহ আর আল্লাহর নবির জন্য অনেক কিছুই সম্ভব। ওখানে কুদরত আলাদা। কিন্তু মানবিক বিশ্বে যা আইন সম্মত তা ফতোয়া দিয়ে বন্ধ করতে হবে? ইসলামের সব টো টো করে মানার ফতোয়ায় ইসলাম আজ বিপন্ন। অমানবিকতাকে ফতোয়া দিয়ে যায়েজ করতে চাইলে তাতে উল্টা প্রতিক্রিয়াই তৈরি হয়। পালক মাকে বালকপুত্রের কাছ থেকে পর্দা করতে হবে কেন?  পালকপুত্র কন্যানেদর সম্পত্তির অধিকার হরণ করে তাদের মনের ভুবন নিঃশ্ব করে দিতে হবে কেন? এট তো মানবতা নয়। ইসলাম মানবতার কথা বললে দেওবন্ধ তা অফ করতে পারে না। ১৭.০১২০২২ Bhuiyan Shafiqul Islam  এর লেখা একটু সংযোজন বিয়োজন করে।

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted